ETV Bharat / politics

5 বছরে কোন বিধানসভায়, কত টাকা খরচ ? হিসেব তুলে ধরলেন যাদবপুরের সাংসদ

Jadavpur MP Mimi Chakraborty: বিধানসভা প্রতি সাংসদ খাতে খরচ করা টাকার হিসেব তুলে ধরলেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ৷ আজ ফেসবুকে সাংসদ খাতের টাকার সেই খরচের হিসেব তুলে ধরেছেন মিমি ৷ উল্লেখ্য, গতকাল বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে নিজের ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে এসেছিলেন মিমি ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 16, 2024, 5:55 PM IST

কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি: বৃহস্পতিবার বিধানসভায় গিয়ে নিজের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়ে এসেছেন মিমি চক্রবর্তী ৷ বিধানসভা থেকে বেরিয়ে তিনি জানিয়েছেন, রাজনীতি তাঁর জন্য নয় ৷ তার 24 ঘণ্টার মধ্যে গত 5 বছরে যাদবপুর লোকসভা 7টি বিধানসভা অনুযায়ী, কত টাকা বরাদ্দ ও খরচ হয়েছে, তার বিস্তারিত হিসেব তুলে ধরলেন সাংসদ মিমি (যেহেতু তিনি এখনও লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে ইস্তফাপত্র দিয়েছেন কিনা, তা জানা যায়নি) ৷

এ দিন মিমি তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে সেই খরচের তালিকা তুলে ধরেন ৷ সঙ্গে একটি বার্তাও দিয়েছেন তাঁর সমালোচকদের উদ্দেশ্যে ৷ সেখানে মিমি লিখেছেন, "আমি মিমি চক্রবর্তী ৷ আমার জীবনঅধ্যায়ের অধিকাংশ সময় অভিনয় জগতে থেকে মানুষকে মনোরঞ্জন দিতে সক্ষম হয়েছি ৷ কিন্তু বিগত 5 বছর, বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতন্ত্রের একজন সাংসদ রূপে যতটা কাজ সাধারণ মানুষের জন্যে করতে পেরেছি, মানুষের করের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি, সৎ পথে থেকে মাথা উঁচু করে এগিয়ে গেছি ৷"

শুধু তাই এই কাজ করে যে তিনি সন্তুষ্ট তাও জানিয়েছেন যাদবপুরের সাংসদ ৷ তিনি বলেন, "সেই সফরের কথা মনে করলে মারাত্মক আত্মতুষ্টি হয় ৷ তাই আনন্দের সাথে বিগত পাঁচ বছরের আমার সাংসদ রূপে যাবতীয় কাজের খতিয়ান আজ জনসমক্ষে তুলে ধরলাম ৷" উল্লেখ্য, 2019-20 অর্থবর্ষ থেকে 2022-23 চারবছরের প্রতিটি বিধানসভা ভিত্তিক খরচের হিসেব তিনি দিয়েছেন ৷ মাঝে করোনার সময় একবছরের টাকা কোনও লোকসভাতেই যায়নি ৷ উল্লেখ্য, যেখানে সবচেয়ে বেশি টাকা গিয়েছে দক্ষিণ ও উত্তর সোনারপুর দুই বিধানসভা কেন্দ্রে ৷ যথাক্রমে 5 কোটি 9 লক্ষ 46 হাজার 37 টাকা ও 3 কোটি 96 লক্ষ 20 হাজার 646 টাকা ৷ এর পরেই রয়েছে ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্র, 2 কোটি 95 লক্ষ 31 হাজার 31 টাকা ৷ সেখানে ভাঙড়-1 ও ভাঙড়-2 ব্লক ধরে বরাদ্দ টাকার হিসেবে তিনি দিয়েছেন ৷

এ দিন মিমি তাঁর পোস্ট ফের একবার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি রাজনীতিতে আর থাকবেন না ৷ তিনি লিখেছেন, "আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আমার নেত্রী, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কে, তার স্নেহের হাত আমার মাথায় সর্বক্ষণ রাখবার জন্য ৷ আগামী দিনে আমি সক্রিয় রাজনীতিতে থাকি বা না থাকি, আমার কাজের মাধ্যমে আমি নিশ্চিতরূপে মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় থাকব ৷" এরপর রাজেশ খান্নার বিখ্যাত 'অমর প্রেম' সিনেমার গানের লাইন তুলে ধরে নিন্দুকদের নিশানাও করেন মিমি ৷ লেখেন, "কুছ তোহ লোগ কাহেনগে, লোগো কা কাম হে কেহনা !"

উল্লেখ্য গতকালই মিমি জানিয়েছিলেন, রাজনীতি তাঁর জন্য নয় ৷ আর সেটা তিনি পুরোপুরিভাবে বিশ্বাস করেন ৷ আর রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর পিছনে কোনও দুর্নীতি বা বাজে কাজ কারণ নয় বলেও জানান তিনি ৷ তবে, এই পাঁচবছরে যতটা পেরেছেন যাদবপুর লোকসভার মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন বলে জানান তিনি ৷

আরও পড়ুন:

  1. 'রাজনীতি আমার জন্য নয়'! মমতাকে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত জানালেন মিমি
  2. একাধিক স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে ইস্তফা অভিনেত্রী-সাংসদ মিমির, রাজনীতি ছাড়ছেন?
  3. মিমিকে নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ডাকলেন মমতা

কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি: বৃহস্পতিবার বিধানসভায় গিয়ে নিজের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়ে এসেছেন মিমি চক্রবর্তী ৷ বিধানসভা থেকে বেরিয়ে তিনি জানিয়েছেন, রাজনীতি তাঁর জন্য নয় ৷ তার 24 ঘণ্টার মধ্যে গত 5 বছরে যাদবপুর লোকসভা 7টি বিধানসভা অনুযায়ী, কত টাকা বরাদ্দ ও খরচ হয়েছে, তার বিস্তারিত হিসেব তুলে ধরলেন সাংসদ মিমি (যেহেতু তিনি এখনও লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে ইস্তফাপত্র দিয়েছেন কিনা, তা জানা যায়নি) ৷

এ দিন মিমি তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে সেই খরচের তালিকা তুলে ধরেন ৷ সঙ্গে একটি বার্তাও দিয়েছেন তাঁর সমালোচকদের উদ্দেশ্যে ৷ সেখানে মিমি লিখেছেন, "আমি মিমি চক্রবর্তী ৷ আমার জীবনঅধ্যায়ের অধিকাংশ সময় অভিনয় জগতে থেকে মানুষকে মনোরঞ্জন দিতে সক্ষম হয়েছি ৷ কিন্তু বিগত 5 বছর, বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতন্ত্রের একজন সাংসদ রূপে যতটা কাজ সাধারণ মানুষের জন্যে করতে পেরেছি, মানুষের করের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি, সৎ পথে থেকে মাথা উঁচু করে এগিয়ে গেছি ৷"

শুধু তাই এই কাজ করে যে তিনি সন্তুষ্ট তাও জানিয়েছেন যাদবপুরের সাংসদ ৷ তিনি বলেন, "সেই সফরের কথা মনে করলে মারাত্মক আত্মতুষ্টি হয় ৷ তাই আনন্দের সাথে বিগত পাঁচ বছরের আমার সাংসদ রূপে যাবতীয় কাজের খতিয়ান আজ জনসমক্ষে তুলে ধরলাম ৷" উল্লেখ্য, 2019-20 অর্থবর্ষ থেকে 2022-23 চারবছরের প্রতিটি বিধানসভা ভিত্তিক খরচের হিসেব তিনি দিয়েছেন ৷ মাঝে করোনার সময় একবছরের টাকা কোনও লোকসভাতেই যায়নি ৷ উল্লেখ্য, যেখানে সবচেয়ে বেশি টাকা গিয়েছে দক্ষিণ ও উত্তর সোনারপুর দুই বিধানসভা কেন্দ্রে ৷ যথাক্রমে 5 কোটি 9 লক্ষ 46 হাজার 37 টাকা ও 3 কোটি 96 লক্ষ 20 হাজার 646 টাকা ৷ এর পরেই রয়েছে ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্র, 2 কোটি 95 লক্ষ 31 হাজার 31 টাকা ৷ সেখানে ভাঙড়-1 ও ভাঙড়-2 ব্লক ধরে বরাদ্দ টাকার হিসেবে তিনি দিয়েছেন ৷

এ দিন মিমি তাঁর পোস্ট ফের একবার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি রাজনীতিতে আর থাকবেন না ৷ তিনি লিখেছেন, "আন্তরিক কৃতজ্ঞতা আমার নেত্রী, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কে, তার স্নেহের হাত আমার মাথায় সর্বক্ষণ রাখবার জন্য ৷ আগামী দিনে আমি সক্রিয় রাজনীতিতে থাকি বা না থাকি, আমার কাজের মাধ্যমে আমি নিশ্চিতরূপে মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় থাকব ৷" এরপর রাজেশ খান্নার বিখ্যাত 'অমর প্রেম' সিনেমার গানের লাইন তুলে ধরে নিন্দুকদের নিশানাও করেন মিমি ৷ লেখেন, "কুছ তোহ লোগ কাহেনগে, লোগো কা কাম হে কেহনা !"

উল্লেখ্য গতকালই মিমি জানিয়েছিলেন, রাজনীতি তাঁর জন্য নয় ৷ আর সেটা তিনি পুরোপুরিভাবে বিশ্বাস করেন ৷ আর রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর পিছনে কোনও দুর্নীতি বা বাজে কাজ কারণ নয় বলেও জানান তিনি ৷ তবে, এই পাঁচবছরে যতটা পেরেছেন যাদবপুর লোকসভার মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন বলে জানান তিনি ৷

আরও পড়ুন:

  1. 'রাজনীতি আমার জন্য নয়'! মমতাকে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত জানালেন মিমি
  2. একাধিক স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে ইস্তফা অভিনেত্রী-সাংসদ মিমির, রাজনীতি ছাড়ছেন?
  3. মিমিকে নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ডাকলেন মমতা
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.