কলকাতা, 30 জানুয়ারি: অধীর চৌধুরীর জন্যই ‘ইন্ডিয়া’ জোটে তৃণমূলের সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে । এবার সেই বিষয়েই মঙ্গলবার মুখ খুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী ৷ তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলকে বলতে হবে অধীরের জন্যই বাংলায় ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হচ্ছে । আর, তৃণমূল চুরি করলেও সেটা বলা যাবে না ।
এ দিন বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, "তাঁরা বলেদিক, অধীর চৌধুরীর জন্য আমরা বাংলায় রাহুল গান্ধিকে জায়গা দিচ্ছি না । বলে দিলে আমি সরে আসব । রাহুল গান্ধির পদযাত্রা মসৃণ করার জন্য আমি সরে আসব । তারা বলেদিক, অধীর চৌধুরীর জন্য আমরা রাহুল গান্ধির পদযাত্রা করতে দিচ্ছি না ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতার পদযাত্রা । যাঁর পরিবারের জন্যই একজন নেত্রী (মমতা) হয়েছেন, মন্ত্রী হয়েছেন । মনে রাখতে রাহুল গান্ধির পদযাত্রা নিয়ে এ বাংলায় যা করা হয়েছে, তা বাংলার লজ্জা । বাংলার সংস্কৃতি নয় । রাহুল গান্ধির সঙ্গে যা করা হয়েছে, তার জন্য আমি লজ্জিত । এটা তাঁর সঙ্গে করা যায় না । বাংলায় এটা ছিল না । আপনারা চাইলে আমাদের সঙ্গে করতে পারতেন । রাহুল গান্ধি আবার পদযাত্রায় বাংলায় আসবেন । আবারও বলব তাঁর পদযাত্রায় যেন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করা হয় ।"
অধীর আরও বলেন, "পশ্চিমবাংলায় চুরি হচ্ছে । তা কি বলব না ? বাংলায় চুরি কাণ্ডে তৃণমূল জড়িত । তা কি বলব না ? আনিশ খান খুনে দোষীরা শাস্তি পেল না । ইডিকে আমি ইডিয়ট বলি । আর কেউ বলার সাহস রাখে না । আনিশ খান খুনে দোষী খুঁজে পাওয়া গেল না । আমরা যাব কোথায় ? কোর্টে ? শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে । পাওনা চাকরি দিচ্ছে না ? যাব কোথায় ? কোর্টে ? রেশনের মাল পাচ্ছি না । যাব কোথায় ? কোর্টে ? কোর্ট কাকে দিয়ে তদন্ত করাবে, তা কোর্টের ব্যাপার ? কোর্ট বলছে সিবিআই, ইডি । আমরা বলিনি । 2-2 চার করে দেবেন না প্লিজ ।’’
তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘কোর্টে সাধারণ মানুষ গিয়েছেন বিচার চাইতে । নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষ গিয়েছেন বিচার চাইতে । বিচারক বলছেন এভাবে তদন্ত হোক । যিনি বিচার চাইতে যাচ্ছেন, তাঁর ইচ্ছে অনুযায়ী হচ্ছে না কিন্তু । দু’টোর মধ্যে ফারাক আছে । সরকারের কথায় ইডির হামলা । সিবিআই হামলা । আর কোর্টের নির্দেশে সিবিআই, ইডি হামলা । আম আর আমড়ার মধ্যে ফারাক আছে । কমলা আর কলার মধ্যে ফারাক আছে । আতা আর ব্যাঙের ছাতার মধ্যে ফারাক । তা গুলিয়ে দেওয়া যাবে না । এই বাংলার মানুষ জানে কে চোর ? কে শয়তান ? চোর যেন সাধু হওয়ার চেষ্টা না করে ।"
আরও পড়ুন: