মালদা, 30 জানুয়ারি: রাহুল গান্ধি যদি কোথাও ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাধা পান, তাহলে সেখানেই তিনি জনসংযোগ করবেন ৷ মঙ্গলবার এমনটাই জানানো হয়েছে মালদা জেলা কংগ্রেসের তরফে৷ মালদা জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ভূপেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, “আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েই দিয়েছেন, রাহুলজিকে কোথাও বাধা দেওয়া হলে তিনি সেখানেই জনসংযোগ বার্তা দেবেন ৷ আমরা সেই অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেব ৷
উল্লেখ্য, এর আগে দলের সর্বভারতীয় নেতার নিরাপত্তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ৷ তারপরেই রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় কড়া পুলিশি ঘেরাটোপ রয়েছে৷ কঠোর পুলিশি নিরাপত্তার জন্য জলপাইগুড়ি থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে রাহুলের কাছাকাছিও ঘেঁষতে পারেননি কেউ ৷ এমনকি কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্বও ৷
এই পরিস্থিতিতে নেতার নিরাপত্তা নিয়ে বলার কিছু নেই মালদা জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের ৷ আগামিকাল বুধবারই বিহার থেকে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের লাভা দিয়ে এই জেলায় পা রাখছেন রাহুল গান্ধি ৷ আগামিকাল লাভা দিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুরে প্রবেশ করে সেখানকার তেলজন্নায় পথসভা করার কথা রয়েছে রাহুলের ৷ সেখান থেকে তিনি যাত্রা নিয়ে পৌঁছোবেন রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের ভালুকায় ৷
এখানেই তাঁর মধ্যাহ্নভোজন করার কথা রয়েছে ৷ তবে মধ্যাহ্নভোজনের জন্য এখনও পর্যন্ত ভালুকা ডাকবাংলোর অনুমতি দেয়নি সেচ দফতর ৷ তবে বিকল্প ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই নিয়ে ফেলেছে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ রতুয়ার দেবীপুর সানডে ক্লাব অ্যান্ড লাইব্রেরি মাঠে রাহুলের মধ্যাহ্নভোজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ সেখান থেকে ইংরেজবাজার ও মালদা শহর হয়ে সুজাপুর চলে যাবেন তিনি ৷ সেখানে রাত্রিবাস করে পরদিন মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন ৷
তবে রাহুলের কর্মসূচি নিয়ে জেলা কংগ্রেসের মধ্যে কিছু অশনি সংকেতও দেখা দিয়েছে ৷ জেলার কোথাও যদি তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করা হয় কিংবা জনসমর্থনে বাধা দেওয়া হয় তবে কী হবে ? আগামিকালই মালদায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর সফরকে কেন্দ্র করে হরিশ্চন্দ্রপুরে বাইক মিছিলের ডাক দিয়েছে তৃণমূল ৷ সেই মিছিল লাভা দিয়েই যাওয়ার কথা ৷
এই নিয়ে মালদা জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ভূপেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, “আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েই দিয়েছেন, রাহুলজিকে কোথাও বাধা দেওয়া হলে তিনি সেখানেই জনসংযোগ বার্তা দেবেন ৷ আমরা সেই অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেব ৷ আর তৃণমূলের বাইক মিছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই আমরা মনে করছি ৷’’
এর পর তাঁর সংযোজন, ‘‘তবে পুলিশ প্রশাসনের উপর আমাদের ভরসা রয়েছে ৷ আমরা আশা করছি, পুলিশ প্রতিটি ক্ষেত্রেই সঠিক পদক্ষেপ নেবে ৷ তেলজন্না ও মালদা শহরে রাহুলজির সংযোগ বার্তা দেওয়ার কথা রয়েছে ৷ গাড়ি থেকেই তিনি মানুষের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন ৷ আগামিকাল সকাল 10টা নাগাদ তাঁর জেলায় ঢোকার কথা ৷ তবে সেই সময়সূচির পরিবর্তন হতে পারে ৷”
আরও পড়ুন: