কোচবিহার, 15 এপ্রিল: অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের হেলিকপ্টারে আয়কর তল্লাশি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আয়কর হানা নিয়ে প্রকারান্তরে বিজেপির ঘাড়েই দোষ চাপালেন তিনি ৷ পাশাপাশি বিজেপির ইস্তেহারে এনআরসি'র পাশাপাশি অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (ইউনিফর্ম সিভিল কোড) মতো বিষয়গুলি নিয়ে কোচবিহারের জনসভা থেকে সোচ্চার হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পাশাপাশি দেশে ফের বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে ইউসিসি লাগু হবে ৷ যার জেরে গোমূত্র, গোবর খাওয়া কার্যত বাধ্যতামূলক হবে বলেও এদিন অভিযোগ করেন মমতা ৷
এদিন কোচবিহারের তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেখান থেকেই বিজেপির ইস্তাহারের প্রসঙ্গে টেনে ফের সিএএ, এনআরসি এবং ইউসিসি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এদিন তিনি বলেন, "আমি আগেই বলেছিলাম, তখন কেউ কেউ বিশ্বাস করেনি ৷ দেখেছেন তো, গতকাল বিজেপির ইস্তেহারে রেখেছে এনআরসি, সিএএ ও ইউসিসির কথা ৷ আদিবাসী, সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব থাকবে না বিজেপি ক্ষমতায় এলে ৷" সেই সঙ্গে অভিষেক প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কথায় কথায় ইডি, সিবিআই, আয়কর বিভাগকে পাঠিয়ে দিচ্ছে ৷ অভিষেকের একটা মিটিংয়ে যাওয়ার কথা ছিল ৷ হেলিপ্য়াডে আয়কর দফতরের লোক পৌঁছে গেল ! হেলিকপ্টারে নাকি সোনা, টাকা নিয়ে আসছে ! আমরা এসব করি না, ওটা বিজেপি করে ৷ ওরা বিএসএফ, সিআইএসএফ নিয়ে আসে ৷ কোনওদিন পুলিশের ক্ষমতা হয়েছে সার্চ করার ? আমরা ওসব নিয়ে ঘুরি না ৷ সেসব করার প্রয়োজন হয় না ৷"
এখানেই শেষ নয়, এরপরই তীব্র কটাক্ষের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আপনি কী খাবেন তাও ওরা লিখে দেবে ৷ সকালে চা খাবেন, চায়ের সঙ্গে গোমূত্র খেতে হবে ৷ দুপুরে গোবরের সঙ্গে কী খাবেন তাও বলে দেবে ৷ সরকারের ডাবল ইঞ্জিন দরকার নেই ৷ মানুষের ডবল ইঞ্জিন হোক ৷" পাশাপাশি আগামী 17 তারিখ রাম নবমীকে কেন্দ্র করে রাজ্যে উত্তেজনার পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় সেদিকেও বিশেষ নজর রাখতে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি স্পষ্টতই বলেন, "17 তারিখ বেলা পাঁচটার পর কোনও প্রচার, বাইক মিছিল হবে না ৷ নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী এটাই মানতে হবে ৷ আমরাও মানি, সকলকে মানতে হবে ৷ ওরা হিংসা করে এনআইএ'কে ঢুকিয়ে ভোট বানচাল করার চেষ্টা করবে ৷"
একইসঙ্গে তিনি বলেন, "দাঙ্গাও করতে পারে ৷ তৈরি হয়ে আছে ৷ আপানারা ভুল করবেন না ৷ শীতলকুচির মতো ফের গুলি চালাবে ৷ 17 তারিখ ওটা ওদের দাঙ্গা করার দিন ৷ স্লোগান দেবে সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে ৷ ওইদিন আপনারা ঈশ্বরের নাম করে প্রার্থনা করবেন ৷ কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না ৷"
আরও পড়ুন: