কৃষ্ণনগর, 3 মে: 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপি 18টি আসনে জয়ী হয়েছিল ৷ এবার প্রায় দ্বিগুন আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ কিন্তু বিজেপিকে বাংলা থেকে আরও বেশি আসনে জেতালে লাভ কী হবে ? শুক্রবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরের নির্বাচনী জনসভা থেকে এই প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তাঁর কথায়, বাংলায় বিজেপির সাংসদ যত বাড়বে, ততই বাংলার বিকাশ তরান্বিত হবে ৷
এ দিন যে এলাকায় প্রধানমন্ত্রী মোদি সভা করেন, সেখানকার সাংসদ ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র ৷ ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে তাঁকে কয়েকমাস আগেই লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয় ৷ তার আগে লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধেই বেশি সরব হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে ৷ এবারও মহুয়াকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল ৷
কৃষ্ণনগরে সভা করতে এসে নাম না করে মহুয়াকেও কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তাঁর কথায়, বিজেপি তথা এনডিএ-র সাংসদ যত বেশি থাকবেন লোকসভায়, সারা দেশে উন্নয়নের কাজ তত বেশি হবে ৷ বিরোধী সাংসদরা উন্নয়নের কাজ করেন না ৷ বরং লোকসভায় শুধু হইচই করে ৷
তৃণমূল কংগ্রেসকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তিনি জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের লুটের সব হিসেব করার গ্যারান্টি দিচ্ছেন তিনি ৷ যাঁরা তৃণমূলের লুটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদেরও সব টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ৷
বাংলার শিল্পায়নের পরিস্থিতি নিয়েও সরব হন প্রধানমন্ত্রী ৷ এই নিয়ে মোদি একসঙ্গে নিশানা করেন কংগ্রেস, বাম ও তৃণমূলকে ৷ তাঁর দাবি, এই তিনপক্ষই বাংলাকে শিল্পবন্ধ্যা করে তুলেছে ৷ সেই কারণেই বাংলায় কেউ বিনিয়োগ করতে আসে না ৷ তাঁর মুখে আবার সিএএ প্রসঙ্গ শোনা যায় ৷ সিএএ-র বিরুদ্ধে কথা বলে তৃণমূল হিন্দুদের, বিশেষ করে মতুয়াদের অধিকার হরণ করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ তাঁর আরও অভিযোগ, বাংলার সরকারের কী কাজ, সেটাও রোজ আদালত মনে করিয়ে দেয় ৷
তাছাড়া এ দিন তিনি দাবি করেন, বাংলায় অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে ৷ তাই তিনি এই অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন ৷ জানান, তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের তৃতীয় দফায় অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে ৷
আরও পড়ুন: