ETV Bharat / politics

বাবরি ধ্বংসের পর জ্যোতি বসুর সরকারকে সহযোগিতার বার্তা দেওয়া নিয়ে মমতার দাবি খারিজ সেলিমের

Md Salim: রাম মন্দিরের উদ্বোধন ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংহতি যাত্রা নিয়ে একযোগে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপিকে নিশানা করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ৷ এমনকী, এ দিন বাবরি ধ্বংসের পর জ্যোতি বসুর সরকারকে সহযোগিতার বার্তা দিয়েছিলেন বলে মমতা যে দাবি করেন, সেটাও নস্যাৎ করে দিয়েছেন সেলিম ৷

Md Salim
Md Salim
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 22, 2024, 8:04 PM IST

কলকাতা, 22 জানুয়ারি: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন কলকাতায় সংহতি মিছিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই মিছিলের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর তিনিই প্রথম তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর কাছে গিয়ে বলেন যে ‘দরকার থাকলে বলুন’ ৷ কিন্তু, মমতার সেই দাবিকে নস্যাৎ করে দিলেন সিপিএমের বতর্মান রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম । তাঁর পাল্টা দাবি, "সব চেয়ে বড় মিথ্যে কথা । কোথাও খবর হয়নি । দাঙ্গাবাজকে যখন ধরা হয়, তখন জেলে গিয়ে তাঁকে ছাড়াতে বলেছিলেন উনি ।"

মমতাকে নিশানা করে সেলিমের আরও অভিযোগ, "আরএসএসের পাদুকা রেখে মমতা শাসন করছেন । সবাইকে এক সূত্রে গাথা যায় না । কমিউনিস্টর জোয়ারে গা ভাসায় না । সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য জ্যোতি বসু । ...বিজেপি ধর্মের নামে করছে বলে আজ গুরুদোয়ার‍ায় কেন গেলেন ? এত ঢাক ঢোল পিটিয়ে করছে কেন ? একটু অন্য মোড়কে এক ভাবেই করছে তৃণমূল ।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আজ সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত ছিল রাজ্যের । তার বদলে এই ভয়-ভীতির পরিবেশ তৈরি করেছে । যা প্রধানমন্ত্রী করলেন, তা সত্য মুখ্যমন্ত্রীর জন্যও । পুলিশ ব্যরিকেড করে সব বন্ধ করে দিল । অযোধ্যা হোক বা রাজ্যে, স্টেট-স্পনসর বিষয় । একনায়কতন্ত্র ।"

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করে সেলিমের আরও দাবি, "পরিকল্পিতভাবে কেন্দ্রীয় সরকার অযোধ্যাকে কেন্দ্র করে নতুন ইতিহাস সূচনার জন্য বড় করে করছে । কলকাতার বহু স্কুল নেতাজির জন্মদিনে ছুটি না দিয়ে এ দিন দিল । ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে ইতিহাস । রামায়ণ সিরিয়ালের মতোও টিআরপি হল কই ? রামায়ণে পথঘাট ফাঁকা হয়ে যেত । এখানে তা হয়নি ।’’

সেলিমের আরও বক্তব্য, ‘‘রাষ্ট্রের কোনও ধর্ম থাকতে পারে না । প্রধানমন্ত্রী কিন্তু রামলালা নিয়ে যাননি । ফের সেখান থেকে স্পষ্ট জাতের ভাগ । তফসিলিদের ঢুকতেও দেয় না । আজকের সভ্যতা কালেক্টিভ উইসডমকে নষ্ট করছে । লকডাউনের পর অর্থনীতির ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে । সব ডাউন হয়েছে । এসব থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগকে উসকে দিচ্ছে । চাকরি-সহ একাধিক প্রতিশ্রুতির বদলে বলছে নতুন কালে পরিণত হল বলছে । এ কোন কাল ?’’

