কলকাতা, 4 মার্চ: লোকসভা নির্বাচনের আসন রফা নিয়ে আলোচনা হয়েও হচ্ছে না বাম-কংগ্রেসের। কংগ্রেসের দিল্লির নেতারা একরকম বলছেন। অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব অন্যরকম। কিন্তু, লোকসভা নির্বাচন দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। যে কারণে মহম্মদ সেলিমরা আর অপেক্ষা করতে নারাজ। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের স্পষ্ট বক্তব্য, বিধান ভবনকে দোদুল্যমানতা কাটাতে হবে। না-হলে এক চলোর পথে হাঁটতে পারে বামেরা।
যদিও সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহ সেলিম বলেন, "আমরা 42 আসনের প্রার্থী তালিকা নিয়ে বসে আছি। তারপরও কংগ্রেসের এবং আইএসএফের অপেক্ষায় আছি। কারণ, আমরা চাই তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল একজোট হয়ে লড়াই করতে। কিন্তু, তাই বলে দীর্ঘদিন সময় দেওয়া যায় না। কংগ্রেসকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে।"
এদিকে বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমরা ইতিমধ্যে বাম শরিক আরএসপি, সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। কয়েকটি নির্দিষ্ট আসন নিয়ে কথা হয়েছে। কিন্তু, নমনীয়তা দেখালেও বাম শরিক নেতারা নমনীয়তা দেখায়নি বলেই সূত্রের খবর। এক্ষেত্রে, সিপিএমের বক্তব্য তৃণমূল বিজেপি বিরোধী জোটে কংগ্রেস বা আইএসএফ যোগ দিলে তাদের জন্য নির্দিষ্ট কয়েকটি আসন ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন। ওই দুই দলকে কয়েকটি আসন দিতে গেলে বাম শরিক দলগুলোকে কিছুটা হলেও স্যাক্রিফাইস বা ত্যাগ করতে হবে। এই ত্যাগ করতে সিপিএম রাজি হলেও অন্যান্য শরিক দল কিছুটা হলেও নারাজ। আলোচনাতেও তেমনটা আভাস পাওয়া গিয়েছে।
অন্যদিকে, সপ্তাহখানেক আগে মুর্শিদাবাদে কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আগে কলকাতায় বসে মহম্মদ সেলিম জানিয়ে ছিলেন অধীর চৌধুরীর সঙ্গে আসন রফা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু পরবর্তীতে সেই আলোচনা হয়ে ওঠেনি। এই ঘটনার দিন কয়েক পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী আবার জানিয়েছিলেন, তারা বামেদের সঙ্গে জোটে যেতে রাজি আছেন। বিষয়টা নিয়ে মহম্মদ সেলিমের সঙ্গে তার কথাও হয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত কিছু হয়নি। এরকম পরিস্থিতিতে দিন কাটলেও আসনরফার বিষয়টি মীমাংসিত হচ্ছে না। তাই সমস্যার সমাধান ঘটাতে একপ্রকার কংগ্রেসের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই 42 আসনে প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত রাখার বার্তা দিয়েছেন মহম্মদ সেলিম।
আরও পড়ুন: