কলকাতা, 18 মার্চ: মাত্র তিনমাসের মধ্যে রাজ্য পুলিশের ডিজি বদল হয়ে গেল । জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আজ রাজীব কুমারকে বদলে বিবেক সহায়কে রাজ্য পুলিশের ডিজি করা হয়েছে । কিন্তু, দায়িত্ব পাওয়ার কয়েকমাসের মধ্যেই ডিজি বদল করায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে । বিরোধীরা রাজীব কুমারের যোগ্যতা ও পক্ষপাতিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন । অন্যদিকে রাজ্যের শাসকদলের দাবি, বিজেপির মদতে চলছে নির্বাচন কমিশন ।
এই ঘটনায় সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন,"এটা স্বাভাবিক এবং সঙ্গত। সবাই জানত । ওকে ডিজি করেছে, এটা জেনেই যাতে ওকে ডিজি থেকে সরিয়ে দেওয়া যায় । সব জেনে বুঝে ডেসপারেটলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজীব কুমারকে ডিজি করে শাহজাহান-শিবু মার্কা ফাইলের তথ্য লোপাট করতে। ডিসেম্বর মাসে নিয়োগ করে দু'আড়াই মাস ধরে পিসি ভাইপো-শাহজাহান-শিবুদের ফাইল লোপাট করেছে। এখন তথ্য লোপাট করার কাজ শেষ। ফলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখন কোনও চিন্তা নেই তো। পুলিশের লোকেরা বলে রাজীব কুমার যোগ্য অফিসার, তাহলে কেন মাত্র কয়েকমাসে সরিয়ে দেওয়া হল ? রাজীব কুমারকে কি নিজে আয়নার সামনে দাঁড়াবেন ? তিনি দলতন্ত্রের অংশীদার। তিনি আউট। নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু, রাজীব কুমারের মতো আরও আইপিএস অফিসার আছেন। তাঁদের কী হবে ? এদের কারণেই নিচুতলার অফিসাররা সমস্যায় পড়ছেন ।"
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, "রাজীব কুমার প্রথম থেকেই বিতর্কিত । তাঁর কাজকর্ম নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন রয়েছে । তাঁর কাজ সন্দেহের উপরে নয়। তাঁকে ডিজি করার সময়ই প্রশ্ন ছিল । স্বাভাবিকভাবে কারও প্রতি আনুগত্য আছে এমন কোনও ব্যক্তিকে নির্বাচনে রাখা হবে না । কারণ, তাঁকে রাখলে স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব নয় ।"
যদিও ডিজি বদল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "বিজেপি ভারতের নির্বাচন কমিশন-সহ সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের অপব্যবহার করার চেষ্টা করছে ৷ এমনকি তাঁরা নিয়োগ প্যানেল পরিবর্তন করে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগে হস্তক্ষেপ করছে। আজ ইসিআই যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা ইসিআইয়ের উপর বিজেপির নিয়ন্ত্রণের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। বিজেপি যদি এমন 100 জন অফিসারকেও বদল করে, তবে তাতে কিছু যায় আসে না। কারণ, বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছে। অন্যদিকে, বিজেপি নিছক ভয়ে আঁকড়ে আছে ৷ হারানোর ভয় ।"
আরও পড়ুন :