দুর্গাপুর, 4 ফেব্রুয়ারি: বিরোধীদের অভিযোগ এই রাজ্যে শুধু মেলা আর খেলা হচ্ছে। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক বললেন, "পশ্চিমবঙ্গে যা কর্মসংস্থান হয়েছে ভারতবর্ষের আর কোনও রাজ্যে হয়নি।" দুর্গাপুরে আয়োজিত হয়েছে প্রথম হস্তশিল্প মেলা। রবিবার দুর্গাপুরের পলাশডিহায় এই হস্তশিল্প মেলা উদ্বোধন করেন রাজ্যের আইন ও বিচার বিভাগীয় এবং শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক ৷ তাঁর সঙ্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ ও বস্ত্র দফতরের বিশেষ সচিব দেবাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়।
উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পন্নামবলাম এস, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়-সহ দুর্গাপুর নগর নিগমের কমিশনার আবুল কালাম আজাদ, দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল ও অন্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
রাজ্যের আইন-বিচার বিভাগীয় ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক এদিন বলেন, "এই ধরনের মেলায় অংশ নিচ্ছে প্রান্তিক এলাকার শিল্পীরা। তাঁদের যাতায়াতের খরচ যোগাচ্ছে রাজ্য সরকার। মেলায় আসার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে শুরু হয়েছে এসবিএসটিসি'র বাস পরিষেবা। রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে হস্তশিল্প মেলার জন্য অপেক্ষা করে থাকে মানুষ। আসানসোলে হস্তশিল্প মেলায় পাঁচ কোটির বেশি বেচা-কেনা হয়েছিল।" বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হস্তশিল্পীরা লাভের মুখ দেখবে বলেও আশাবাদী তিনি।
এরপরই সাংবাদিকরা মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন বিরোধীরা বলছে মেলার মাধ্যমে ভুলিয়ে রাখা হচ্ছে মানুষকে ৷ এদিকে কোনও কর্মসংস্থান হচ্ছে না, এর উত্তরে মলয় ঘটকের উত্তর, "এটাই তো কর্মসংস্থান ৷ ভারতবর্ষে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। আর এমনটা ভারতবর্ষের অন্য কোনও রাজ্যে নেই ৷ এই কর্মসংস্থান করেছে রাজ্য সরকার।" এরপর আসানসোলে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থীকে তিন লক্ষ ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ করেছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। সেই প্রসঙ্গে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, "ভোটের রেজাল্টের দিনেই দেখতে পাবেন।"
আরও পড়ুন: