কলকাতা, 24 ফেব্রুয়ারি: নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে 35 বছরের বাম রাজত্বের পতন হয়েছিল ৷ পরবর্তী সময়ে সেখানে সিঙ্গুর-সহ নানান ইস্যু জুড়ে ছিল ৷ সন্দেশখালির আন্দোলনের ক্ষেত্রেও তেমনই ইঙ্গিত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ৷ সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতিকে 'বশ্যতা বিরোধী সংগ্রাম' বলে উল্লেখ করলেন তিনি ৷ জানালেন, নন্দীগ্রামে যে ইস্যুগুলি ছিল, তার সবই সন্দেশখালিতে রয়েছে ৷ তবে, বাড়তি হিসেবে তিনি অভিযোগ করলেন, 2013 সালের পর থেকে সন্দেশখালির মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে ৷
তবে শুভেন্দুর মতে, সন্দেশখালিতে সবচেয়ে বড় ইস্যু নারী নির্যাতন ৷ বাড়ির মা-বোনদের উপর শাহজাহান এবং শিবপ্রসাদ হাজরার বাহিনী যে অত্যাচার এতদিন চালিয়েছে, তার প্রতিবাদেই সন্দেশখালির আন্দোলন শুরু হয়েছে ৷ আর এর সঙ্গে পরবর্তী সময়ে জমিদখলের বিষয়টি জুড়েছে বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু ৷ সঙ্গে আরও একটি অভিযোগ বিরোধী দলনেতা করেছেন ৷ যা নন্দীগ্রাম আন্দোলনের ক্ষেত্রে ছিল না বলে মত তাঁর ৷ আর তা হল, ভোটাধিকার হরণ ৷ 2013 সালের পর থেকে সন্দেশখালির 2 ব্লকের মানুষ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন না বলে দাবি তাঁর ৷
তৃণমূল সেখানকার মানুষের ভোটার কার্ড কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ ফলে 2013 সালের পর থেকে পঞ্চায়েত দূর, লোকসভা ও বিধানসভা ভোটেও সেখানকার মানুষ অংশ নিতে পারেননি ৷ তবে, এই মুহূর্তে সন্দেশখালির সবচেয়ে বড় ইস্যু নারী নির্যাতন ৷ উল্লেখ্য, গত দু’দিনের ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালির বিভিন্ন গ্রাম ৷ গতকাল রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার সন্দেশখালিতে যান ৷
যা নিয়ে শুভেন্দু বলেন, "ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গেছে ৷ কোনও জমি ফেরাতে নয় ৷ আমি আগেরদিন গিয়ে সব ফিরিয়ে দিয়ে এসেছি ৷ আর জমি ফেরানোর কী আছে ? যার যার জমি, তারা নিজেরা নিয়ে নিয়েছে ৷ আর রাজীব কুমার তো দলের প্রেসিডেন্ট হয়েছে ৷ সুব্রত বক্সিকে তো দেখাই যায় না ৷"
অন্যদিকে, গতকাল থেকে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি ৷ বেশ কয়েক জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ গ্রামগুলিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ৷ বেশ কয়েক জায়গায় রাস্তা আটকে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে ৷ স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বাড়িতেও গ্রামবাসীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷
আরও পড়ুন: