বজবজ, 19 ফেব্রুয়ারি: তিন বছরে শেষ হল বজবজ চড়িয়াল বাজারে খালের উপর সেতু তৈরির কাজ ৷ আর আজ সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সেতুর দ্বিতীয়ভাগটির উদ্বোধন করলেন ৷ সেখানেই দশবছর সাংসদ হিসেবে কী কী কাজ করেছেন ও তার জন্য কতখরচ করেছেন সেই হিসেবে তুলে ধরলেন অভিষেক ৷ তাও আবার প্রতি ঘণ্টার হিসেবে ৷ জানালেন 10 বছরে প্রতি ঘণ্টায় 1 কোটি 55 লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে ৷ মোট 5 হাজার 580 কোটি টাকার কাজ হয়েছে তাঁর লোকসভায় ৷
উল্লেখ্য, ডায়মন্ড হারবার লোকসভার বজবজ বিধানসভার চড়িয়াল মোড় ৷ এলাকার সবচেয়ে বেশি যানজট এই চড়িয়াল মোড়েই হয় ৷ কারণ অভিযোগ ছিল, রাস্তার দুই ধার জুড়ে সকাল-বিকেল দু’বেলা বসে বাজার ৷ ফলে রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করত কচ্ছপের গতিতে ৷ আর পথ দুর্ঘটনা ছিল নিত্যদিনের ঘটনা ৷ তিনবছর আগে তাই চড়িয়াল খালের উপর থাকা জরাজীর্ণ ও সংকীর্ণ সেতুটি ভেঙে সংস্কারের প্রস্তাব পাশ হয়েছিল ৷ যার শিলান্যাস করেছিলেন স্বয়ং অভিষেক ৷ প্রথমধাপে 2 বছরে পুরনো সেতুটিকে সংস্কার ও চওড়া করে সাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয় ৷
এর পর দ্বিতীয় ধাপে গত একবছরে সেতুর দ্বিতীয় ফ্ল্যাঙ্কটি তৈরি করা হয়েছে ৷ আজ তারই উদ্বোধন করলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ ৷ তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকায় এই সেতু তৈরি করিয়েছেন অভিষেক ৷ সেখানেই অভিষেক বলেন, "এটাই ডায়মন্ডহারবার মডেল ৷ যেখানে মানুষকে দেওয়া কথা সময়ের মধ্যে পূরণ করা হয় ৷" এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা টেনে আনেন অভিষেক ৷ সেই সূত্রেই তাঁর 10 বছরের সাংসদ হিসেবে কত টাকা এই লোকসভা কেন্দ্রে খরচ করেছেন, তা তুলে ধরেন অভিষেক ৷
ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ বলেন, "বাংলার মানুষ একটা দলকে রাজ্যে ক্ষমতায় আনেনি বলে তাদের প্রাপ্য আটকে দিচ্ছে ৷ কেন এই বিভেদ ? কিন্তু, বাংলার মানুষ জলে পড়ে নেই ৷ মোদি সরকার 11 লক্ষ 36 হাজার মানুষকে তাঁদের ন্যায্য বাড়ির টাকা দিচ্ছে না ৷ এই নরেন্দ্র মোদি 2019-এ বলেছিলেন 2022 সালের মধ্য দেশের প্রত্যেক গরিবের মাথায় পাকা ছাদ তৈরি করে দেবেন ৷ তা পূরণ তো হয়নি, বরং মানুষের হকের টাকা আটকে রেখেছেন ৷ তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার ডায়মন্ডহারবারের উন্নয়ন আটকে রাখতে পারেনি ৷"
অভিষেক বলেন, "গত 10 বছরে ডায়মন্ডহারবার লোকসভায় 5 হাজার 580 কোটি টাকার কাজ হয়েছে ৷ যেখানে সাংসদ তহবিল, বিধায়ক তহবিল, কারিগরি বিভাগ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বরাদ্দ থেকে এই টাকা খরচ করা হয়েছে ৷ অর্থাৎ, প্রতিবছরে 558 কোটি টাকা ও প্রতি ঘণ্টা 1 কোটি 55 লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে ডায়মন্ডহারবার লোকসভায় ৷"
আরও পড়ুন: