ETV Bharat / politics

কংগ্রেসের অনমনীয়তাই কি ‘ইন্ডিয়া’র বিভাজনের পথ প্রশস্ত করছে !

INDIA Coalition: শিয়রে লোকসভা নির্বাচন ৷ ঠিক সময় বিরোধীদের জোট ‘ইন্ডিয়া’য় ছন্নছাড়া অবস্থা ৷ কেন পরিস্থিতি ? এর জন্য কংগ্রেসের অনমনীয় মনোভাবই দায়ী ? লিখেছেন ইটিভি ভারত-এর সঞ্জীব গুহ ৷

INDIA Coalition
INDIA Coalition
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 27, 2024, 3:35 PM IST

কলকাতা, 27 জানুয়ারি: বিশ্বম্ভর রায়কে মনে আছে ? তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী কাহিনি জলসাঘরের সেই জমিদার ৷ পরবর্তীতে সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কিংবদন্তি অভিনেতা ছবি বিশ্বাস ৷ কংগ্রেস নেতৃত্বের অবস্থাও কি সেই বিশ্বম্ভর রায়ের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে ? লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের জোট ‘ইন্ডিয়া’র পরিস্থিতি দেখে সেই প্রশ্নই উঠছে বারবার ৷

সারা দেশে বিজেপিকে হারিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতেই কংগ্রেস-সহ 28টি বিরোধী রাজনৈতিক দল একমঞ্চে এসেছিল প্রায় সাত-আট মাস আগে ৷ সময়ের সঙ্গে সেই জোট আরও মজবুত হওয়ার কথা ছিল ৷ শরিক দলগুলির মতপার্থক্য সরিয়ে একসুরে বিজেপিকে নিশানা করার কথা ছিল ৷ অথচ ফল হচ্ছে উলটো ৷ একে একে শরিকরাই সরে যাচ্ছে ‘ইন্ডিয়া’ থেকে ৷

‘ইন্ডিয়া’র শরিকদের মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে যখন নানা জল্পনা চলছিল, সেই পরিস্থিতিতে গত বুধবার তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন যে এই রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার কোনও প্রশ্নই নেই ৷ বাংলায় তৃণমূল একাই লড়বে ৷ একই দিনে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন ৷

বিহারেও ‘ইন্ডিয়া’র অবস্থা টালমাটাল ৷ সেখানে নীতীশ কুমার আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গ ছেড়ে ফের বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবেন বলে খবর ৷ এমনকী, কংগ্রেসের বিধায়কদের একটা অংশ সেখানে বিজেপির সঙ্গে চলে যেতে পারে বলেও কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে ৷

উল্লেখ্য, বিরোধীদের এই জোট ‘ইন্ডিয়া’র সলতে পাকানোর কাজ কিন্তু শুরু হয়েছিল মমতা ও নীতীশের মাধ্যমে৷ মমতার পরামর্শে পটনায় বিরোধীদের প্রথম বৈঠক ডেকেছিলেন নীতীশ কুমার ৷ পরে মমতার প্রস্তাব মেনেই ইউপিএ-র বদলে জোটের নাম দেওয়া হয় ‘ইন্ডিয়া’ ৷ ফলে একেবারে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার কাছাকাছি সময়ে এই দু’জনই যদি জোট ছেড়ে বেরিয়ে যান, তাহলে ‘ইন্ডিয়া’ তো ভাঙা হাট হয়ে যাবে ৷ পরিস্থিতি অনেকটা ম্যাচের আগে ওয়াকওভার দেওয়ার মতো হয়ে যাবে !

বাকি যাঁরা এখনও রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদবের সঙ্গে ‘সুসম্পর্ক’ নেই কংগ্রেসের ৷ তাঁর বক্তব্যেও মাঝেমাঝে ‘অসন্তোষ’ ধরা পড়ছে ৷ মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের জোট পরিস্থিতি খুব জটিল ৷ সেখানে একদিকে ‘হিন্দুত্ববাদী’ শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে শিবির), অন্যদিকে শরদ পাওয়ারের এনসিপি কংগ্রেসের জোটসঙ্গী ৷ কিন্তু দু’টি দলই ভেঙে গিয়েছে ৷ মূল শিবসেনা একনাথ শিন্ডের হাতে ৷ তিনি আবার বিজেপিকে নিয়ে মারাঠা-ভূমে সরকার চালাচ্ছেন ৷ সেই সরকারে রয়েছেন শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ারও ৷ যিনি এনসিপি-র একটা অংশ সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন ৷ ফলে ওই রাজ্যের এই জোট জটিলতায় সম্প্রতি কংগ্রেসে ভাঙন ধরেছে ৷ রাহুল গান্ধির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মিলিন্দ দেওরা যোগ দিয়েছেন শিবসেনায় ৷

কেরালার পরিস্থিতিও পশ্চিমবঙ্গের মতো হতে পারে ৷ সেখানেও বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ ৷ ফলে কংগ্রেসের হাতে থাকছে মাত্র দু’টি রাজ্য কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানা ৷ যেখানে জেতার পর লোকসভা নির্বাচনের আগে কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস বেড়েছে রাহুল গান্ধির দলের নেতাদের ৷ প্রশ্ন উঠছে, সেই আত্মবিশ্বাসই কি নেতাদের ‘জলসাঘরের বিশ্বম্ভর রায়’ করে তুলছে ?

বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাপটে এই প্রশ্ন বারবার উঠেছে ৷ বাংলায় জোটে ইতি টানার সময় কংগ্রেসের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ তার পর তাঁকে উদ্দেশ্য করে আক্রমণ শানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ৷ যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তাঁকে বারবার তৃণমূলের উদ্দেশ্যে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে ৷ এমনকী, তিনি রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকে ‘বিদেশি’ বলেও কটাক্ষ করেছেন ৷

তাই বাংলায় তৃণমূল নেতারা জোট ভাঙার দায় সরাসরি অধীরের উপরই চাপাচ্ছেন ৷ ডেরেক ও’ব্রায়েন যেমন বলেন, "ইন্ডিয়া জোট কাজ না করার তিনটি কারণ হল - 1. অধীর, 2. অধীর এবং 3. অধীর... ৷ অধীর তাঁর নিজের দলের কবর খুঁড়েছেন ৷" আরেক তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও নিশানা করেছেন অধীর চৌধুরীকে ৷ তাঁর কথায়, "ইন্ডিয়া জোটের এই পরিস্থিতির জন্য অধীর চৌধুরী দায়ী । তৃণমূল কংগ্রেস যখন জোটকে সম্মান জানাচ্ছে, তিনি ক্রমাগত আমাদের দল, নেতা-নেত্রীকে বিজেপির সুরে আক্রমণ করছেন । 2021 সালে আমরা একাই বিজেপিকে পরাজিত করেছি । বাম-কংগ্রেস পেয়েছে শূন্য আসন । বিজেপির হাতকে শক্তিশালী করতে কংগ্রেস নেতা ক্রমাগত চেষ্টা করছেন ।"

জলসাঘরের বিশ্বম্ভর রায় যেমন বাস্তব পরিস্থিতি বুঝিয়েও নিজের ‘আত্মম্ভরিতা’য় অটল ছিলেন ৷ কংগ্রেসের নেতাদের আচরণ দেখে তেমনটাই মনে হচ্ছে বলে অনেকের মত ৷ অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা নমনীয় হচ্ছেন না বলে অভিযোগ ৷ যার ফলে ‘ইন্ডিয়া’র ভিত আরও শক্ত হওয়ার পরিবর্তে ভঙ্গুর হয়ে যাচ্ছে ৷ আগামিকাল, রবিবার জলপাইগুড়িতে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় থাকবেন রাহুল গান্ধি ৷ ওই দিনই আবার একই জেলায় থাকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও ৷ এখন দেখার সেদিন উত্তরবঙ্গের মাটি থেকে ‘ইন্ডিয়া’র ভবিষ্যতের নতুন কোনও উত্তর আসে কি না !

আরও পড়ুন:

  1. রাজ্যে 'ইন্ডিয়া' জোট ভাঙার মূলে অধীর ? জারি রাজনৈতিক আক্রমণ, প্রতি আক্রমণ
  2. জোট নিয়ে কংগ্রেসের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে বাংলায় একা লড়ার ঘোষণা মমতার
  3. রাহুলের ন্যায় যাত্রায় মমতাকে ফের আমন্ত্রণ জয়রামের, নমণীয় কংগ্রেস

কলকাতা, 27 জানুয়ারি: বিশ্বম্ভর রায়কে মনে আছে ? তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী কাহিনি জলসাঘরের সেই জমিদার ৷ পরবর্তীতে সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কিংবদন্তি অভিনেতা ছবি বিশ্বাস ৷ কংগ্রেস নেতৃত্বের অবস্থাও কি সেই বিশ্বম্ভর রায়ের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে ? লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের জোট ‘ইন্ডিয়া’র পরিস্থিতি দেখে সেই প্রশ্নই উঠছে বারবার ৷

সারা দেশে বিজেপিকে হারিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতেই কংগ্রেস-সহ 28টি বিরোধী রাজনৈতিক দল একমঞ্চে এসেছিল প্রায় সাত-আট মাস আগে ৷ সময়ের সঙ্গে সেই জোট আরও মজবুত হওয়ার কথা ছিল ৷ শরিক দলগুলির মতপার্থক্য সরিয়ে একসুরে বিজেপিকে নিশানা করার কথা ছিল ৷ অথচ ফল হচ্ছে উলটো ৷ একে একে শরিকরাই সরে যাচ্ছে ‘ইন্ডিয়া’ থেকে ৷

‘ইন্ডিয়া’র শরিকদের মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে যখন নানা জল্পনা চলছিল, সেই পরিস্থিতিতে গত বুধবার তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন যে এই রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার কোনও প্রশ্নই নেই ৷ বাংলায় তৃণমূল একাই লড়বে ৷ একই দিনে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন ৷

বিহারেও ‘ইন্ডিয়া’র অবস্থা টালমাটাল ৷ সেখানে নীতীশ কুমার আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গ ছেড়ে ফের বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবেন বলে খবর ৷ এমনকী, কংগ্রেসের বিধায়কদের একটা অংশ সেখানে বিজেপির সঙ্গে চলে যেতে পারে বলেও কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে ৷

উল্লেখ্য, বিরোধীদের এই জোট ‘ইন্ডিয়া’র সলতে পাকানোর কাজ কিন্তু শুরু হয়েছিল মমতা ও নীতীশের মাধ্যমে৷ মমতার পরামর্শে পটনায় বিরোধীদের প্রথম বৈঠক ডেকেছিলেন নীতীশ কুমার ৷ পরে মমতার প্রস্তাব মেনেই ইউপিএ-র বদলে জোটের নাম দেওয়া হয় ‘ইন্ডিয়া’ ৷ ফলে একেবারে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার কাছাকাছি সময়ে এই দু’জনই যদি জোট ছেড়ে বেরিয়ে যান, তাহলে ‘ইন্ডিয়া’ তো ভাঙা হাট হয়ে যাবে ৷ পরিস্থিতি অনেকটা ম্যাচের আগে ওয়াকওভার দেওয়ার মতো হয়ে যাবে !

বাকি যাঁরা এখনও রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদবের সঙ্গে ‘সুসম্পর্ক’ নেই কংগ্রেসের ৷ তাঁর বক্তব্যেও মাঝেমাঝে ‘অসন্তোষ’ ধরা পড়ছে ৷ মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের জোট পরিস্থিতি খুব জটিল ৷ সেখানে একদিকে ‘হিন্দুত্ববাদী’ শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে শিবির), অন্যদিকে শরদ পাওয়ারের এনসিপি কংগ্রেসের জোটসঙ্গী ৷ কিন্তু দু’টি দলই ভেঙে গিয়েছে ৷ মূল শিবসেনা একনাথ শিন্ডের হাতে ৷ তিনি আবার বিজেপিকে নিয়ে মারাঠা-ভূমে সরকার চালাচ্ছেন ৷ সেই সরকারে রয়েছেন শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ারও ৷ যিনি এনসিপি-র একটা অংশ সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন ৷ ফলে ওই রাজ্যের এই জোট জটিলতায় সম্প্রতি কংগ্রেসে ভাঙন ধরেছে ৷ রাহুল গান্ধির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মিলিন্দ দেওরা যোগ দিয়েছেন শিবসেনায় ৷

কেরালার পরিস্থিতিও পশ্চিমবঙ্গের মতো হতে পারে ৷ সেখানেও বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ ৷ ফলে কংগ্রেসের হাতে থাকছে মাত্র দু’টি রাজ্য কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানা ৷ যেখানে জেতার পর লোকসভা নির্বাচনের আগে কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস বেড়েছে রাহুল গান্ধির দলের নেতাদের ৷ প্রশ্ন উঠছে, সেই আত্মবিশ্বাসই কি নেতাদের ‘জলসাঘরের বিশ্বম্ভর রায়’ করে তুলছে ?

বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাপটে এই প্রশ্ন বারবার উঠেছে ৷ বাংলায় জোটে ইতি টানার সময় কংগ্রেসের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ তার পর তাঁকে উদ্দেশ্য করে আক্রমণ শানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ৷ যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তাঁকে বারবার তৃণমূলের উদ্দেশ্যে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে ৷ এমনকী, তিনি রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকে ‘বিদেশি’ বলেও কটাক্ষ করেছেন ৷

তাই বাংলায় তৃণমূল নেতারা জোট ভাঙার দায় সরাসরি অধীরের উপরই চাপাচ্ছেন ৷ ডেরেক ও’ব্রায়েন যেমন বলেন, "ইন্ডিয়া জোট কাজ না করার তিনটি কারণ হল - 1. অধীর, 2. অধীর এবং 3. অধীর... ৷ অধীর তাঁর নিজের দলের কবর খুঁড়েছেন ৷" আরেক তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও নিশানা করেছেন অধীর চৌধুরীকে ৷ তাঁর কথায়, "ইন্ডিয়া জোটের এই পরিস্থিতির জন্য অধীর চৌধুরী দায়ী । তৃণমূল কংগ্রেস যখন জোটকে সম্মান জানাচ্ছে, তিনি ক্রমাগত আমাদের দল, নেতা-নেত্রীকে বিজেপির সুরে আক্রমণ করছেন । 2021 সালে আমরা একাই বিজেপিকে পরাজিত করেছি । বাম-কংগ্রেস পেয়েছে শূন্য আসন । বিজেপির হাতকে শক্তিশালী করতে কংগ্রেস নেতা ক্রমাগত চেষ্টা করছেন ।"

জলসাঘরের বিশ্বম্ভর রায় যেমন বাস্তব পরিস্থিতি বুঝিয়েও নিজের ‘আত্মম্ভরিতা’য় অটল ছিলেন ৷ কংগ্রেসের নেতাদের আচরণ দেখে তেমনটাই মনে হচ্ছে বলে অনেকের মত ৷ অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা নমনীয় হচ্ছেন না বলে অভিযোগ ৷ যার ফলে ‘ইন্ডিয়া’র ভিত আরও শক্ত হওয়ার পরিবর্তে ভঙ্গুর হয়ে যাচ্ছে ৷ আগামিকাল, রবিবার জলপাইগুড়িতে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় থাকবেন রাহুল গান্ধি ৷ ওই দিনই আবার একই জেলায় থাকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও ৷ এখন দেখার সেদিন উত্তরবঙ্গের মাটি থেকে ‘ইন্ডিয়া’র ভবিষ্যতের নতুন কোনও উত্তর আসে কি না !

আরও পড়ুন:

  1. রাজ্যে 'ইন্ডিয়া' জোট ভাঙার মূলে অধীর ? জারি রাজনৈতিক আক্রমণ, প্রতি আক্রমণ
  2. জোট নিয়ে কংগ্রেসের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে বাংলায় একা লড়ার ঘোষণা মমতার
  3. রাহুলের ন্যায় যাত্রায় মমতাকে ফের আমন্ত্রণ জয়রামের, নমণীয় কংগ্রেস
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.