কলকাতা, 3 এপ্রিল: মার বাগানে প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিদ্বন্দ্বী তাপস রায় সম্পর্কে কোনও প্রতিক্রিয়াই দিতে চাননি ৷ শুধু বলেছিলেন, "নো কমেন্টস ৷" বুধবার সকালে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তাপস রায় ৷ তিনি বলেন, ‘‘নো কমেন্টস আর এনি কমেন্টস, যেকোনও কমেন্টসের জন্য আমি প্রস্তুত আছি । আমি তাকে ওপেন আবারও বলছি যেকোনও দিন, যেকোনও জায়গায়, যেকোনও চ্যানেলে, যেকোনও স্থানে আমি আহ্বান করছি ।’’
এখানেই না থেমে, কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় আরও বলেন, ‘‘উনি তো খুব অহংকারী ! কারণ, ছাড়া অহংকারী ! উনি আমাকে 50টা প্রশ্ন করবেন, আমি তৈরি । আমি দশটা প্রশ্ন করব । 10 বনাম 50, যেকোনও দিন যেকোনও জায়গায় ।’’ এ দিন সকালে সুভাষ সরোবর প্রাতঃভ্রমণকারীদের সঙ্গে প্রচার সারেন । ভোট প্রার্থনা করার সঙ্গেই মন্দিরে পুজো দেন । গরম চায়ে চুমুক দেন আম জনতার সঙ্গে । সেখানেই তিনি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন ।
উল্লেখ্য, তৃণমূল ছাড়ার আগেই কলকাতা উত্তরের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তাপস রায় ৷ পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন ৷ তৃণমূল এবারও সুদীপকেই কলকাতা উত্তরের প্রার্থী করেছে ৷ অন্যদিকে প্রাক্তন সতীর্থের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছে তাপসকে ৷ ফলে পথে-প্রচারে প্রায় রোজই এই দুই নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন ৷
এ দিন সুদীপের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছোড়ার পাশাপাশি রাজ্য রাজনীতির আরও একাধিক বিষয় নিয়েও মন্তব্য করেন তাপস রায় ৷ দার্জিলিংর কংগ্রেস প্রার্থী নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কোনও আন্দোলনের সঙ্গে যারা যুক্ত, কোনও রাজনৈতিক দলেরই উচিত নয় তাঁদের মনোনয়ন দেওয়া ।’’
পাশাপশি তিনি তাঁর সহযোদ্ধা তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন । তিনি বলেন, ‘‘অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় আমার পাড়ার ছেলে । আমি ছোটবেলা থেকেই জানি । সততা আছে৷ সাহস আছে, নিষ্ঠা আছে । যেভাবে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে তিনি ওই সিদ্ধান্ত বা অর্ডারগুলো না দিলে অনেক কিছুই অপ্রকাশিত থেকে যেত । সুতরাং প্রার্থী হিসেবে তিনি তাঁর সেই ভূমিকায়, তাঁর সেই নিষ্ঠা, সততা ও সাহসের প্রতিফলন আমরা দেখতে পাবো ।’’
তাঁর ছেড়ে আসা বরানগর বিধানসভা কেন্দ্র একই সঙ্গে উপ-নির্বাচন । সেখানে বিজেপির প্রার্থী সজল ঘোষের বিরুদ্ধে তৃণমূলের সায়ন্তিকা । এই অভিনেত্রী তাপসের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করতে চাননি ৷ সেই বিষয়ে তাপস রায় বলেন, ‘‘ভালো কথা । মানুষ সেটা বুঝবে । বরানগরের মানুষ কাকে আগামিদিনে তাদের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত করবেন, সেটাও তারা নিশ্চয়ই ভাববেন । বরানগর অত্যন্ত রাজনৈতিক সচেতন একটি জায়গা । মাথায় রাখতে হবে প্রথম অ-বাম পঞ্চদশ বিধানসভার সদস্য আমি । তার আগে 14টি বিধানসভায় বামেরা ছিল । তার মধ্যে টানা ছ’বার জ্যোতিবাবুর মতো বিধায়ক ছিলেন ।’’
আরও পড়ুন: