কলকাতা: স্বাস্থ্যকর কমিউকেশন হল সেই জোড়ালো সম্পর্ক যে সম্পর্ককে আমরা ভালো রাখার চেষ্টা করি ৷ সেটা কর্মক্ষেত্রে হোক বা বাড়িতে ৷ যোগাযোগ যেকোনও সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ । এইভাবে আমরা আমাদের অংশীদারদের মধ্যে সংযোগ এবং ভালোবাসা খুঁজে পাই ৷ ভালো যোগাযোগের জন্য আস্থা ও সমবেদনার পরিবেশ প্রয়োজন তা সকলেরই জানা ৷
আমরা ভালোভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করি ও মানুষের প্রতি বিশ্বাস গড়ে তুলি ৷ যাতে ভুল বোঝাবুঝি থেকে দূরে সরে থাকা যায় ৷ এছাড়াও সম্পর্কে কোনও সমস্যা সহজভাবে সমাধান করা হয় ৷ তবে কিছু সহজ পদ্ধতিতে আপনার সম্পর্কে সুন্দর করতে পারবেন ৷ দেওয়া রইল কিছু টিপস ৷
কথা ঠিক মতো শোনা: এটির মানে যখন কেউ কথা বলছে তখন সত্যিই মনোযোগ দেওয়া দরকার । এটি কেবল তাদের কথা শোনার চেয়ে বেশি - তাদের অনুভূতি এবং চিন্তাভাবনা বোঝা বেশি গুরুত্বপূর্ণ । তাই কথা বলার সময় মাঝে মাঝে আপনার মাথা নাড়ুন বা ইশারায় বোঝান আপনি সেই ব্যক্তির কথা শুনছেন ৷ এটি অপর ব্যক্তির প্রতি সন্মান দেখানো বোঝাবে ৷ তাতে সেই ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কও ভালো হবে ও একটা ভালো কমিউনিকেশন তৈরি হবে ৷
স্বচ্ছ এবং সৎ অভিব্যক্তি: যখন কেও কোনও কথা বলতে চায় তখন সরাসরি স্পষ্টভাবে উত্তর দেওয়া প্রয়োজন ৷ স্পষ্টভাবে উত্তর আপনার চিন্তাভাবনা ও অনুভূতি প্রকাশ পায় ৷ এই ধরনের স্বচ্ছতা বিভ্রান্তি এড়াতে সাহায্য করে এবং বিশ্বাস তৈরি করে । নিজেকে প্রামাণিকভাবে এবং সম্মানের সঙ্গে প্রকাশ করা গুরুত্বপূর্ণ ৷ যা অন্যদের বুঝতে সাহায্য করে আপনি কেমন মানুষ ৷ এতে সম্পর্ক ভালো থাকে ৷
সহানুভূতি: ভালো সম্পর্ক ও যোগাযোগের জন্য সহানুভূতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । আপনি সহানুভূতিশীল হয়ে, অন্য ব্যক্তির অনুভূতি যাচাই করুন এবং দেখান যে আপনি তাঁদের অভিজ্ঞতার বিষয়ে যত্নশীল । এই পারস্পরিক বোঝাপড়া একটি সহায়ক এবং সম্মানজনক সম্পর্ক তৈরি করে ।
পারস্পরিক শ্রদ্ধা: সম্মান ভালো সম্পর্ক ও কমিউকেশনের একটি মূল উপাদান । এর অর্থ একে অপরের মতামত এবং সময়কে মূল্য দেওয়া ৷ বাধা এড়ানো এবং চিন্তাভাবনা করে মতানৈক্যকে মোকাবিলা করা প্রয়োজন । সম্মানজনক কমিউনিকেশন সম্পর্কে সুন্দর জায়গা তৈরি করে যেখানে প্রত্যেকে শুনতে এবং মূল্যবান বোধ করে থাকেন ।