কলকাতা, 2 মার্চ: কৃষ্ণনগরের সভার পর শুভেন্দু-সুকান্তর সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ প্রায় 16 মিনিট রাজ্য বিজেপি সভাপতি এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ সেই বৈঠকেই মোদি সমীপে পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী হিংসা এবং লোকসভা ভোটে ভয়মুক্ত পরিবেশ রাখার জন্য আবেদন করেন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ পাশাপাশি সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটে রাজ্য নেতৃত্বকে গাইডলাইনও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ৷
এদিন কৃষ্ণনগরের সভার পর আলাদা করে দু'জনের সঙ্গে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি ৷ বৈঠকের ছবি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, "বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে আমরা জনগণের মধ্যে আমাদের সুশাসনের অ্য়াজেন্ডা আরও ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছি। তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে তাদের সাহস, আবেগ এবং প্রাণবন্ত লড়াইয়ের জন্য আমি প্রতিটি বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমরা সকলে মিলে পশ্চিমবঙ্গের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব। দলের ঐক্যবদ্ধ চেহারা দেখে আমার ভালো লাগছে ৷"
নরেন্দ্র মোদির সেই টুইট রি-টুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ তিনি লিখেছেন, "পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের দুঃশাসনে কীভাবে কেবল অপরাধ এবং দুর্নীতি বেড়েছে তা মোদিজির কাছে বিশদভাবে বর্ণনা করেছি ৷ এখানে উন্নয়নমূলক এবং জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বাধা রয়েছে। রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের স্কিমগুলির বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে, আবার জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য প্রকল্পগুলির নামের উপর স্টিকার লাগিয়ে দিয়েছে। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হল স্কিমগুলিকে কেলেঙ্কারীতে পরিণত করা। পশ্চিমবঙ্গের জনগণ তৃণমূলের দুর্নীতিকে প্রত্যাখ্যান করতে এবং বিজেপির পথ প্রশস্ত করতে বদ্ধপরিকর ৷"
বিজেপি সূত্রে খবর, বৈঠকে নরেন্দ্র মোদির কাছে বেশ কিছু নালিশও করেছেন বিরোধী দলনেতা ৷ সেখানে তিনি স্পষ্টভাবে রাজ্যের কিছু আইপিএস-আইএএস-এর নামে অভিযোগ জানিয়েছেন ৷ সেই সঙ্গে, রাজ্যের 25-30টি থানায় আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷
আরও পড়ুন
বাংলায় মোদির বিয়াল্লিশই টার্গেট, মতুয়া এলাকায় সিএএ নিয়ে চুপ প্রধানমন্ত্রী
দক্ষিণের পর এবার উত্তর, 9-11 মার্চের মধ্যে জলপাইগুড়িতে মোদির সভার সম্ভাবনা