ETV Bharat / politics

আত্মনির্ভরতার পথ দেখিয়ে ছাব্বিশে তৃণমূলের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’ ভাগ বসাতে চায় বিজেপি, ইঙ্গিত রুদ্রনীলের - Rudranil Ghosh - RUDRANIL GHOSH

Rudranil Ghosh: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাধ্যমে তৃণমূল মহিলাদের সমর্থন হাসিল করেছে, একথা কার্যত মেনে নিলেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ ৷ তবে বিজেপি মহিলাদের স্বনির্ভরতার পথে এনে ছাব্বিশের ভোটে জিততে চায় ৷ ইটিভি ভারতকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই কথা জানিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ ৷

Rudranil Ghosh
প্রতীকী ছবি (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 13, 2024, 4:16 PM IST

কলকাতা, 13 জুন: চব্বিশের ফলাফলে লোকসভায় বাংলা থেকে ছ’টি আসন কমেছে বিজেপির ৷ উল্টোদিকে বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফল অনুযায়ী একুশের চেয়ে বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি ৷ দু’বছর পর 2026 সালে আবার বিধানসভা নির্বাচন ৷ সেই ভোট নিয়ে যে এখন থেকেই পরিকল্পনা গেরুয়া শিবিরের অন্দরে তৈরি হয়ে গিয়েছে, তা স্পষ্ট হল রুদ্রনীল ঘোষের কথায় ৷

বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষের সাক্ষাৎকার (ইটিভি ভারত)

এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ফলাফলে তৃণমূলের পক্ষে মানুষের সমর্থনের অন্যতম কারণ যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, তা ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞরা বলতে শুরু করেছেন ৷ এই প্রকল্পের জন্য বাংলার মহিলারা ঘাসফুলেই আস্থা রেখেছেন বলে অনেকের মত ৷ ইটিভি ভারতকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই কথা মেনে নিয়েছেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীলও ৷

তিনি মনে করেন, অনুদানের কৌশলেই বাংলার মানুষকে নিজেদের দিকে টানতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল ৷ কোনোভাবেই যাতে বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে ভোটে টান না পড়ে, সেই কারণে হুমকি দেওয়া হয়েছে প্রচার চলাকালীন ৷ বলা হয়েছে, বিজেপি জিতলে এই প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে ৷ এভাবেই তৃণমূল কার্যত ভোট কিনেছে ৷

রুদ্রনীলের মতে, বাংলার মহিলারাও জানেন তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতিতে ডুবে আছে ৷ তার পরও বাধ্য হয়ে তাঁরা অনুদানে ভরসা রাখেন ৷ কারণ, এটা নেওয়া ছাড়া বাংলার মহিলাদের আর কোনও উপায় নেই ৷

কেন এমন কথা বলছেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন রুদ্রনীল ৷ তাঁর বক্তব্য, সিপিএমের চাপিয়ে দিয়ে যাওয়ার ঋণের বোঝা আরও বৃদ্ধি হয়েছে তৃণমূল জমানায় ৷ বাংলা আজ রোজগারহীন ৷ ছেলে-মেয়েরা কাজের সন্ধানে বাইরের রাজ্যে চলে যাচ্ছেন ৷ সেই কারণে সংসার চালাতে বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে এই অনুদান নিচ্ছেন গরিব বাড়ির মহিলারা ৷ শহরের মহিলাদের কাছে মাসে 500-1000 টাকা সামান্য হলেও গ্রামীণ অংশের মহিলাদের কাছে এটাই অনেক ৷

রুদ্রনীল জানালেন, এই পরিস্থিতির পরিবর্তন প্রয়োজন ৷ সেই কারণে 2026 সালে বাংলায় সরকার বদল করা জরুরি ৷ সেই লক্ষ্যে যেমন বিজেপি এগিয়ে যাবে, পাশাপাশি বাংলার মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলার কাজও করবে গেরুয়া শিবির ৷ যাতে আগামিদিনে অনুদানের অর্থ প্রয়োজনই না হয় বাংলার মহিলাদের ৷

কিন্তু কিভাবে বিজেপি বাংলার মহিলাদের স্বনির্ভর হওয়ার পথ দেখাবে ? সেই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা এখনই দেননি অভিনয় জগত থেকে রাজনীতির ময়দানে আসা রুদ্রনীল ৷ তবে তাঁর কথাতেই স্পষ্ট যে এই ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবছে বিজেপি ৷

এখন দেখার তাঁদের পরিকল্পনা কাজে আসে কি না ! বাংলার মহিলারা ছাব্বিশের ভোটে অনুদানের পক্ষে ভোট দেন, নাকি বিজেপির দেখানো স্বনির্ভরতার পথে হাঁটেন !

কলকাতা, 13 জুন: চব্বিশের ফলাফলে লোকসভায় বাংলা থেকে ছ’টি আসন কমেছে বিজেপির ৷ উল্টোদিকে বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফল অনুযায়ী একুশের চেয়ে বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি ৷ দু’বছর পর 2026 সালে আবার বিধানসভা নির্বাচন ৷ সেই ভোট নিয়ে যে এখন থেকেই পরিকল্পনা গেরুয়া শিবিরের অন্দরে তৈরি হয়ে গিয়েছে, তা স্পষ্ট হল রুদ্রনীল ঘোষের কথায় ৷

বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষের সাক্ষাৎকার (ইটিভি ভারত)

এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ফলাফলে তৃণমূলের পক্ষে মানুষের সমর্থনের অন্যতম কারণ যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, তা ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞরা বলতে শুরু করেছেন ৷ এই প্রকল্পের জন্য বাংলার মহিলারা ঘাসফুলেই আস্থা রেখেছেন বলে অনেকের মত ৷ ইটিভি ভারতকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই কথা মেনে নিয়েছেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীলও ৷

তিনি মনে করেন, অনুদানের কৌশলেই বাংলার মানুষকে নিজেদের দিকে টানতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল ৷ কোনোভাবেই যাতে বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে ভোটে টান না পড়ে, সেই কারণে হুমকি দেওয়া হয়েছে প্রচার চলাকালীন ৷ বলা হয়েছে, বিজেপি জিতলে এই প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে ৷ এভাবেই তৃণমূল কার্যত ভোট কিনেছে ৷

রুদ্রনীলের মতে, বাংলার মহিলারাও জানেন তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতিতে ডুবে আছে ৷ তার পরও বাধ্য হয়ে তাঁরা অনুদানে ভরসা রাখেন ৷ কারণ, এটা নেওয়া ছাড়া বাংলার মহিলাদের আর কোনও উপায় নেই ৷

কেন এমন কথা বলছেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন রুদ্রনীল ৷ তাঁর বক্তব্য, সিপিএমের চাপিয়ে দিয়ে যাওয়ার ঋণের বোঝা আরও বৃদ্ধি হয়েছে তৃণমূল জমানায় ৷ বাংলা আজ রোজগারহীন ৷ ছেলে-মেয়েরা কাজের সন্ধানে বাইরের রাজ্যে চলে যাচ্ছেন ৷ সেই কারণে সংসার চালাতে বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে এই অনুদান নিচ্ছেন গরিব বাড়ির মহিলারা ৷ শহরের মহিলাদের কাছে মাসে 500-1000 টাকা সামান্য হলেও গ্রামীণ অংশের মহিলাদের কাছে এটাই অনেক ৷

রুদ্রনীল জানালেন, এই পরিস্থিতির পরিবর্তন প্রয়োজন ৷ সেই কারণে 2026 সালে বাংলায় সরকার বদল করা জরুরি ৷ সেই লক্ষ্যে যেমন বিজেপি এগিয়ে যাবে, পাশাপাশি বাংলার মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলার কাজও করবে গেরুয়া শিবির ৷ যাতে আগামিদিনে অনুদানের অর্থ প্রয়োজনই না হয় বাংলার মহিলাদের ৷

কিন্তু কিভাবে বিজেপি বাংলার মহিলাদের স্বনির্ভর হওয়ার পথ দেখাবে ? সেই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা এখনই দেননি অভিনয় জগত থেকে রাজনীতির ময়দানে আসা রুদ্রনীল ৷ তবে তাঁর কথাতেই স্পষ্ট যে এই ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবছে বিজেপি ৷

এখন দেখার তাঁদের পরিকল্পনা কাজে আসে কি না ! বাংলার মহিলারা ছাব্বিশের ভোটে অনুদানের পক্ষে ভোট দেন, নাকি বিজেপির দেখানো স্বনির্ভরতার পথে হাঁটেন !

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.