কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি: গত কয়েকদিন ধরে জল্পনা চলছিল তাঁর নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে । সব জল্পনা সরিয়ে রেখে এবার লোকসভা নির্বাচনে দলের জন্য সাফল্য আনতে ঝাঁপালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি । আর সেখানেই সন্দেশখালি এড়িয়ে চোপড়া নিয়ে অভিষেক সরব হয়েছেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর ।
সূত্রের খবর এ দিন অভিষেক বলেছেন, ‘‘সন্দেশখালি নিয়ে এত মাতামাতি । আর চোপড়ায় বিএসএফের কারণে চারটে ফুটফুটে বাচ্চা মারা গেল । তা নিয়ে চুপ সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি । কোনও ঘটনা ঘটলেই বিজেপি রাজভবনে যায় । কালক্ষেপ না করে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস চোপড়া নিয়ে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালকে তাদের উদ্বেগ জানানোর পরেও এখনও তিনি সেদিক মুখ হননি ।’’
দলের অন্দরে তিনি আরও জানান, অবৈধ ড্রেন করছিল বিএসএফ । এটা করতে গিয়ে চারটে শিশুর প্রাণ গেল । কেন চুপ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ? দেখেছেন চোপড়ায় বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস প্রতিনিধিদল গিয়েছে ? তারা এই ঘটনার নিন্দা করে, একটা কথা বলেছে । রাজ্যপালের কাছে বিজেপি গেলে, 24 ঘণ্টার মধ্যে তিনি যান সন্দেশখালি । আর এখানে তিনি যান না ।
সূত্রের খবর, সন্দেশখালিতে শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে, তা নিয়ে একটি শব্দ খরচ না করলেও, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের আহত হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক । স্বাধিকার রক্ষা কমিটির ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পা পিছলে পড়ে গেলেন । তার জন্য সংসদের স্বাধিকার রক্ষা কমিটি ডেকে পাঠাচ্ছেন আধিকারিকদের । আর আমাকে, মহুয়া, শান্তনু সেন, বীরবাহাকে যখন মারা হল, তখন স্বাধিকার রক্ষা কমিটি কোথায় ছিল ?’’
পাশাপাশি তিনি দলের নেতা-সাংসদ-বিধায়কদের পরামর্শ দেন যে অন্যদলকে কুরুচিকর আক্রমণ এড়িয়ে 100 দিনের কাজ নিয়ে দলের লড়াই, সাধারণ মানুষকে নিয়ে তৃণমূলের কাজকেই প্রচারে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য ৷
আরও পড়ুন: