সোনামুখী, 30 অক্টোবর: জনশ্রুতি আছে, মায়ের কাছে মানত করলেই মেলে চাকরি ৷ এই বিশ্বাসে ভর করেই সোনামুখীতে আজও ধুমধাম করে পূজিত হন সার্ভিস কালী ৷ নাম শুনে অবাক লাগলেও, এর নেপথ্য়েও রয়েছে ইতিহাস ৷
জানা গিয়েছে, আনুমানিক 1940 খ্রিস্টাব্দে সোনামুখী শহরের ধর্মতলায় সারকুড়ের ওপরে কালীপুজো করতেন এলাকার কিছু যুবক ৷ তখন দেবী পরিচিত ছিলেন ষোলআনা কালী নামে ৷ এরপর একসময় বেকার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে ঠাকুরের কাছে মানত যুবকরা করেছিলেন যে, চাকরি পেলে ধুমধাম সহকারে বড় করে দেবীর পুজো করবেন ৷ ভক্তদের বিশ্বাস, মা ওই বেকার যুবকদের যন্ত্রণার কথা শুনেছিলেন ৷ কারণ মানত করার পরের বছরই ওই যুবকরা চাকরি বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হন ৷ তারপর কথা মতো সোনামুখী শহরের ধর্মতলায় ধুমধাম করে কালীপুজো করে আসছেন তাঁরা ৷ তখন থেকেই ঠাকুরের নাম দেওয়া হয় 'সার্ভিস কালী' ৷ তবে ষোলআনা কালীর প্রতিষ্ঠা প্রায় 100 বছর আগে ৷ ষোলআনা সার্ভিস কালীর কথা বললে তা প্রায় 80 বছরের পুরনো ৷
কথিত আছে, মায়ের কাছে মানত করলেই চাকরি পাওয়া যায় । আজও সোনামুখীর মানুষ এই বিশ্বাসে মায়ের আরাধনা করে থাকেন । দীপান্বিতা অমাবস্যায় বিশেষ পুজো ছাড়াও নিত্যদিন মায়ের পুজো হয়ে থাকে ৷ বর্তমানে এই পুজোর দায়িত্ব গ্রাম ষোলআনার অধীনে রয়েছে । নিত্যদিন অসংখ্য ভক্ত এখানে পুজো দিতে আসেন । ভিনরাজ্য থেকেও ভক্তদের ভিড় লেগে থাকে ৷
নমিতা হাজরা নামের এক ভক্ত বলেন, "সার্ভিস কালীর আশীর্বাদে আমার ছেলে সরকারি চাকরি পেয়েছে । আমি চাই আগামী দিনে মায়ের আশীর্বাদে সকলেই চাকরি পাক এবং ভালো থাকুক ।" বাঁকুড়া জেলার কালীক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত সোনামুখী জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় আড়াইশো কালীপুজো হয় ।