কলকাতা, 3 মে: এবার কি সদস্য পদ হারানোর ভয় পাচ্ছেন কুণাল ? সোশাল মিডিয়ার বার্তায় নিজেকে কর্মী থেকে শুধু সমর্থক পরিচয় দিলেন তিনি । পদ হারিয়ে, এবার কুণাল ঘোষের ক্ষোভ কি লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে যে সংস্থা রণনীতি তৈরি করছে সেই আইপ্যাকের উপর ? তাঁর সোশাল মিডিয়া পোস্ট সেই দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছে ৷
সোশাল মিডিয়ায় কটাক্ষের সুরে তিনি লিখেছেন, "সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক হিসাবে দলকে আমার সবিনয় অনুরোধ, 'অপদার্থ' ও 'দলবিরোধী' কুণাল ঘোষের শূন্যপদে মুখপাত্র এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হিসাবে আইপ্যাকের প্রতীক জৈনকে নিয়োগ করা হোক। দলটা ওরা এত ভালোভাবে চালাচ্ছে যে সাংগঠনিক পদও প্রতীকের প্রাপ্য । দলের মঙ্গল হোক ।"
বুধবার পদ হারানোর পর যেহেতু তাঁকে অপসারণের চিঠিতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েনের নাম ছিল তাই তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন কুণাল । কটাক্ষ করেছিলেন কুইজমাস্টার বলেও । এরপর বৃহস্পতিবার তাঁর বিরুদ্ধে নরমেগরমে নানান কথা বলতে শোনা গিয়েছে কুণাল ঘোষকে । যদিও এই বিষয়ে একটি শব্দও খরচ করেনি সংবাদমাধ্যমের সামনে ।
বরং গতকাল দেখা গিয়েছে, পঞ্চম দফায় তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় কুণাল ঘোষের নাম । শুক্রবার কুণাল ঘোষের আক্রমণের মুখে আইপ্যাকের দায়িত্বে থাকা প্রতীক জৈন। কিন্তু তাঁর রোষের মুখে কেন আইপ্যাকের ডিরেক্টর? তা খোলসা করেননি কুণাল । তবে রাজনৈতিকমহল মনে করছে, তাঁর অপসারণের পিছনে প্রতীক জৈনের সংস্পর্শ রয়েছে ভেবেই এই আক্রমণ! তবে এই বিষয়ে প্রতীক জৈনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিনের তাৎপর্যপূর্ণ সোশাল মিডিয়ার বার্তায় নিজেকে তৃণমূল কর্মী হিসাবে দাবি করেননি তিনি। তার বদলে শুধু সমর্থক শব্দেই নিজের পরিচয় দিয়েছেন । গতকাল পর্যন্ত বলছিলেন, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন, আছেন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী হিসেবেই কাজ করতে চান। পদ নয়, কর্মী হিসেবেই তিনি কাজ করবেন । কিন্তু এদিন তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই কর্মী পরিচয় বাদ দিয়ে শুধু নিজেকে সমর্থক বলে পরিচয় দেওয়ায় একটা নতুন ধন্দ তৈরি হয়েছে । তবে কি কুণাল ঘোষ মনে করছেন, এবার তাঁর সদস্য পদও কেড়ে নেওয়া হতে পারে । আর সে কারণেই হয়তো আগেভাগে নিজেকে তৃণমূল সমর্থক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
আরও পড়ুন :