ETV Bharat / politics

রাজ্যে 'ইন্ডিয়া' জোট ভাঙার মূলে অধীর ? জারি রাজনৈতিক আক্রমণ, প্রতি আক্রমণ

INDIA Alliance in West Bengal: রাজ্যে 'ইন্ডিয়া' জোট কার্যত ভেঙে গিয়েছে ৷ তৃণমূল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যে তিনি 'ইন্ডিয়া' জোটের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করবেন না ৷ এই পরিস্থিতিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকেই দায়ী করছে তৃণমূলের একাংশ ৷ তাঁর তৃণমূল বিরোধিতার কারণেই, নাকি পশ্চিমবঙ্গে 'ইন্ডিয়া' জোট হচ্ছে না ৷

ETV BHARAT File
ETV BHARAT File
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 26, 2024, 5:57 PM IST

কলকাতা, 26 জানুয়ারি: এ রাজ্যে ইন্ডিয়া জোটের ধাক্কা খাওয়ার পেছনে অধীর রয়েছেন অধীর চৌধুরী ! গতকাল তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েনকে বিদেশি বলে নিশানা করার পরেই, এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে ৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকেই বাংলায় 'ইন্ডিয়া' জোট না হওয়ার জন্য দায়ী করেছিলেন ডেরেক ৷ আর সে কারণেই তাঁকে 'বিদেশি' তকমা দেন অধীর ৷ এই নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল রাজ্যের শাসকদল ৷ তৃণমূলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, "কোনও সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষ এ ধরনের কথা বলতে পারে না ৷"

এদিন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, "ডেরেক ও'ব্রায়েন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ৷ তাঁর সম্বন্ধে অধীর চৌধুরীর এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত সমালোচনার যোগ্য ৷ যারা লেখাপড়া জানেন না ,তারা হয়তো এই ধরনের মন্তব্য করতে পারেন ৷ এ ধরনের বক্তব্যের পর ওনার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায় ৷ উনি যে পদে আছেন, সে পদের অপব্যবহার করছেন তিনি ৷ ওনার মন্তব্য থেকেই প্রমাণিত রাজ্যে আজ জোটের এই অবস্থার জন্য দায়ী তিনিই ৷"

অধীর চৌধুরীর এ ধরনের বক্তব্যকে বিজেপির হয়ে কাজ করার সমান বলছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ৷ তার দাবি, "অধীর চৌধুরী আসলে সর্ষের মধ্যে ভূত ৷ তিনি বিজেপি এজেন্ট, বিজেপির দালাল এবং বিজেপির হয়ে কাজ করছেন ৷ তাঁকে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি সাহায্য করবে, এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ৷ ফলে অধীর চৌধুরী এখন পাগলের মতো বিজেপির হয়ে কথা বলছেন ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কুৎসা করছেন ৷"

এমনকি রাজ্যে বাকি দুই বিরোধী দল সিপিআইএম ও আইএসএফের সঙ্গেও অধীরের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কুণাল ৷ তাঁর কথায়, "সিপিএম এবং আইএসএফের সঙ্গে হাত মিলিয়ে, আলাদা ভোটে লড়ে বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ করে তাদের অক্সিজেন দেওয়ার কাজ করছেন ৷" তিনি আরও বলেন, "অধীর চৌধুরীর মুখোশ খুলে গিয়েছে ৷ প্রকৃত কংগ্রেস কর্মীরা কেউ অধীর চৌধুরীর সমর্থক নয় ৷ অধীর চৌধুরী যেভাবে সিপিআইএমের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন, তা কোনও প্রকৃত কংগ্রেস কর্মী মেনে নিতে পারেন না ৷"

উল্লেখ্য, দু’দিন আগে দিল্লিতে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন অধীর চৌধুরীকে নিশানা করেন ৷ পশ্চিমবঙ্গে 'ইন্ডিয়া' জোট সফল না হওয়ার জন্য শুধুমাত্র অধীর চৌধুরীকে দায়ী করেছেন তিনি ৷ ডেরেকের বলেছিলেন, "রাজ্যে 'ইন্ডিয়া' জোট না হওয়ার পিছনে যদি তিনটি কারণ থাকে ৷ তাহলে তিনটি কারণই হলেন অধীর, অধীর আর অধীর ৷ যেভাবে তিনি শুরু থেকে আজ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেস এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছেন, বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যে বলে জনমানসে ভাবমূর্তি কলুষিত করার চেষ্টা করছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ৷ তাঁর কারণেই রাজ্যে জোট বড় ধাক্কা খেয়েছে ৷"

আরও পড়ুন:

  1. শিলিগুড়িতে রাহুলের সভার অনুমতি দিচ্ছে না মমতার সরকার, অসহযোগিতার অভিযোগ অধীরের
  2. লড়ে জিতেছি তাই কাউকে পরোয়া করি না, মমতার ‘নো ফ্যাক্টর’ মন্তব্যের পালটা জবাব অধীরের
  3. মমতাকে বহরমপুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ অধীরের, দোলাচলে 'ইন্ডিয়া'র ভবিষ্যৎ ?

কলকাতা, 26 জানুয়ারি: এ রাজ্যে ইন্ডিয়া জোটের ধাক্কা খাওয়ার পেছনে অধীর রয়েছেন অধীর চৌধুরী ! গতকাল তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েনকে বিদেশি বলে নিশানা করার পরেই, এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে ৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকেই বাংলায় 'ইন্ডিয়া' জোট না হওয়ার জন্য দায়ী করেছিলেন ডেরেক ৷ আর সে কারণেই তাঁকে 'বিদেশি' তকমা দেন অধীর ৷ এই নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল রাজ্যের শাসকদল ৷ তৃণমূলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, "কোনও সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষ এ ধরনের কথা বলতে পারে না ৷"

এদিন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, "ডেরেক ও'ব্রায়েন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ৷ তাঁর সম্বন্ধে অধীর চৌধুরীর এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত সমালোচনার যোগ্য ৷ যারা লেখাপড়া জানেন না ,তারা হয়তো এই ধরনের মন্তব্য করতে পারেন ৷ এ ধরনের বক্তব্যের পর ওনার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায় ৷ উনি যে পদে আছেন, সে পদের অপব্যবহার করছেন তিনি ৷ ওনার মন্তব্য থেকেই প্রমাণিত রাজ্যে আজ জোটের এই অবস্থার জন্য দায়ী তিনিই ৷"

অধীর চৌধুরীর এ ধরনের বক্তব্যকে বিজেপির হয়ে কাজ করার সমান বলছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ৷ তার দাবি, "অধীর চৌধুরী আসলে সর্ষের মধ্যে ভূত ৷ তিনি বিজেপি এজেন্ট, বিজেপির দালাল এবং বিজেপির হয়ে কাজ করছেন ৷ তাঁকে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি সাহায্য করবে, এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ৷ ফলে অধীর চৌধুরী এখন পাগলের মতো বিজেপির হয়ে কথা বলছেন ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কুৎসা করছেন ৷"

এমনকি রাজ্যে বাকি দুই বিরোধী দল সিপিআইএম ও আইএসএফের সঙ্গেও অধীরের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কুণাল ৷ তাঁর কথায়, "সিপিএম এবং আইএসএফের সঙ্গে হাত মিলিয়ে, আলাদা ভোটে লড়ে বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ করে তাদের অক্সিজেন দেওয়ার কাজ করছেন ৷" তিনি আরও বলেন, "অধীর চৌধুরীর মুখোশ খুলে গিয়েছে ৷ প্রকৃত কংগ্রেস কর্মীরা কেউ অধীর চৌধুরীর সমর্থক নয় ৷ অধীর চৌধুরী যেভাবে সিপিআইএমের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন, তা কোনও প্রকৃত কংগ্রেস কর্মী মেনে নিতে পারেন না ৷"

উল্লেখ্য, দু’দিন আগে দিল্লিতে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন অধীর চৌধুরীকে নিশানা করেন ৷ পশ্চিমবঙ্গে 'ইন্ডিয়া' জোট সফল না হওয়ার জন্য শুধুমাত্র অধীর চৌধুরীকে দায়ী করেছেন তিনি ৷ ডেরেকের বলেছিলেন, "রাজ্যে 'ইন্ডিয়া' জোট না হওয়ার পিছনে যদি তিনটি কারণ থাকে ৷ তাহলে তিনটি কারণই হলেন অধীর, অধীর আর অধীর ৷ যেভাবে তিনি শুরু থেকে আজ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেস এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছেন, বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যে বলে জনমানসে ভাবমূর্তি কলুষিত করার চেষ্টা করছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ৷ তাঁর কারণেই রাজ্যে জোট বড় ধাক্কা খেয়েছে ৷"

আরও পড়ুন:

  1. শিলিগুড়িতে রাহুলের সভার অনুমতি দিচ্ছে না মমতার সরকার, অসহযোগিতার অভিযোগ অধীরের
  2. লড়ে জিতেছি তাই কাউকে পরোয়া করি না, মমতার ‘নো ফ্যাক্টর’ মন্তব্যের পালটা জবাব অধীরের
  3. মমতাকে বহরমপুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ অধীরের, দোলাচলে 'ইন্ডিয়া'র ভবিষ্যৎ ?
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.