বারপেটা (অসম), 24 জানুয়ারি: সময়ের হিসেবে ব্যবধান মাত্র কয়েক ঘণ্টার। ইন্ডিয়া জোট নিয়ে বুধবার সকালে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূলনেত্রীর মানভঞ্জনের চেষ্টা করল কংগ্রেস। দলের জাতীয় মুখপাত্র জয়রাম রমেশ অসমের বারপেটায় ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা থেকে বলে দিলেন, ' ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম স্তম্ভ তৃণমূল ।'
বর্ধমান যাওয়ার পথে মমতা বলেন, "রাজ্যে কোনও জোট হবে না। দেশে কী করব সেটা পরে ঠিক হবে। আমরা ধর্মনিরপেক্ষ দল। বিজেপিকে পরাজিত করা আমাদের লক্ষ্য।" ঠিক এই বক্তব্যকে ধরেই জয়রাম বলেন, "আপনারা (সাংবাদিকরা) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য পুরোটা শোনেননি। তিনি বিজেপিকে পরাজিত করার কথা বলেছেন। বিজেপিকে পরাজিত করতে যা যা দরকার আমরা সবটাই করব।" এরপর কংগ্রেসের যাত্রা নিয়ে জয়রাম বলেন, "আমরা একটাই লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছি। বিজেপিকে হারানো আমাদের লক্ষ্যষ। যাত্রাপথে বাধা আসবে সেটাই স্বাভাবিক। রাস্তায় যেমন লাল সিগন্যাল দেখলে থামতে হয়, এখানেও হবে। তবে তার মানে এই নয় আমরা থেমে যাব। আমাদের যাত্রা চলবে। এরপর রাহুলের প্রসঙ্গ টেনে জয়রাম বলেন, "রাহুল গান্ধিও বলেছেন তৃণমূল ইন্ডিয়া জোটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।"
2023 সালের মাঝামাঝি চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে যে জোট ‘ইন্ডিয়া’ তৈরি হয়, সেই জোটে শরিক দলগুলির মধ্য়ে আসন সমঝোতা নিয়ে বারবার রাজনৈতিক মহলে আলোচনা হয়েছে ৷ সেই আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের নাম৷ কারণ, জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও তৃণমূল এখানে যুযুধান দুইপক্ষ ৷ কোনও কোনও মহল থেকে আসন ভাগাভাগি নিয়ে দুই দলের মধ্যে আলোচনা চলছে বলেও দাবি করা হচ্ছিল ৷
বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে সেই জোট সম্ভাবনায় কার্যত ইতি টেনেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মমতা বলেন, ‘‘আমার কোনও কথা হয়নি৷ কারও সঙ্গে আমার কোনও কথা হয়নি ৷ এবং আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম ৷ ওরা প্রথমদিনই প্রত্যাখান করেছে ৷ তখন থেকে আমাদের দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলায় একা লড়ব ৷ আমি বলেছিলাম আঞ্চলিক দলগুলিকে বাকি আসন ছেড়ে দিয়ে আপনারা 300 আসনে লড়াই করুন । এবার বাকিরা ঠিক করুন, তাঁরা কী করবেন ।’’
আরও পড়ুন: