21 সেপ্টেম্বর 2024 মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ বা কোয়াডের বৈঠকে অংশ নেন ৷ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সমস্যা মোকাবিলার অ্যাজেন্ডা নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে সম্মত হন ৷ সেখানে উইলমিংটন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করেন ৷ সেখানে সবপক্ষ সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্বাস্থ্য থেকে পরিকাঠামোর উন্নতিতে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের ঘোষণা করা হয় । বেশিরভাগ কাজই চিনের বিরুদ্ধে ভারসাম্যরক্ষায় নেওয়া ৷ তবে এই নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি ৷
উইলমিংটন ঘোষণা অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ কী কী কাজ করা হবে
যে কাজগুলি করা হবে বলে কোয়াড সামিটে ঠিক হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা, পরিকাঠামো, ইন্দো-প্যাসিফিক লজিস্টিক নেটওয়ার্ক, জটিল ও উদীয়মান প্রযুক্তি, কোস্ট গার্ড কো-অপারেশন, সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে কেবল নিয়ে যাওয়া ও ডিজিটাল সংযোগ, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে প্রশিক্ষণের জন্য সামুদ্রিক উদ্যোগ ইত্যাদি ।
কোয়াড দেশগুলি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্যানসারের বোঝা কমাতে এবং মহামারী তহবিলে সহায়তা অব্যাহত রাখতে একটি নতুন উদ্যোগ 'কোয়াড ক্যানসার মুনশট' চালু করেছে । 'ভবিষ্যত অংশীদারিত্বের কোয়াড পোর্ট' চালু করা হয়েছিল বন্দরের পরিকাঠামোর উন্নতি করার জন্য, যেখানে কোয়াডের যৌথ দক্ষতাকে কাজে লাগানো যায় ৷ এর মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বন্দরগুলিকে মহামারীর সময় কার্গো, জাহাজ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে যথাযথ পরিষেবা দেওয়া এবং পরিকাঠামো তৈরি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সাইবার বা সন্ত্রাসবাদী হামলা মোকাবিলা নিশ্চিত করা যায় ৷
‘কোয়াড ইন্দো-প্যাসিফিক লজিস্টিকস নেটওয়ার্ক’ নামে একটি প্রকল্প শুরু করা হয়েছে ৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে অংশীদার দেশগুলির মধ্যে এয়ারলিফ্ট করার ক্ষমতা ভাগ করে নেওয়ার বিষয়টি অনুসরণ করা হবে ৷ আর এই অঞ্চলে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে আরও দ্রুত ও দক্ষতার সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করার জন্য সক্ষমতা তৈরি করা হবে ৷ এর জন্য সবপক্ষের সম্মিলিত লজিস্টিক শক্তিকে কাজে লাগানো হবে ।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের মানুষের সুবিধার জন্য উদীয়মান প্রযুক্তিগুলিকে ব্যবহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কোয়াড ৷ সেই প্রযুক্তিগুলির মধ্যে রয়েছে ওপেন রেডিয়ো অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক (ব়্যান), 5জি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), বায়োটেকনোলজি এবং সেমিকন্ডাক্টর ৷ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং সংযোগে সহায়তা করার জন্য এই প্রযুক্তিগুলি স্থাপন করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কোয়াড । সামরিক সরবরাহ সহযোগিতা বৃদ্ধি করার অংশ হিসেবে কোয়াড দেশগুলি 'কোয়াড-অ্যাট-সি শিপ অবজারভার মিশন' আয়োজনের ঘোষণা করেছে ৷ যা 2025 সালে আয়োজিত হবে ৷ সহযোগিতামূলক সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং আন্তঃকার্যকারিতা বাড়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতীয় উপকূলরক্ষীরা এতে অংশ নেবে ৷
‘কোয়াড পার্টনারশিপ ফর কেবল কানেক্টিভিটি অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স’-এর মাধ্যমে কোয়াড অংশীদাররা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সমুদ্রের তলদেশে কেবল নেটওয়ার্ক তৈরিতে সাহায্য করা এবং তা শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা এই অঞ্চল এবং বিশ্বের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত । কোয়াড নেতারা ইন্দো-প্যাসিফিক মেরিটাইম ইনিশিয়েটিভ ফর ট্রেনিং ইন দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক (মৈত্রী) ঘোষণা করেছেন ৷ এর মাধ্যমে আঞ্চলিক অংশীদারদের ইন্দো-প্যাসিফিক মেরিটাইম ডোমেন অ্যাওয়ারনেস (আইপিএমডিএ) এর সরঞ্জামগুলি নিয়ে সহায়তা করতে হবে ৷ অন্যান্য কোয়াড উদ্যোগগুলির সেরা অনুশীলন করা এবং সিভিল মেরিটাইম উন্নত করতে সহায়তা, সহযোগিতা ও পর্যবেক্ষণ করা এবং তাদের জলসীমা সুরক্ষিত রাখা, তাদের আইন প্রয়োগ এবং বেআইনি কাজ প্রতিরোধও এর মাধ্যমে করা যাবে ৷
এই শীর্ষ বৈঠকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে ৷ তাছাড়া সুরক্ষিত সাইবার নিরাপত্তা পরিবেশ গড়ে তোলার বিষয়েও কথা হয়েছে ৷ এছাড়া জলবায়ু প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে ও চরম আবহাওয়ার পরিস্থিতির প্রভাব পরিচালনা করতে সহায়তা করার জন্য মহাকাশ-সম্পর্কিত অ্যাপ্লিকেশনগুলি ইন্দো-প্যাসিফিক জুড়ে দেশগুলিতে ব্যবহার নিয়েও আলোচনা হয়েছে ৷ শক্তি দক্ষতা বাড়ানোর জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা, সন্ত্রাস দমন, বিভ্রান্তি মোকাবিলা এবং মানুষে মানুষে উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়েও কথা হয়েছে ।
ভারতের মূল প্রতিশ্রুতি
কোয়াড সামিট 2024-এ ভারতের এক ঝাঁক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ৷ ভারত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে 7.5 মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের এইচপিভি স্যাম্পলিং কিট, সনাক্তকরণ সরঞ্জাম ও সারভাইক্যাল ক্যানসার ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । মহামারীর প্রস্তুতির জন্য ভারত একটি কর্মশালার আয়োজন করতে এবং জরুরি জনস্বাস্থ্য প্রতিক্রিয়ার রূপরেখা দিয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে বাধ্য । ভারতের আর্থিক সাহায্যে চলা প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠানে চার বছরের স্নাতকস্তরের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স করার জন্য ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের পড়ুয়াদের জন্য 500,000 মার্কিন ডলার মূল্যের 50টি কোয়াড স্কলারশিপ ঘোষণা করা হয়েছে ভারতের তরফে । ফিজি, কোমোরোস, মাদাগাস্কার এবং সেশেলে সৌর প্রকল্পের জন্য 2 মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত ।
2025 সালে ভারত প্রথম ‘মৈত্রী’ কর্মশালার আয়োজন করবে এবং প্রথম আঞ্চলিক বন্দর ও পরিবহণ সম্মেলনের আয়োজনও করবে । কেবল সংযোগ ও স্থিতিস্থাপকতার জন্য কোয়াড পার্টনারশিপের সমর্থনে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সমুদ্রের তলদেশে কেবলের রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতের ক্ষমতার সম্প্রসারণ পরীক্ষা করার জন্য একটি গবেষণা পরিচালনা করেছে ভারত । মরিশাসের জন্য ভারতের মহাকাশ-ভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল, যা চরম আবহাওয়ার ঘটনা এবং জলবায়ুর প্রভাব পর্যবেক্ষণ করে, সেটাকে অংশীদার দেশগুলি স্বাগত জানিয়েছে ।
সমষ্টিগত সামুদ্রিক নিরাপত্তা পদ্ধতিতে প্রতিবন্ধকতা
কোয়াডের সদস্যরা এই গোষ্ঠী তৈরির কারণ থেকে বিচ্যূত হচ্ছে ৷ সেই মূল কারণ, যা থেকে তারা বিচ্যূত হয়েছে, তা ছিল নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা । ভৌগোলিক বিষয় সংক্রান্ত অগ্রাধিকার, মার্কিন জোট নেটওয়ার্কের বাইরে ভারতের অবস্থান, অন্যান্য আঞ্চলিক নিরাপত্তা উদ্যোগ ও বিশ্বে চলতে থাকা উত্তেজনা কোয়াডকে একটি বিস্তৃত সামরিক ও প্রতিরক্ষা অ্যাজেন্ডা গ্রহণ করতে বাধা দিচ্ছে ।
ভৌগলিক অগ্রাধিকার ও জোট
কোয়াড দেশগুলোর ভৌগোলিক অগ্রাধিকার ভিন্ন । ভারতের সংঘাত চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ৷ মূলত, ভারত মহাসাগর ও স্থল সীমান্তে এই সংঘাত দেখা যায় ৷ যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের ফোকাস উত্তর-পূর্ব এশিয়া ৷ আর উত্তর-পূর্ব ভারত মহাসাগরকে ভৌগলিকভাবে অগ্রাধিকার দেয় অস্ট্রেলিয়া । রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত থাকা, রাশিয়ার সঙ্গে তেল বাণিজ্য, ইরানের সঙ্গে চাবাহার বন্দর চুক্তির মতো বিষয়ে ভারতের অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিরক্ত করছে । যদিও ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি শক্তিশালী সামরিক জোট এবং দীর্ঘস্থায়ী চুক্তির মিত্র দেশ নয় ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মতো ভারতের প্রতি যত্নবান হওয়া । ভারত মহাসাগরে একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক শক্তি ও একটি প্রধান সামুদ্রিক শক্তি হিসেবে এই গোষ্ঠীতে ভারতের অংশগ্রহণ পারস্পরিক লাভের এবং তা কোয়াডকে শক্তিশালী করছে ।
কোয়াড ও অন্যান্য আঞ্চলিক নিরাপত্তা উদ্যোগ
একটি উদ্বেগ রয়েছে যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা উদ্যোগের উত্থান যেমন স্কোয়াড (মার্কিন-অস্ট্রেলিয়া-জাপান-ফিলিপাইন) এবং এইউকেইউএস (অস্ট্রেলিয়া-যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র) কোয়াডকে ছাড়িয়ে যাবে ৷ এই উদ্যোগগুলি বিদ্যমান ব্যবস্থাগুলির পরিপূরক হতে পারে ৷ তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে ভারতের সঙ্গে কোয়াডের ভূমিকা তার ভৌগলিক অবস্থান ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সামরিক দক্ষতা এবং সম্ভাবনার কারণে অনন্য ও অনবদ্য ।
চ্যাথাম হাউজে এশিয়া-প্যাসিফিক প্রোগ্রামের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো চিতিগ বাজপেয়ী পরামর্শ দেন "একটি নতুন কোয়াড প্লাস কাঠামোর অংশ হিসাবে কোয়াড এবং স্কোয়াডের একত্রীকরণ" ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ফোকাস করতে কোয়াডকে উপকৃত করবে, যখন স্কোয়াড দক্ষিণ চিন সাগরে ফোকাস করবে ৷ এছাড়াও কোয়াডের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করলে ইন্দো-প্যাসিফিকের মতো বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আঞ্চলিক অস্থির নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপরও রাশ টানা যাবে ৷ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক স্টাডিজ সেন্টারের সহযোগী অধ্যাপক রাহুল মিশ্র তাঁর লেখা প্রবন্ধ ইন্টারপ্রেটারে আঞ্চলিক গতিশীলতার উন্নতির জন্য আরও ভালো পদ্ধতির জন্য ফিলিপিন্স ও দক্ষিণ কোরিয়াকে কোয়াডে যুক্ত করার প্রস্তাব করেছেন ।
কোয়াড ও বিশ্বে চলতে থাকা উত্তেজনা
কোয়াড নেতারা দক্ষিণ চিন সাগর এবং পূর্ব চিন সাগরে হুমকিমূলক কৌশল ও আঞ্চলিক বিরোধের সঙ্গে চিন-কেন্দ্রিক আদেশ সম্পর্কে গুরুতর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন । কিন্তু "উইলমিংটন ঘোষণা" দুর্বল ও বিব্রতকর বলে মনে হচ্ছে ৷ কারণ, এখানে চিনের নাম উল্লেখ করা হয়নি ৷ শুধুমাত্র "বিতর্কিত বৈশিষ্ট্যের সামরিকীকরণ সম্পর্কে আমাদের গুরুতর উদ্বেগ" এবং "দক্ষিণ চিন সাগরে ভয় দেখানোর কৌশল"-এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে ।
তার উপর মোদির বক্তব্য "কারও বিরুদ্ধে নয়, আমরা এখানে থাকার জন্য এক হয়েছি" ইঙ্গিত দেয় যে ভারত চিনের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে বদ্ধপরিকর । নেতারা উল্লেখ করেছেন এবং একটা ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন যে কোয়াড একটি যৌথ উদ্যোগ হিসাবে পারস্পরিক সুবিধার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে ৷ তবে এটা চিনের বিরুদ্ধে নয় ৷ এটা নির্দিষ্ট করে যে তাদের মনোযোগ চিনকে ঠেকিয়ে রাখা থেকে অন্যান্য অপরিহার্য ও জ্বলন্ত আন্তর্জাতিক ইস্যুতে স্থানান্তরিত হয়েছে ৷ যার মধ্যে অন্যতম রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যেখানে ইউক্রেন অনড় রাশিয়ার অভ্যন্তরে গভীর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে মার্কিন তৈরি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা নিয়ে এবং প্রতিপক্ষের উপর ক্রমাগত ইসরায়েল আক্রমণ ।
উপসংহার
উইলমিংটন ঘোষণার ফাঁকগুলি সামনে চলে এসেছে এবং ভূ-রাজনীতিতে এর সীমাবদ্ধতাগুলি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ জলবায়ু থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সমস্যাগুলি মোকাবিলা করা, জটিল ও উদীয়মান প্রযুক্তি থেকে উপকৃত হওয়া, উচ্চমানের ডিজিটাল পরিকাঠামো তৈরি করার মতো নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ের বাইরের বিষয়গুলিতে নজর দেওয়ার মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ রয়েছে ৷ এটা স্পষ্ট যে এই গোষ্ঠী নিজেদের অ্যাজেন্ডাকে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল থেকে বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার দিকে স্থানান্তরিত করেছে ।
যাই হোক, কোয়াডের উচিত নিরাপত্তার দিকগুলির উপর বেশি নজর দেওয়া ৷ বিশেষ করে বিস্তীর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক সামুদ্রিক পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ এবং চোকপয়েন্টগুলিতে চিনের ক্রমবর্ধমান যুদ্ধবাদী কার্যকলাপে নিযুক্ত হওয়ার বিষয়গুলির উপর ফোকাস করা উচিত কোয়াডের ৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতে, 2025 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কোয়াডের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক ও একই বছরে ভারতে হতে যাওয়া কোয়াড লিডারস সামিটে চিনের ক্রমবর্ধমান নৌ-শক্তির কারণে তৈরি হওয়া জটিলতা সামলাতে আরও সুরক্ষা ও সামরিক উদ্যোগের দিকে অগ্রসর হওয়া উচিত এই গোষ্ঠীর ।
(এই নিবন্ধে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। এখানে প্রকাশিত তথ্য ও মতামত ইটিভি ভারত-এর মতামতকে প্রতিফলিত করে না।)