কলকাতা, 6 ফেব্রুয়ারি: 'ওয়ান নেশন ওয়ান ভোট' নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী গঠিত হাই পাওয়ার কমিটি। যে কমিটির মাথায় রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। গতকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বাজেটের কারণে দিল্লি যাচ্ছেন না তিনি। তাঁর বদলে বৈঠকে যোগ দেবেন লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো এদিন দিল্লিতে এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই প্রতিনিধি।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে তাঁরা জানিয়ে দিলেন, 'এক দেশ এক নির্বাচন'-এর পক্ষে নয় তৃণমূল। এদিন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে আসলে ওয়ান নেশন ওয়ান ভোট-এর মাধ্যমে কৌশলে দেশকে রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তাঁরা এমনটা মনে করছেন, এক দেশ এক নির্বাচনের ধারণা দেশের সংবিধানের পরিপন্থী। এদিন দিল্লিতে যোধপুর অফিসার হস্টেল থেকে বেরিয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা ওয়ান নেশান ওয়ান ভোটের পক্ষে নই। ভারতবর্ষ এত বড় একটা দেশ। 32টা রাজ্য আটটা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল 140 কোটির উপর জনসংখ্যা এত গুলি রাজনৈতিক দল, এই আইন চালু করার আগে অ্যান্টি ডিফেকশন আইনকে আরও শক্তিশালী করা দরকার।"
তিনি আরও বলেন, "1952 সাল থেকে যে কয়েকবার একসঙ্গে নির্বাচন হয়েছে তখন এত দল ছিল না ৷ এত দল ভাঙানোর সুযোগও ছিল না। এখন যে কোনও সময় দল ভাঙিয়ে যে কোনও সরকারের পতন ঘটিয়ে দেওয়া যায়। এই অবস্থায় দেশের ফেডেরাল সিস্টেম অটুট রাখতে প্রচলিত ব্যবস্থার সঙ্গেই থাকা উচিত।" এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও সংযোজন, "আমরা আশঙ্কা করছি এর মাধ্যমে আদতে প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম অফ গভর্নমেন্ট তৈরির চেষ্টা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন: