বালুরঘাট, 21 এপ্রিল: বালুরঘাট টাউনে নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বিএসএফের বিরুদ্ধে বালুঘাট লোকসভার গঙ্গারামপুরে এক যুবককে গুলি করার অভিযোগ তুললেন তিনি ৷ জানা গিয়েছে, গুলিতে গুরুতর জখম ওই যুবক বর্তমানে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি ৷ এদিন বিএসএফের বিরুদ্ধে এফআইআর কপি হাতে নিয়ে এই অভিযোগ করেন তিনি ৷ গ্রামে ঢুকে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য বিএসএফ চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ ৷ তার প্রতিবাদ করায় ওই যুবককে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন মমতা ৷
মমতার দাবি অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে গত 19 এপ্রিল বেলা 12টার সময় ৷ অর্থাৎ, প্রথমদফার নির্বাচনের দিন ৷ সেই সময় 4-5 জন বিএসএফ জওয়ান হঠাৎই গ্রামে ঢোকেন এবং মাঠে চাষের কাজ করা মহিলাদের ডেকে নিয়ে যায় ৷ অভিযোগ, তাঁদের উপর চাপ তৈরির চেষ্টা করা হয় বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য ৷ সেই সময় স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান সেখানে পৌঁছান এবং ঘটনার প্রতিবাদ করেন ৷
এফআইআর কপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিজেপিকে ভোট না দিলে সকলকে গুলি করার হুমকি দেওয়া হয় বিএসএফের পক্ষ থেকে ৷ সেই সময় বিএসএফের বিরুদ্ধে ইসরাফিল আলি নামে এক যুবক প্রতিবাদ জানালে, তাঁকে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ ৷ এমনকি কয়েকজন গ্রামবাসীকে লাঠি ও বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধরও করা হয় ৷ এদিন বালুরঘাট টাউনে তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের হয়ে প্রচারের মঞ্চে মমতার এই অভিযোগে, শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে ৷
মঞ্চ থেকেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রকে এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ কিন্তু প্রশ্ন হল, গত পরশুদিন ঘটনাটি ঘটেছে ৷ তাহলে মাঝে একটা দিন পেরিয়ে গিয়েছে ৷ এই সময়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব কী করছিল ? তাঁরা কেন জেলা নির্বাচনী আধিকারিক অর্থাৎ, জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানাননি কেন ?
আরও পড়ুন: