ETV Bharat / politics

রেল ও সড়ক উন্নয়ন ও প্রশাসনিক অসহযোগিতার অভিযোগ; জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর 5 বছরের খতিয়ান - Lok Sabha Election 2024 - LOK SABHA ELECTION 2024

Lok Sabha Election 2024: পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে জঙ্গলমহলের কথা উঠলেই, মাওবাদী প্রসঙ্গ আসবেই ৷ 2019 লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের মৃগাঙ্ক মাহাতোকে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন বিজেপির জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ৷ এই পাঁচ বছরের সময়কালে সাংসদের বদলের কারণগুলি কি পূরণ করতে পেরেছেন তিনি ? না পারলে, তার কারণ কী ? খোঁজ নিল ইটিভি ভারত ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 15, 2024, 5:02 PM IST

জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর 5 বছরের খতিয়ান

পুরুলিয়া, 15 এপ্রিল: জঙ্গলমহলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা কেন্দ্র পুরুলিয়া ৷ গত লোকসভা নির্বাচনে থেকে জঙ্গলমহলের অন্যান্য জেলার মতো পুরুলিয়াতেও পদ্ম ফুলের প্রভাব দেখা গিয়েছে ৷ আদিবাসী এলাকাগুলিতে বঞ্চনা, নাগরিক পরিষেবা না-পাওয়া, অনুন্নয়নের অভিযোগকে হাতিয়ার করে পুরুলিয়া লোকসভায় 2019 সালে জিতেছিলেন বিজেপির প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ৷ তৃণমূলের প্রার্থী মৃগাঙ্ক মাহাতোকে প্রায় 2 লক্ষ ভোটে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি ৷ এবার আরেকটি লোকসভা নির্বাচন, গত পাঁচ বছরে সাংসদ কী কাজ করেছেন ? কি করতে পারেননি ? পুরুলিয়াবাসীর আশাপূরণে কতটা সফল সাংসদ ? তা নিয়ে ইটিভি ভারতের রিপোর্ট কার্ড ৷

1957 সালে তৈরি হয়েছিল পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্র ৷ বাগমুণ্ডি, মানবাজার, বলরামপুর, কাশিপুর, পাড়া, জয়পুর এবং পুরুলিয়া মোট সাতটি বিধানসভা নিয়ে এই পুরুলিয়া লোকসভা ৷ পুরুলিয়া লোকসভার বেশিরভাগ বিধানসভার অন্তর্গত প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে পিছিয়ে পড়া আদিবাসীদের সমাজে অনুন্নয়নের ছাপ সুস্পষ্ট ৷ সেখান থেকেই মূলত 2011 সালে রাজ্যে পরিবর্তনের ঝড় উঠেছিল ৷ পরবর্তীকালে রাজ্যে পরিবর্তন হলেও, দিনলিপিতে খুব একটা পরিবর্তন দেখা যায়নি জঙ্গলমহলের পুরুলিয়া জেলার এই প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে ৷

আর সেই কারণেই হয়তো পুরুলিয়া লোকসভার ভোটাররা 2019-এর নির্বাচনে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মকে বেছে নিয়েছিল ৷ সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ৷ তিনি তাঁর সম্পূর্ণ 5 বছরে বহু কাজ করেছেন বলে দাবি করেছে পুরুলিয়া জেলার বিজেপির নেতৃত্ব ৷
সেই দাবি অনুযায়ী, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো গত 5 বছরে মোট 18 কোটি 54 লক্ষ 15 হাজার টাকার উন্নয়নের কাজ করেছেন ৷ যদিও, কোভিডের সময় 2020-21 অর্থবর্ষে 5 কোটি ও 2021-22 অর্থবর্ষে 3 কোটি টাকা পাননি কোনও সাংসদই ৷ আর যেটুকু টাকা পেয়েছেন সমস্তটাই তিনি খরচ করেছেন উন্নয়নের স্বার্থে, এমনটাই দাবি খোদ সাংসদের ৷ বিজেপির প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী,

  1. রাস্তা, নিকাশি, পানীয় জলের জন্য 8 কোটি টাকার বেশি খরচ করেছেন সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ৷ এর মধ্যে যেমন রয়েছে সাবমারসিবল পাম্প, ডিপ টিউবওয়েল, পাকা রাস্তা, স্ট্রিট লাইট ও সোলার লাইট ৷
  2. এছাড়াও 15টি কমিউনিটি সেন্টার তৈরিতে 2 কোটি 27 লাখ 44 হাজার টাকা ব্যয় করেছেন সাংসদ ৷
  3. বিভিন্ন স্কুলে ক্লাসরুম তৈরি করতে 1 কোটি 47 লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন ৷
  4. কোল্ড স্টোরেজ তৈরি করতে 1 কোটি 25 লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে ৷
  5. কোভিডের সময় জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিকের তহবিলে 50 লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতা ৷
  6. উল্লেখযোগ্য আরও কাজগুলির মধ্যে রয়েছে হাসপাতালের বেড, রক্ত পরীক্ষা কেন্দ্র, ল্যাবরেটরি, পার্ক ও মাল্টি জিম নির্মাণ, হস্টেল, প্রার্থনা সভাগৃহ, শ্মশানঘাট নির্মাণ, কবরস্থানের বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি ও মন্দিরের উন্নয়ন ৷

যদিও, কেন্দ্রীয় সরকারের সাংসদ তহবিলের ওয়েবসাইটের তথ্য অন্য কথা বলছে ৷ সেই তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে প্রত্যেক সাংসদের মতো জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর নামে 17 কোটি টাকা রবাদ্দ ছিল ৷ যার মধ্যে মাত্র 5 কোটি টাকা কেন্দ্রের থেকে পাশ করাতে পেরেছেন তিনি ৷ 12 কোটি টাকা এখনও সরকারের ঘরে পড়ে রয়েছে ৷ আর পাশ হওয়া 5 কোটির মধ্যে 2.98 কোটি টাকা এখনও খরচ করতে পারেননি তিনি ৷

aLok Sabha Election 2024
প্রচারে বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো

যদিও, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো দাবি করেছেন, তাঁর অনুরোধে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা পুরুলিয়া কেন্দ্রের বাসিন্দাদের মারণ রোগ এবং অন্যান্য চিকিৎসার জন্য অনুদান দেওয়া হয়েছে ৷ শুধু তাই নয়, তাঁর চেষ্টাতেই জেলায় নতুন রেলপথের সূচনা হয়েছে ৷ পাশাপাশি 7টি স্টেশনে অমৃত ভারত রেল প্রকল্পে উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে ৷ সেই স্টেশনগুলিকে পুরুলিয়ার বিভিন্ন মনীষীদের নামে উৎসর্গ করা হবে ৷ এছাড়াও পুরুলিয়ার গোশালা মোড়ে উড়ালপুল তৈরি হচ্ছে, পুরুলিয়া থেকে কোটশিলা যাওয়ার ডাবল লাইন হচ্ছে ৷

অন্যদিকে সাংসদের এই রিপোর্ট কার্ডকে কটাক্ষ করেছেন পুরুলিয়া জেলার তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া ৷ তাঁর কথায় "সাংসদ হিসেবে জ্যোতির্ময় সিং মাহাত সম্পূর্ণ ব্যর্থ ৷ পুরুলিয়ায় তিনি পাঁচ বছরে কোনও কাজই করেননি ৷ যদি, আসল তথ্য নিয়ে বেরোন, তাহলে মানুষের কাছে পৌঁছতে পারবেন না ৷ কোভিডের সময় আমাদের দলের লোকজন মানুষের সব প্রয়োজনে পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৷ সেই সময় উনি কোথায় ছিলেন ?"

পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে সাংসদের কাজ নিয়ে ৷ সাংসদের কাজ নিয়ে অনেকেই খুশি এবং তাকে চাইলেই সময় মতো পাওয়া গিয়েছে বলে একাংশের দাবি ৷ আবার কেউ কেউ বলছেন, তাঁরা সাংসদকে চোখেই দেখেননি ৷ পুরুলিয়া লোকসভায় পুনরায় বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ৷ আর এবার তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো ৷ এখন জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন পুরুলিয়ার বিদায়ী সাংসদ ৷ এখন দেখার সাংসদের গত পাঁচ বছরের উন্নয়ন তাঁর ভোট বাক্সে প্রভাব দেখায় কিনা ৷

আরও পড়ুন:

  1. 5 বছরে দেখাই যায়নি সাংসদকে ! তবে উন্নয়ন ? একনজরে জগন্নাথ সরকারের রিপোর্ট কার্ড
  2. শিল্প নেই, বেড়েছে বেকারত্ব-পরিযায়ী শ্রমিক; বালুরঘাটে কী বলছেন সুকান্ত?
  3. হুগলির উন্নয়নে 17 কোটি খরচের দাবি লকেটের, দেখা মেলে না বলে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয়রা

জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর 5 বছরের খতিয়ান

পুরুলিয়া, 15 এপ্রিল: জঙ্গলমহলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা কেন্দ্র পুরুলিয়া ৷ গত লোকসভা নির্বাচনে থেকে জঙ্গলমহলের অন্যান্য জেলার মতো পুরুলিয়াতেও পদ্ম ফুলের প্রভাব দেখা গিয়েছে ৷ আদিবাসী এলাকাগুলিতে বঞ্চনা, নাগরিক পরিষেবা না-পাওয়া, অনুন্নয়নের অভিযোগকে হাতিয়ার করে পুরুলিয়া লোকসভায় 2019 সালে জিতেছিলেন বিজেপির প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ৷ তৃণমূলের প্রার্থী মৃগাঙ্ক মাহাতোকে প্রায় 2 লক্ষ ভোটে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি ৷ এবার আরেকটি লোকসভা নির্বাচন, গত পাঁচ বছরে সাংসদ কী কাজ করেছেন ? কি করতে পারেননি ? পুরুলিয়াবাসীর আশাপূরণে কতটা সফল সাংসদ ? তা নিয়ে ইটিভি ভারতের রিপোর্ট কার্ড ৷

1957 সালে তৈরি হয়েছিল পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্র ৷ বাগমুণ্ডি, মানবাজার, বলরামপুর, কাশিপুর, পাড়া, জয়পুর এবং পুরুলিয়া মোট সাতটি বিধানসভা নিয়ে এই পুরুলিয়া লোকসভা ৷ পুরুলিয়া লোকসভার বেশিরভাগ বিধানসভার অন্তর্গত প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে পিছিয়ে পড়া আদিবাসীদের সমাজে অনুন্নয়নের ছাপ সুস্পষ্ট ৷ সেখান থেকেই মূলত 2011 সালে রাজ্যে পরিবর্তনের ঝড় উঠেছিল ৷ পরবর্তীকালে রাজ্যে পরিবর্তন হলেও, দিনলিপিতে খুব একটা পরিবর্তন দেখা যায়নি জঙ্গলমহলের পুরুলিয়া জেলার এই প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে ৷

আর সেই কারণেই হয়তো পুরুলিয়া লোকসভার ভোটাররা 2019-এর নির্বাচনে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মকে বেছে নিয়েছিল ৷ সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ৷ তিনি তাঁর সম্পূর্ণ 5 বছরে বহু কাজ করেছেন বলে দাবি করেছে পুরুলিয়া জেলার বিজেপির নেতৃত্ব ৷
সেই দাবি অনুযায়ী, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো গত 5 বছরে মোট 18 কোটি 54 লক্ষ 15 হাজার টাকার উন্নয়নের কাজ করেছেন ৷ যদিও, কোভিডের সময় 2020-21 অর্থবর্ষে 5 কোটি ও 2021-22 অর্থবর্ষে 3 কোটি টাকা পাননি কোনও সাংসদই ৷ আর যেটুকু টাকা পেয়েছেন সমস্তটাই তিনি খরচ করেছেন উন্নয়নের স্বার্থে, এমনটাই দাবি খোদ সাংসদের ৷ বিজেপির প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী,

  1. রাস্তা, নিকাশি, পানীয় জলের জন্য 8 কোটি টাকার বেশি খরচ করেছেন সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ৷ এর মধ্যে যেমন রয়েছে সাবমারসিবল পাম্প, ডিপ টিউবওয়েল, পাকা রাস্তা, স্ট্রিট লাইট ও সোলার লাইট ৷
  2. এছাড়াও 15টি কমিউনিটি সেন্টার তৈরিতে 2 কোটি 27 লাখ 44 হাজার টাকা ব্যয় করেছেন সাংসদ ৷
  3. বিভিন্ন স্কুলে ক্লাসরুম তৈরি করতে 1 কোটি 47 লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন ৷
  4. কোল্ড স্টোরেজ তৈরি করতে 1 কোটি 25 লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে ৷
  5. কোভিডের সময় জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিকের তহবিলে 50 লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতা ৷
  6. উল্লেখযোগ্য আরও কাজগুলির মধ্যে রয়েছে হাসপাতালের বেড, রক্ত পরীক্ষা কেন্দ্র, ল্যাবরেটরি, পার্ক ও মাল্টি জিম নির্মাণ, হস্টেল, প্রার্থনা সভাগৃহ, শ্মশানঘাট নির্মাণ, কবরস্থানের বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি ও মন্দিরের উন্নয়ন ৷

যদিও, কেন্দ্রীয় সরকারের সাংসদ তহবিলের ওয়েবসাইটের তথ্য অন্য কথা বলছে ৷ সেই তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে প্রত্যেক সাংসদের মতো জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর নামে 17 কোটি টাকা রবাদ্দ ছিল ৷ যার মধ্যে মাত্র 5 কোটি টাকা কেন্দ্রের থেকে পাশ করাতে পেরেছেন তিনি ৷ 12 কোটি টাকা এখনও সরকারের ঘরে পড়ে রয়েছে ৷ আর পাশ হওয়া 5 কোটির মধ্যে 2.98 কোটি টাকা এখনও খরচ করতে পারেননি তিনি ৷

aLok Sabha Election 2024
প্রচারে বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো

যদিও, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো দাবি করেছেন, তাঁর অনুরোধে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা পুরুলিয়া কেন্দ্রের বাসিন্দাদের মারণ রোগ এবং অন্যান্য চিকিৎসার জন্য অনুদান দেওয়া হয়েছে ৷ শুধু তাই নয়, তাঁর চেষ্টাতেই জেলায় নতুন রেলপথের সূচনা হয়েছে ৷ পাশাপাশি 7টি স্টেশনে অমৃত ভারত রেল প্রকল্পে উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে ৷ সেই স্টেশনগুলিকে পুরুলিয়ার বিভিন্ন মনীষীদের নামে উৎসর্গ করা হবে ৷ এছাড়াও পুরুলিয়ার গোশালা মোড়ে উড়ালপুল তৈরি হচ্ছে, পুরুলিয়া থেকে কোটশিলা যাওয়ার ডাবল লাইন হচ্ছে ৷

অন্যদিকে সাংসদের এই রিপোর্ট কার্ডকে কটাক্ষ করেছেন পুরুলিয়া জেলার তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া ৷ তাঁর কথায় "সাংসদ হিসেবে জ্যোতির্ময় সিং মাহাত সম্পূর্ণ ব্যর্থ ৷ পুরুলিয়ায় তিনি পাঁচ বছরে কোনও কাজই করেননি ৷ যদি, আসল তথ্য নিয়ে বেরোন, তাহলে মানুষের কাছে পৌঁছতে পারবেন না ৷ কোভিডের সময় আমাদের দলের লোকজন মানুষের সব প্রয়োজনে পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৷ সেই সময় উনি কোথায় ছিলেন ?"

পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে সাংসদের কাজ নিয়ে ৷ সাংসদের কাজ নিয়ে অনেকেই খুশি এবং তাকে চাইলেই সময় মতো পাওয়া গিয়েছে বলে একাংশের দাবি ৷ আবার কেউ কেউ বলছেন, তাঁরা সাংসদকে চোখেই দেখেননি ৷ পুরুলিয়া লোকসভায় পুনরায় বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ৷ আর এবার তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো ৷ এখন জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন পুরুলিয়ার বিদায়ী সাংসদ ৷ এখন দেখার সাংসদের গত পাঁচ বছরের উন্নয়ন তাঁর ভোট বাক্সে প্রভাব দেখায় কিনা ৷

আরও পড়ুন:

  1. 5 বছরে দেখাই যায়নি সাংসদকে ! তবে উন্নয়ন ? একনজরে জগন্নাথ সরকারের রিপোর্ট কার্ড
  2. শিল্প নেই, বেড়েছে বেকারত্ব-পরিযায়ী শ্রমিক; বালুরঘাটে কী বলছেন সুকান্ত?
  3. হুগলির উন্নয়নে 17 কোটি খরচের দাবি লকেটের, দেখা মেলে না বলে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয়রা
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.