তিনি দাবি, যখন ধর্মীয় যুক্তি দিয়ে পুরোটা বোঝানো গেল না, তখন আলাদা আলাদা ব্যখায় আসছে । বিজেপি শুধু ধর্মের ব্যখ্যা দিতে পারে । তিনি লালকৃষ্ণ আদবানির অনুপস্থিতির প্রসঙ্গও তোলেন ৷ তাঁর অভিযোগ, প্রথম রাম জন্মভূমি কমিটির কেউই এখন আর নেই ৷ আরএসএস আদবানিকে বাদ দিয়ে এখন মোদিকে তুলে ধরছে ৷

আরও পড়ুন:

  1. মন্দির-মসজিদ-চার্চ হয়ে হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস সংহতি যাত্রা মমতার
  2. সিপিএম নেতার স্মরণসভায় এসে বামেদের প্রশংসা, বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক
  3. যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান দেখানো ঘিরে অশান্তি

কলকাতা, 22 জানুয়ারি: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন কলকাতায় সংহতি মিছিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই মিছিলের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর তিনিই প্রথম তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর কাছে গিয়ে বলেন যে ‘দরকার থাকলে বলুন’ ৷ কিন্তু, মমতার সেই দাবিকে নস্যাৎ করে দিলেন সিপিএমের বতর্মান রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম । তাঁর পাল্টা দাবি, "সব চেয়ে বড় মিথ্যে কথা । কোথাও খবর হয়নি । দাঙ্গাবাজকে যখন ধরা হয়, তখন জেলে গিয়ে তাঁকে ছাড়াতে বলেছিলেন উনি ।"

মমতাকে নিশানা করে সেলিমের আরও অভিযোগ, "আরএসএসের পাদুকা রেখে মমতা শাসন করছেন । সবাইকে এক সূত্রে গাথা যায় না । কমিউনিস্টর জোয়ারে গা ভাসায় না । সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য জ্যোতি বসু । ...বিজেপি ধর্মের নামে করছে বলে আজ গুরুদোয়ার‍ায় কেন গেলেন ? এত ঢাক ঢোল পিটিয়ে করছে কেন ? একটু অন্য মোড়কে এক ভাবেই করছে তৃণমূল ।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আজ সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত ছিল রাজ্যের । তার বদলে এই ভয়-ভীতির পরিবেশ তৈরি করেছে । যা প্রধানমন্ত্রী করলেন, তা সত্য মুখ্যমন্ত্রীর জন্যও । পুলিশ ব্যরিকেড করে সব বন্ধ করে দিল । অযোধ্যা হোক বা রাজ্যে, স্টেট-স্পনসর বিষয় । একনায়কতন্ত্র ।"

কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করে সেলিমের আরও দাবি, "পরিকল্পিতভাবে কেন্দ্রীয় সরকার অযোধ্যাকে কেন্দ্র করে নতুন ইতিহাস সূচনার জন্য বড় করে করছে । কলকাতার বহু স্কুল নেতাজির জন্মদিনে ছুটি না দিয়ে এ দিন দিল । ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে ইতিহাস । রামায়ণ সিরিয়ালের মতোও টিআরপি হল কই ? রামায়ণে পথঘাট ফাঁকা হয়ে যেত । এখানে তা হয়নি ।’’

সেলিমের আরও বক্তব্য, ‘‘রাষ্ট্রের কোনও ধর্ম থাকতে পারে না । প্রধানমন্ত্রী কিন্তু রামলালা নিয়ে যাননি । ফের সেখান থেকে স্পষ্ট জাতের ভাগ । তফসিলিদের ঢুকতেও দেয় না । আজকের সভ্যতা কালেক্টিভ উইসডমকে নষ্ট করছে । লকডাউনের পর অর্থনীতির ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে । সব ডাউন হয়েছে । এসব থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগকে উসকে দিচ্ছে । চাকরি-সহ একাধিক প্রতিশ্রুতির বদলে বলছে নতুন কালে পরিণত হল বলছে । এ কোন কাল ?’’

তিনি দাবি, যখন ধর্মীয় যুক্তি দিয়ে পুরোটা বোঝানো গেল না, তখন আলাদা আলাদা ব্যখায় আসছে । বিজেপি শুধু ধর্মের ব্যখ্যা দিতে পারে । তিনি লালকৃষ্ণ আদবানির অনুপস্থিতির প্রসঙ্গও তোলেন ৷ তাঁর অভিযোগ, প্রথম রাম জন্মভূমি কমিটির কেউই এখন আর নেই ৷ আরএসএস আদবানিকে বাদ দিয়ে এখন মোদিকে তুলে ধরছে ৷

আরও পড়ুন:

  1. মন্দির-মসজিদ-চার্চ হয়ে হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস সংহতি যাত্রা মমতার
  2. সিপিএম নেতার স্মরণসভায় এসে বামেদের প্রশংসা, বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক
  3. যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান দেখানো ঘিরে অশান্তি
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.