আরামবাগ, 2 মার্চ: সন্দেশখালি নিয়ে শুক্রবার আরামবাগে তৃণমূলকে একাধিক আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি, তৃণমূল 30 শতাংশ সংখ্যালঘু মুসলিম ভোটে নিয়ে যে অহংকার আছে, তা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকী সংখ্যালঘু মুসলিম মহিলারাও তৃণমূলকে ভোট যে দেবে না তাও মন্তব্য করেছেন মোদি। সেই দাবিকে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী নস্যাৎ করে ইটিভি ভারতকে ফোনে জানান, সন্দেশখালির ভূমিকা নিয়ে তৃণমূলের উপর ক্ষুব্ধ সকল সম্প্রদায়ের মহিলারা। আর বিজেপি যেভাবে মহিলা ও সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ করছে তাতে বিজেপিকে ভরসা করবে না মানুষ।
গতকাল আরামবাগের জনসভা থেকে মুসলিম ভোট ব্যাংক নিয়ে বলতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন, তৃণমূলের একটা নিশ্চিত ভোট ব্যাংকের (মুসলিম ভোট) অহংকার আছে। আর 2024 সালের লোকসভা ভোটে এই অহংকার ভেঙে যাবে তৃণমূলের। সেই প্রসঙ্গে পালটা ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকীর মন্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেভাবে হিংসা করেছে তৃণমূল, তাতে শাসকদল বুঝে গিয়েছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট তাদের পাশে নেই। সেই কারণেই বিভিন্ন জায়গায় রিগিং করেছে। ভোটে বুথ দখল করেছে এবং গণনার দিনে অশান্তি করেছে। সেই কারণেই বলছি, মোদিজি যদি মনে করেন তৃণমূলকে পরাস্ত করার জন্য বিজেপিকে ভোট দেবে মানুষ, তাহলে তা ভুল ৷ এমনকিছু কাজ বিজেপি বা মোদিজির পক্ষ থেকে হয়নি।
অন্যদিকে, গুজরাতে বিলকিস বানো ঘটনার উদাহরণ টেনে নওশাদ জানান, ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের কীভাবে সুবিধা দেওয়া হয়েছে সকলেই দেখেছে। পশ্চিমবাংলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরাও দেখেছেন। ক্রমাগত বিজেপির পক্ষ থেকে সংখ্যালঘু মানুষের উপর বিদ্বেষমূলক আচরণ করা হচ্ছে। উলটে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অন্যায় সংগঠিত করছে। সেই কারণে বিজেপিকে কেউ ভোট দেবে না এটা পরিষ্কার৷
এদিন আইএসএফের তরফে নওশাদ জানান, বিজেপির সঙ্গে জোটে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই থাকছে না তাদের। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া জোটে আইএসএফের যুক্ত হওয়া কথা বলতে গিয়ে তিনি জানিয়ে দেন ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূল থাকলে সেখানে আইএসএফ থাকছে না। প্রয়োজনে আইএসএফ এককভাবে লড়াই করবে।
আরও পড়ুন: