নয়াদিল্লি, 16 মার্চ: লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই প্রতিক্রিয়া দিলেন কংগ্রেস এবং বিজেপির সভাপতি। জেপি নাড্ডার মতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়বে বিজেপি। আবার মল্লিকার্জুন খাড়গের মতে এই নির্বাচনে সংবিধান এবং গণতন্ত্রকে রক্ষা করার শেষ সুযোগ পাবেন দেশের ভোটাররা। আর গণতন্ত্রের এই যুদ্ধে লড়াই করতে কংগ্রেস প্রস্তুত ৷
নাড্ডা আরও বলেন,"লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণাকে স্বাগত জানাই। আমরা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকারে ফিরব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আগামী পাঁচ বছরে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণের কাজ হবে।" কিন্তু একেবারে উলটো প্রান্তে দাঁড়িয়ে খাড়গের প্রতিক্রিয়া, "দেশের জনগণ একত্রিত হয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। মূল্যবৃদ্ধি থেকে শুরু করে বেকারত্ব রুখতে এবং ভয় মুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাতে রেখে লড়াই হবে।"
কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের প্রধান পবন খেরা বলেন, “ভোটাররা ডাক দিয়েছেন । গণতন্ত্রের যুদ্ধ শুরু হয়েছে এবং আমরা এর জন্য প্রস্তুত । এটি সাধারণ নির্বাচন নয় । এটি ভারতের জন্য একটি বিশেষ নির্বাচন ৷ কারণ, এটি সিদ্ধান্ত নেবে দেশ গরিবপন্থী নীতি নাকি ধনীপন্থী নীতিতে চলবে । এই নির্বাচন নির্ধারণ করবে বিআর আম্বেদকরের সংবিধানের ভিত্তিতে নাকি স্বৈরাচারী শাসকের প্রশংসা করে দেশ চলবে । ভোটাররা স্বৈরাচারী শাসকের অহংকারে ঘা দেবেন ।’’
2014 সালে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-কে হারিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ ৷ প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি ৷ 2019 সালে অনেক চেষ্টা করেও মোদি সরকারকে গদিচ্যূত করতে পারেনি কংগ্রেস ৷ এবারও তারা একই লক্ষ্য়ে লড়াই চালাচ্ছে ৷ ইতিমধ্যে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোট তৈরি করেছে কংগ্রেস ৷ সেই জোটের সাফল্যের ফল বের হবে আগামী 4 জুন ৷ তার আগে জোটকে পরীক্ষা দিতে হবে এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে সাত দফায় ৷
কংগ্রেসের পরীক্ষার ফল ভালোই হবে ৷ দলের নেতা অভিষেক দত্ত জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধির প্রতিশ্রুতি মানুষ গুরুত্ব দিতে শুরু করেছেন ৷ রাহুলের দেওয়া পাঁচটি গ্যারান্টির প্রতিশ্রুতিই মানুষকে কংগ্রেসের দিকে টেনে আনবে বলে মনে করেন আরেক কংগ্রেস নেতা টিএস সিংদেও ৷ কংগ্রেসের মিডিয়া হেড পবন খেরা দুর্নীতি ইস্যুতেও বিজেপিকে বিঁধেছেন ৷ তাই তিনি মনে করেন যে আগামী দু’মাসের মধ্যে দেশের মানুষ এই মোদি সরকারকে বিদায় দেবে ৷
এবার সাত দফায় ভোট হবে ৷ এত দফায় ভোট কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছে অনেকেই ৷ যদিও কংগ্রেসের এই নিয়ে কোনও আপত্তি নেই ৷ তবে তাদের দাবি, হেট স্পিচ বা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য নিয়ে কমিশনকে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে ৷
আরও পড়ুন: