আলিপুরদুয়ার, 15 এপ্রিল: ডিআইজিকে (মুর্শিদাবাদ) নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দেওয়ায় একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে, মুর্শিদাবাদে হিংসা হলে তার দায় এবার কমিশনকে নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সোমবার আলিপুরদুয়ারের ডিমডিমা সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মুশির্বাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি-কে বদলি করেছে। বিজেপির কথা শুনে বেছে বেছে কমিশন এটা করেছে। মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা হলে কে সামলাবে ? আইনশৃঙ্খলা নির্বাচন কমিশনকে দেখতে হবে ৷"
হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি ৷ তারপরই প্রথম পর্যায়ে নির্বাচন শুরু হবে দেশজুড়ে ৷ শুক্রবার 19 এপ্রিল নির্বাচন হবে রাজ্যের তিন লোকসভা কেন্দ্রেও। আর তার আগেই আবারও অপসারণের পালা। এবার সরানো হল মুর্শিদাবাদের ডিআইজিকে। এই মর্মে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের যে নির্দেশিকা সামনে এসেছে তাতে স্পষ্ট করে উলেখ্য করা হয়েছে, মুর্শিদাবাদের ডিআইজি শ্রী মুকেশকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় আরও স্পষ্ট করা হয়েছে, তাঁকে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে বদলি করা হয়েছে। এমনকি তিনি চলতি লোকসভা নির্বাচনের কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছে।
এর পাশাপাশি নির্দেশিকায় কমিশন আরও জানিয়েছে, শ্রী মুকেশের জায়গায় নিযুক্ত করা হবে তেমন তিন জন আধিকারিকদের নাম সোমবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে কমিশনে পাঠাতে হবে। জানা গিয়েছে, এই নামগুলি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ে এলে সেগুলিকে দিল্লিতে চূড়ান্ত সিলমোহর দেওয়ার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
একই সঙ্গে, এই ইস্যুতে কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলে মুখ্যমন্ত্রী কার্যত হুঙ্কার দিয়ে জানিয়েছেন, কত জেল, কত পুলিশ আছে দেখে নেওয়া হবে ৷ নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, "ফালাকাটায় আমি ভোটের পর আসব। যারা কাজ করে তাদের বদলি করে। ইডি, সিবিআই-এর চোর অফিসার, বিএসএফ অফিসারদের বিরুদ্ধে কিছুই করে না ৷ এজেন্সি দিয়ে ভোট করানোর পরিকল্পনা।"
পাশাপাশি এদিন মমতা আরও বলেন, "এমন প্রধানমন্ত্রী দেখিনি। আমি অটলজি'র সঙ্গেও কাজ করেছি ৷ এরা দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছে। চা বাগানে খুলে দেবে বলেছিল। খুলেছে কি ? কালো টাকা এসেছে ? 15 লক্ষ টাকা পেয়েছেন কি ? পাঁচ বছর কাজ করলাম আমরা, জিতল বিজেপি ৷ বিনেপয়সায় চাল আমরা দিই। চা বাগানে পাট্টা দিচ্ছি। আজ আমাদের চা বাগান হাসছে। 59টা চা বাগান আমরা খুলেছি। আজ আলিপুরদুয়ারের নতুন জেলা বানিয়েছি। নতুন হিন্দি কলেজ হয়েছে ৷"
একানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "বিজেপি যে ইস্তাহার বানিয়েছে তাতে স্পষ্ট এনআরসি করে, ইউনিফর্ম সিভিল কোড করে তাড়িয়ে দেবে। বিজেপি হিন্দুস্তানে আসবে না আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে না। দেশের স্বাধীনতা থাকবে না। মোদি দেশকে বিক্রি করে দিক এটা চাইছেন? দেশ বাঁচাও, মোদি হটাও।"
আরও পড়ুন
'অভিষেকের কপ্টারে নাকি সোনা-টাকা আছে', আইটি তল্লাশি নিয়ে কোচবিহার থেকে সোচ্চার মমতা
রামনবমীতে হিংসা ছড়াতে পারে বিজেপি, আশঙ্কা প্রকাশ করে প্ররোচনায় পা না দেওয়ার বার্তা মমতার