কলকাতা, 30 মার্চ: পুলিশের হাতে আটক হলেন দক্ষিণ কলকাতা বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী। ঢাকুরিয়ার বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে পতাকা এবং ফেস্টুন খোলাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তীব্র বচসা হয়। পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় হয়ে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। ঘটনায় বিজেপি দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলা সভাপতি-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরই তাঁদের মুক্তির দাবিতে দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীর নেতৃত্বে ঢাকুরিয়া ব্রিজের ওপর রাস্তা অবরোধ করে বসে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। দীর্ঘক্ষণ অবরোধের পর আটক করা হয় বিজেপি প্রার্থীকেও ৷
শুক্রবার রাতে জেলা সভাপতি-সহ পাঁচ বিজেপি কর্মীর গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় প্রায় দেড় ঘণ্টা ঢাকুরিয়া ব্রিজ অবরোধ করে রাখেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পরে সেখানে উপস্থিত হন দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীও। তিনিও রাস্তায় বসে পড়েন ৷ দেবশ্রীর অভিযোগ, "হাত-পা ধরে, টেনে হিঁচড়ে সবাইকে গাড়িতে তোলা হয়েছে ৷ মহিলাদের হয়ে আন্দোলন করেছিলেন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পুলিশমন্ত্রীর ক্ষমতার দম্ভ হয়ে গিয়েছে। আসলে এটা তাঁর পতনের সময়।"
অন্যদিকে, একাধিকবার অবরোধ তুলে নেওয়ার কথা বলে লেক থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে মোতায়ন করা হয় পুলিশ বাহিনী। অভিযোগ, পরবর্তী সময়ে বিজেপি প্রার্থীকেও টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে তোলে পুলিশ ৷ সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। বিজেপি সূত্রে খবর, পাঁচ জনের মধ্যে কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ইতিমধ্যেই জামিন হয়েছে। তবে যতক্ষণ না সকলের জামিন হবে ততক্ষণ থানাতেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী।
অপরদিকে, পুলিশের দাবি, বিজেপির বিক্ষোভের জেরে রাতে অবরুদ্ধ হয়ে যায় ঢাকুরিয়ার মতো অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা। প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয়। সেই যানজটের দিকে লক্ষ্য দিয়েই বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের অবরোধ তুলে নিতে বলা হয় পুলিশের তরফে। তবে নিজেদের অবরোধে অনড় থাকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। প্রবল যানজট সৃষ্টি হওয়ার কিছু সময় পর অবশ্য রাস্তার একটি লেন খুলে দেওয়া হয়। সেখান থেকেই যাতায়াত করে সমস্ত গাড়ি।
আরও পড়ুন
'মনখারাপে' জোড়াফুলের ছোঁয়া ; বরানগরে সায়ন্তিকা, ভগবানগোলায় রেয়াত হোসেন
‘রেখা পাত্রকে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাব আমরা’, বসিরহাটে মিছিল থেকে হুংকার শুভেন্দুর