ETV Bharat / lifestyle

সম্প্রীতির নজির নানুরে, মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রামে দুর্গাপুজোয় মিশে যায় দুই সম্প্রদায়

স্থানীয় দুই সম্প্রদায়ের মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণে আজও স্বমহিমায় উজ্জ্বল বীরভূমের নানুর ৷ এখানে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন মুসলমানরা ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 3 hours ago

Updated : 50 minutes ago

DURGA PUJA 2024
নানুরের পাপুড়ি গ্রামের পুজো (ইটিভি ভারত)

নানুর, 10 অক্টোবর: গুটি কতক হিন্দু পরিবারের খুশির জন্য দুর্গোৎসবের আয়োজন করে গোটা মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রাম ৷ হাতে হাত লাগিয়ে পুজোর আয়োজন করেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষজন ৷ সম্প্রীতির এই অনন্য নজির নানুরের পাপুড়ি গ্রামে ৷ আজ থেকে 13 বছর আগে কাজল শেখের হাত ধরে এই সর্বজনীন পুজোর সূচনা হয়েছিল ৷ আজ যিনি বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি।

পাপুড়ি গ্রামের বাসিন্দা তথা শিক্ষক নূরুল হক বলেন, "এক সময় দেখতাম পুজো এলেই গ্রামের হিন্দু পরিবারগুলি বাইরে যেত ঠাকুর দেখতে ৷ আমরাও বাইরেই যেতাম। তাই কাজল শেখ গ্রামে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন, যাতে সবাই এখানেই উৎসবে সামিল হতে পারেন ৷ হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে এই সম্প্রীতির পুজোয় মাতেন সকলে ৷ উৎসবের আয়োজনে আমরা-সহ সব মুসলমান ভাইরা হাত লাগান।"

দুর্গাপুজোয় মিশে যায় দুই সম্প্রদায় (ইটিভি ভারত)

পাপুড়ি পুজো কমিটির সম্পাদক পরমেশ্বর ঘোষ বলেন, "এই গ্রামে কয়েকটি হিন্দু বাড়ি, মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রাম ৷ পুজোয় যাতে কারও মন খারাপ না-হয় তাই কাজলকাকু এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। হিন্দু-মুসলমান সবাইকে ডেকে উনি কমিটি গঠন করেছিলেন ৷ গ্রামের সবাই না-থাকলে অল্প সংখ্যক হিন্দুদের পক্ষে দুর্গাপুজো করা সম্ভব ছিল না।"

একদা 'সন্ত্রাসের আঁতুড় ঘর' হিসাবে পরিচিত ছিল বীরভূমের নানুর ৷ বিশেষ করে নানুরের পাপুড়ি গ্রাম মানে বোমা-বারুদের গ্রাম হিসাবে তুলে ধরা হত ৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই তকমা দূর হয়েছে ৷ শান্তির বাতাবরণ রয়েছে ৷ তবে এই পাপুড়ি মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রাম। এখানে 5 শতাংশেরও কম হিন্দু পরিবার রয়েছে ৷ বলতে গেলে হাতে গোনা কয়েকটি হিন্দু বাড়ি ৷ তাই পুজোর সময় এই হিন্দু পরিবারগুলি বাইরে চলে যেতেন। গ্রামটি কার্যত মনমরা হয়ে থাকত ৷ পরে কাজল শেখের উদ্যোগে 13 বছর আগে এই পুজোর সূচনা হয়েছিল ৷

DURGA PUJA 2024
পাপুড়ি গ্রামের দুর্গা প্রতিমা (নিজস্ব ছবি)

বর্তমানে তিনি বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি। পুজোর প্যান্ডেল থেকে লাইট লাগানো, সাজানো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা, সবেতেই হাত লাগান মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষজন ৷ বলতে গেলে তাঁদের আয়োজনেই এই গ্রামে দুর্গাপুজো হয় ৷ এতে রীতিমতো খুশি হিন্দু পরিবারগুলি ৷ আর পুজোর সময় কাউকে অন্য গ্রামে যেতে হয় না, যা সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়েছে।

এ নিয়ে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ বলেন, "এই গ্রামে দুর্গাপুজো হতো না। বেশিরভাগ বাসিন্দাই অন্য গ্রামে পুজো দেখতে যেতেন ৷ পুজোর দিনগুলি গ্রামে বিষণ্ণতা থাকত ৷ তাই আমরা হিন্দু-মুসলমান সবাই মিলে বসে এই পুজো শুরু করেছিলাম, যাতে কারও মন খারাপ না থাকে। পুজোর 4 দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খাওয়া-দাওয়া হয় ৷ হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সকলেই পাত পেরে খান ৷ এটাই আমাদের বাংলা।"

নানুর, 10 অক্টোবর: গুটি কতক হিন্দু পরিবারের খুশির জন্য দুর্গোৎসবের আয়োজন করে গোটা মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রাম ৷ হাতে হাত লাগিয়ে পুজোর আয়োজন করেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষজন ৷ সম্প্রীতির এই অনন্য নজির নানুরের পাপুড়ি গ্রামে ৷ আজ থেকে 13 বছর আগে কাজল শেখের হাত ধরে এই সর্বজনীন পুজোর সূচনা হয়েছিল ৷ আজ যিনি বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি।

পাপুড়ি গ্রামের বাসিন্দা তথা শিক্ষক নূরুল হক বলেন, "এক সময় দেখতাম পুজো এলেই গ্রামের হিন্দু পরিবারগুলি বাইরে যেত ঠাকুর দেখতে ৷ আমরাও বাইরেই যেতাম। তাই কাজল শেখ গ্রামে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন, যাতে সবাই এখানেই উৎসবে সামিল হতে পারেন ৷ হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে এই সম্প্রীতির পুজোয় মাতেন সকলে ৷ উৎসবের আয়োজনে আমরা-সহ সব মুসলমান ভাইরা হাত লাগান।"

দুর্গাপুজোয় মিশে যায় দুই সম্প্রদায় (ইটিভি ভারত)

পাপুড়ি পুজো কমিটির সম্পাদক পরমেশ্বর ঘোষ বলেন, "এই গ্রামে কয়েকটি হিন্দু বাড়ি, মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রাম ৷ পুজোয় যাতে কারও মন খারাপ না-হয় তাই কাজলকাকু এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। হিন্দু-মুসলমান সবাইকে ডেকে উনি কমিটি গঠন করেছিলেন ৷ গ্রামের সবাই না-থাকলে অল্প সংখ্যক হিন্দুদের পক্ষে দুর্গাপুজো করা সম্ভব ছিল না।"

একদা 'সন্ত্রাসের আঁতুড় ঘর' হিসাবে পরিচিত ছিল বীরভূমের নানুর ৷ বিশেষ করে নানুরের পাপুড়ি গ্রাম মানে বোমা-বারুদের গ্রাম হিসাবে তুলে ধরা হত ৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই তকমা দূর হয়েছে ৷ শান্তির বাতাবরণ রয়েছে ৷ তবে এই পাপুড়ি মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রাম। এখানে 5 শতাংশেরও কম হিন্দু পরিবার রয়েছে ৷ বলতে গেলে হাতে গোনা কয়েকটি হিন্দু বাড়ি ৷ তাই পুজোর সময় এই হিন্দু পরিবারগুলি বাইরে চলে যেতেন। গ্রামটি কার্যত মনমরা হয়ে থাকত ৷ পরে কাজল শেখের উদ্যোগে 13 বছর আগে এই পুজোর সূচনা হয়েছিল ৷

DURGA PUJA 2024
পাপুড়ি গ্রামের দুর্গা প্রতিমা (নিজস্ব ছবি)

বর্তমানে তিনি বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি। পুজোর প্যান্ডেল থেকে লাইট লাগানো, সাজানো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা, সবেতেই হাত লাগান মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষজন ৷ বলতে গেলে তাঁদের আয়োজনেই এই গ্রামে দুর্গাপুজো হয় ৷ এতে রীতিমতো খুশি হিন্দু পরিবারগুলি ৷ আর পুজোর সময় কাউকে অন্য গ্রামে যেতে হয় না, যা সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়েছে।

এ নিয়ে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ বলেন, "এই গ্রামে দুর্গাপুজো হতো না। বেশিরভাগ বাসিন্দাই অন্য গ্রামে পুজো দেখতে যেতেন ৷ পুজোর দিনগুলি গ্রামে বিষণ্ণতা থাকত ৷ তাই আমরা হিন্দু-মুসলমান সবাই মিলে বসে এই পুজো শুরু করেছিলাম, যাতে কারও মন খারাপ না থাকে। পুজোর 4 দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খাওয়া-দাওয়া হয় ৷ হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সকলেই পাত পেরে খান ৷ এটাই আমাদের বাংলা।"

Last Updated : 50 minutes ago
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.