চুঁচুড়া, 2 মার্চ: লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিল বিজেপি। এর মধ্যে রয়েছেন বাংলার 20 প্রার্থীও। এক নজরে সেই প্রার্থী তালিকায় চোখ রাখলে দেখা যাবে, ঘাটালে যেমন হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে চমকে দিয়েছে বিজেপি, তেমনই পুরনোদের মধ্যে হুগলি থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম রাখা হয়েছে ৷ শনিবার সন্ধেয় প্রার্থী ঘোষণার পরই চুঁচুড়ার কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। নজর এড়াতে মায়ের চরণে লেবু দিয়ে পুজো দিয়েছেন বিজেপি নেত্রী ৷
মা কালীর কাছে একটাই তাঁর প্রার্থনা হুগলি লোকসভার মানুষ বিপুল ভোটে তাঁকে বিপুল ভোটে ফের জয়ী করুক। মন্দিরে পুজো দিতে আসা মানুষের সঙ্গে দেখা করে প্রচার শুরু করে দেন লকেট ৷ আগামিকাল থেকে দেওয়াল লিখন শুরু করবেন বলেও জানান তিনি। তাঁর দাবি কোনও বিতর্ক নয়। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এবারের হুগলি লোকসভা থেকে বিজেপির হাত শক্ত করতে হবে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত লকেটের বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন নেতার নামে দেওয়াল লেখা শুরু করে কে বা কারা। সেটা নিয়ে একটুও বিচলিত ছিলেন না হুগলির সাংসদ লকেট। প্রার্থী ঘোষণার আগে থেকেই সাংসদ নিজের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন।
যেভাবে তাঁর সাংসদ এলাকার সাতটি বিধানসভার সংগঠনগুলিকে চাঙ্গা করতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন। সেখান থেকে অনেকটাই প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছিল। যদিও প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় তাঁর কর্মীদের সঙ্গে জনসংযোগ নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ রয়েছে। এবার দেখার সেই মান অভিমান অভাব অভিযোগকে সামলান কীভাবে!
উল্লেখ্য, হুগলি কেন্দ্র থেকে 2019 সালে তৃণমূলের রত্না দে নাগকে বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায় পরাজিত করেছিলেন প্রায় 80 হাজার ভোটের ব্যবধানে। এদিন প্রার্থী ঘোষণার পর হুগলিতে বিজেপির কার্যালয়ে ফুল-মালা দিয়ে বরণ করা হয় লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। মিষ্টিমুখ করানো হয়।লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, "গত পাঁচ বছরে তৃণমূলের দুর্নীতি সাম্প্রতিককালে সন্দেশখালির মতো ঘটনা মানুষকে নাড়িয়ে দিয়েছে। মানুষ বিজেপিকে ভোট দেবে। তিনি জিতবেন গত বারের থেকে বেশি ব্যবধানে।
আরও পড়ুন: