ETV Bharat / politics

'আমার বোলিংয়ের ভয়ে এখনও প্রার্থী দেয়নি বিরোধীরা', সাইকেলে খোশমেজাজে প্রচার কীর্তি আজাদের - Lok Sabha Elections

TMC Candidate Kirti Azad campaigns: সাইকেলে চড়ে প্রচারে নেমে পড়লেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদ ৷ হাতে থলে নিয়ে বাজার করার পাশাপাশি সারলেন জনসংযোগও ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 21, 2024, 2:51 PM IST

Updated : Mar 21, 2024, 8:12 PM IST

সাইকেলে খোশমেজাজে প্রচার কীর্তি আজাদের

দুর্গাপুর, 21 মার্চ: সাতসকালে সাইকেল চালিয়ে প্রচার শুরু করে দিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কীর্তি আজাদ ৷ বৃহস্পতিবার হাতে বাজারের থলে নিয়ে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের সবচেয়ে জনবহুল চণ্ডীদাস বাজার চষে ফেললেন তিনি ৷ বাজার ঘুরে ঘুরে কিনলেন ফল, সবজি । আর তাঁকে দেখে বাজার করতে আসা স্টিল টাউনশিপের মানুষেরা হতবাক । 1983 বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম প্রধান সদস্য তথা বর্তমানে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদকে এইভাবে চাক্ষুস করতে পেরে উৎসাহ ধরা পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে ৷

এ দিন সাইকেলে চড়ে নিজের কেন্দ্রে বাজারে যান কীর্তি আজাদ ৷ আর এভাবেই চলে প্রচার ৷ আলু, পটল, টমেটো, মুলো কেনার পর বিক্রেতারা তাঁকে প্লাস্টিকে ভরে সবজি দিতে চাইলে তা নিতে চাননি তৃণমূল প্রার্থী ৷ মুখে চওড়া হাসি নিয়ে তিনি বলেন, "প্লাস্টিকের ব্যবহার করবেন না ৷"

কীর্তি আজাদের সঙ্গে এ দিন ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় দফতরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী-সহ কয়েকশো তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক । বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের দুর্গাপুরে কার্যত এভাবেই জনসংযোগের মাধ্যমে ভোট প্রচার শুরু করলেন একসময়ের মারকুটে মেজাজের এই ব্যাটসম্যান ।

বাজারে অগণিত মানুষের সঙ্গে এ দিন কথা বলে তাঁদের সুবিধে অসুবিধের কথা জানতে চান তৃণমূল প্রার্থী ৷ তিনি জানতে চান জিনিসপত্রের দাম নাগালের মধ্যে আছে কি না ? এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অলরাউন্ডার বললেন, "একসময় নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা এ রাজ্যে এসে বলেছিলেন আবকি বার দোসো পার । কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল তারা সেঞ্চুরি করতেও পারলেন না । আসলে বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সবচেয়ে দীন দরিদ্র মানুষও ভাবেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের আপন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁরা বিশ্বাস করেন । তাই পশ্চিমবঙ্গে লোকসভায় 42-এ 42-ই পাবে তৃণমূল কংগ্রেস ।"

ক্রিকেটে তাঁর জুনিয়র ইউসুফ পাঠান এখন রাজনীতিতে তাঁর সহকর্মী ৷ বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে কীর্তি আজাদ বলেন, "ইউসুফ অত্যন্ত ভালো ছেলে । সে একজন দক্ষ ক্রিকেটার । অত্যন্ত গরিব ঘরের ছেলে । তাকে বলবো সৎ পথে থেকে কাজ করে যাও । বিরোধীরা এখনও এই আসনে প্রার্থী দেয়নি, কারণ আমার বোলিংকে ভয় পেয়েছে ।" এ দিন অত্যন্ত হাসিখুশি মেজাজে বাজার করার পাশাপাশি জনসংযোগ সারলেন তিনবারের সাংসদ ।

যদিও বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুই কীর্তি আজাদকে বহিরাগত বলে তোপ দেগেছেন ৷ তিনি বলেন, "নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ যখন এ রাজ্যে আসেন তখন তাঁরা হয়ে যান বহিরাগত । আর ভাগলপুরের বাসিন্দা যখন দুর্গাপুরের প্রার্থী হন তখন দিদি কেন চুপ থাকেন ? তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বুঝে গিয়েছেন যে, এই প্রার্থী জয় পাবে না । তাই এই প্রার্থীর সমর্থনে অনেকেই প্রচারে নামছে না বলে শুনছি । আমাদের প্রার্থী আগামিকাল সন্ধ্যার মধ্যেই ঘোষণা হয়ে যাবে । এর আগের বারের লোকসভা নির্বাচনে মাত্র 15 দিন সময় পেয়েছিলাম প্রচারের জন্য, তাতেই গোল দিয়ে দিয়েছিলাম । এবার তো 55 দিন হাতে আছে ।"

আরও পড়ুন:

  1. জেলাশাসক বদলেও কি বিজেপির প্রভাব দেখছে তৃণমূল ? কেন এমন বললেন অরূপ চক্রবর্তী
  2. ঘাসফুলে ঘেরা বহরমপুরে 'রবিনহুড' অধীরের খতিয়ান
  3. ডিজি বদলের পর রাজ্যের চার জেলাশাসককে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

সাইকেলে খোশমেজাজে প্রচার কীর্তি আজাদের

দুর্গাপুর, 21 মার্চ: সাতসকালে সাইকেল চালিয়ে প্রচার শুরু করে দিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কীর্তি আজাদ ৷ বৃহস্পতিবার হাতে বাজারের থলে নিয়ে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের সবচেয়ে জনবহুল চণ্ডীদাস বাজার চষে ফেললেন তিনি ৷ বাজার ঘুরে ঘুরে কিনলেন ফল, সবজি । আর তাঁকে দেখে বাজার করতে আসা স্টিল টাউনশিপের মানুষেরা হতবাক । 1983 বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম প্রধান সদস্য তথা বর্তমানে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদকে এইভাবে চাক্ষুস করতে পেরে উৎসাহ ধরা পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে ৷

এ দিন সাইকেলে চড়ে নিজের কেন্দ্রে বাজারে যান কীর্তি আজাদ ৷ আর এভাবেই চলে প্রচার ৷ আলু, পটল, টমেটো, মুলো কেনার পর বিক্রেতারা তাঁকে প্লাস্টিকে ভরে সবজি দিতে চাইলে তা নিতে চাননি তৃণমূল প্রার্থী ৷ মুখে চওড়া হাসি নিয়ে তিনি বলেন, "প্লাস্টিকের ব্যবহার করবেন না ৷"

কীর্তি আজাদের সঙ্গে এ দিন ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় দফতরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী-সহ কয়েকশো তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক । বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের দুর্গাপুরে কার্যত এভাবেই জনসংযোগের মাধ্যমে ভোট প্রচার শুরু করলেন একসময়ের মারকুটে মেজাজের এই ব্যাটসম্যান ।

বাজারে অগণিত মানুষের সঙ্গে এ দিন কথা বলে তাঁদের সুবিধে অসুবিধের কথা জানতে চান তৃণমূল প্রার্থী ৷ তিনি জানতে চান জিনিসপত্রের দাম নাগালের মধ্যে আছে কি না ? এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অলরাউন্ডার বললেন, "একসময় নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা এ রাজ্যে এসে বলেছিলেন আবকি বার দোসো পার । কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল তারা সেঞ্চুরি করতেও পারলেন না । আসলে বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সবচেয়ে দীন দরিদ্র মানুষও ভাবেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের আপন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁরা বিশ্বাস করেন । তাই পশ্চিমবঙ্গে লোকসভায় 42-এ 42-ই পাবে তৃণমূল কংগ্রেস ।"

ক্রিকেটে তাঁর জুনিয়র ইউসুফ পাঠান এখন রাজনীতিতে তাঁর সহকর্মী ৷ বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে কীর্তি আজাদ বলেন, "ইউসুফ অত্যন্ত ভালো ছেলে । সে একজন দক্ষ ক্রিকেটার । অত্যন্ত গরিব ঘরের ছেলে । তাকে বলবো সৎ পথে থেকে কাজ করে যাও । বিরোধীরা এখনও এই আসনে প্রার্থী দেয়নি, কারণ আমার বোলিংকে ভয় পেয়েছে ।" এ দিন অত্যন্ত হাসিখুশি মেজাজে বাজার করার পাশাপাশি জনসংযোগ সারলেন তিনবারের সাংসদ ।

যদিও বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুই কীর্তি আজাদকে বহিরাগত বলে তোপ দেগেছেন ৷ তিনি বলেন, "নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ যখন এ রাজ্যে আসেন তখন তাঁরা হয়ে যান বহিরাগত । আর ভাগলপুরের বাসিন্দা যখন দুর্গাপুরের প্রার্থী হন তখন দিদি কেন চুপ থাকেন ? তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বুঝে গিয়েছেন যে, এই প্রার্থী জয় পাবে না । তাই এই প্রার্থীর সমর্থনে অনেকেই প্রচারে নামছে না বলে শুনছি । আমাদের প্রার্থী আগামিকাল সন্ধ্যার মধ্যেই ঘোষণা হয়ে যাবে । এর আগের বারের লোকসভা নির্বাচনে মাত্র 15 দিন সময় পেয়েছিলাম প্রচারের জন্য, তাতেই গোল দিয়ে দিয়েছিলাম । এবার তো 55 দিন হাতে আছে ।"

আরও পড়ুন:

  1. জেলাশাসক বদলেও কি বিজেপির প্রভাব দেখছে তৃণমূল ? কেন এমন বললেন অরূপ চক্রবর্তী
  2. ঘাসফুলে ঘেরা বহরমপুরে 'রবিনহুড' অধীরের খতিয়ান
  3. ডিজি বদলের পর রাজ্যের চার জেলাশাসককে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন
Last Updated : Mar 21, 2024, 8:12 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.