টাকি, 14 ফেব্রুয়ারি: বসিরহাটের পর টাকিতেও টানটান নাটক। অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ তাঁকে সন্দেশখালি যেতে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে বিজেপি নেতৃত্বের। পুলিশের গাড়ির উপরও উঠে পড়েন সুকান্ত। সেই নিয়ে ধুন্ধুমার বাঁধলে ঠেলাঠেলি শুরু হয়ে যায় ৷ আর তাতেই মাটিকে শুয়ে পড়েন সুকান্ত। ধস্তাধস্তিতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানা যায়। চোখেমুখে জল ছিটিয়ে তাঁর সংজ্ঞা ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। তার পর রাজ্য বিজেপির সভাপতিকে গাড়িতে তুলে বসিরহাট হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন সুকান্তের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং বিজেপি কর্মীরা।
বুধবার ইছামতীর পাড়ে প্রথমে সরস্বতী পুজো করেন সুকান্ত। কিন্তু টাকির হোটেল থেকে বেরিয়ে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দিতে গেলে, পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, হোটেল ঘিরে ফেলে পুলিশ। কার্যত গৃহবন্দি করা হয় সুকান্তকে। সেই নিয়ে ধুন্ধুমার বাধলে পুলিশের গাড়ির উপর উঠে যান সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু ধস্তাধস্তিতে তিনি গাড়ি থেকে পড়ে যান এবং সংজ্ঞা হারান বলে জানা যায়। তড়িঘড়ি গাড়িতে তুলে তাঁকে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন বিজেপি কর্মীরা।
বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, সরস্বতী পুজো উপলক্ষে উপোস করেছিলেন সুকান্ত। সেই অবস্থাতেই পুলিশের গাড়ির উপর উঠে যান, শুয়ে পড়েন বনেটের উপর। তাঁকে নামানোর চেষ্টা করে পুলিশ। এরপর ধস্তাধস্তি চলাকালীন গাড়ি থেকে পড়ে যান তিনি। তারপরই সংজ্ঞা হারান সুকান্ত। বিজেপির দাবি, পুলিশের গাড়ির চালক গাড়ি চালিয়ে দেওয়াতেই পড়ে যান সুকান্ত। এরপর তড়িঘড়ি তাঁর নিজের গাড়িতেই তোলা হয় সুকান্তকে। মেডিকেল এমার্জেন্সি দেখিয়ে সুকান্তর গাড়িকে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ।
এর আগে, মাঝরাতে বসিরহাটের এসপি অফিসের সামনে থেকে বিজেপির ধরনা তুলে দেয় পুলিশ। এরপর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটক করে বসিরহাট স্টেডিয়ামের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় একঘন্টা পর বন্ডে সই করিয়ে ছাড়া হয় সুকান্ত-সহ আটক বিজেপি নেতা কর্মীদের। পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর টাকির একটি বেসরকারি হোটেলে রাত কাটান বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ। সেখান থেকে দুপুরে তাঁর সন্দেশখালি যাওয়ার কথা থাকলেও সকালেই সুকান্ত'র হোটেলের ঘর কার্যত ঘিরে ফেলে পুলিশ। পুলিশের চোখে ধূলো দিয়ে অন্য গেট দিয়ে তিনি সোজা চলে যান ইছামতির পাড়ে। সেখানেই হয় সরস্বতী পুজো। পুজো শেষ হতে না-হতে তাঁকে পুলিশ হোটেলে ফিরে যেতে বললে শুরু হয় বাকযুদ্ধ। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
আরও পড়ুন: