কলকাতা, 3 মার্চ: সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সরদারকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ । আদালতের শুনানির প্রেক্ষিতে জেলেও যেতে হয়েছিল তাঁকে । পরবর্তীতে তিনি জামিন পেয়েছেন । কিন্তু তাঁর কয়েকদিনের জেল অভিজ্ঞতা ধারণা বদলে দিয়েছে ৷ এমনটাই ইটিভি ভারতের কাছে দাবি করলেন সিপিএম নেতা নিরাপদ সরদার ৷
তাঁর কথায়, "যুব সমাজকে মিথ্যে মামলায় জেলে ভরেছে মমতা । পাড়ার যে সমস্যা পাঁচ মিনিটে আলোচনায় মিটে যেত, তা না করে তরুণ তরতাজা যুবক সমাজকে জেলে ভরা হয়েছে । আম চুরি, ডাব চুরি, পাড়ার বিবাদ ইত্যাদি ঝামেলার কারণে পরস্পরের যুদ্ধে মিথ্যে মামলা করে গারদে ভরা হয়েছে । আমি যে কদিন বসিরহাট জেলেছিলাম, আমার সঙ্গে 252 জন ছিল । যাদের বয়স 18 থেকে 35 বছরের মধ্যে । তাদের সঙ্গে আলোচনায় বুঝলাম অধিকাংশ জনই তৃণমূলকর্মী সমর্থক । যাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার যুব সমাজের কোমর ভেঙে দিয়েছে । বামফ্রন্ট আমলে যে সমস্যা পাঁচ মিনিটের আলাপ-আলোচনায় জায়গায় মিটে যেত তা আজ কোটকাচারি করে সমাজব্যবস্থাকে শেষ করে দিয়েছে ।"
সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর বক্তব্য, "এখন সন্দেশখালি মানুষজনকে মিথ্যা এবং ভুল কাগজপত্র দিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । স্থানীয়দের জমি ফেরত দেওয়া হচ্ছে । যাতে পরিস্থিতির সামাল দেওয়া যায় । কিন্তু আদতের সমস্যার সমাধান হচ্ছে না । কারণ চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে জমির চরিত্র বদলে দেওয়া হয়েছে । পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে মায়েরা বোনেরা রাস্তায় যাতায়াতে লাঠি হাতে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয় । এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে । সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ নিজেদের অধিকার হক লড়াই আন্দোলনের মাধ্যমে ছিনিয়ে নেবে ।"
সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সরদারের নেতৃত্বেই তাঁর ভেড়ির অফিস,পোলট্রি ফার্মে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে । এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা ৷ তার এই অভিযোগের ভিত্তিতে 11 ফেব্রুয়ারি বাঁশদ্রোণী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল নিরাপদ সরদারকে ৷ পরে অবশ্য সিপিএমের তরফে দাবি করা হয়, শিবপ্রসাদ হাজরার পোলট্রি ফার্ম ও বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনার দিন কলকাতায় ছিলেন সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সদস্য নিরাপদ সরদার ৷ সাংবাদিক সম্মেলন করে খোদ সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এমনটাই দাবি করেন ৷ সেই প্রেক্ষিতে তিনি নিরাপদ সরদারের নিঃশর্ত মুক্তিরও দাবি তুলেছিলেন ৷
আরও পড়ুন: