শান্তিপুর, 7 নভেম্বর: শেষ লগ্নে পুজোর আনন্দ ৷ মা কালীর বিসর্জনের পর যখন সর্বত্র ভক্তদের মন ভারাক্রান্ত, তখন শান্তিপুরবাসী আবাহন করছেন মা কালীর ৷ পুজো প্রস্তুতি ঘিরে বাজছে আনন্দের সুর ৷
শান্তিপুরের সূত্রগড়ের এই মূর্তির বিশেষত্ব, গা ভর্তি রুপোর গয়নায় সাজেন ডাকাতকালী ৷ সেই গয়নার পরিমাণ এতটাই বেশি যে পরবর্তীতে সেই অনুযায়ী দেবীর নাম দেওয়া হয় রুপোকালী ৷ স্থানীয় থানা থেকে এমন নাম দেওয়া হয়েছিল বলে জানান উদ্যোক্তারা ৷ এবারের পুজো 64 বছরে পদার্পণ করেছে ৷
দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা সামিল হন এই পুজোয় ৷ মা কোনও ভক্তকে খালি হাতে ফেরান না বলেই বিশ্বাস ৷ বহু মানুষ মনোস্কামনার জন্য দেবীর কাছে মানত করে থাকেন ৷ ফল পেলে তাঁরা সামর্থ্য মতো গয়না মাকে দিয়ে থাকেন ৷ তাদের মানত করে দেওয়া রূপোর গয়নাতেই সাজানো হয় মাকে ৷ তবে সেই গয়নার পরিমাণ এতটাই বেশি যে দেবীর নামও সেই মতো বিখ্যাত হয়ে যায় ৷ বর্তমানে দেবী রুপোকালী নামেই পরিচিত ৷ বর্তমানে গয়নার ওজন সেভাবে জানা না গেলেও পুজো উদ্যোক্তারা জানান, চাঁদমালাটির ওজনই প্রায় সাড়ে তিন কেজি ৷
পুজোকে ঘিরে মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয় ৷ প্রথন দিন থেকে মন্দির চত্বরে পাত পড়ে বহু মানুষের ৷ ডেকরেটার্স থেকে আনা হয় প্রায় হাজারখানেক হাঁড়ি ৷ অন্নপ্রসাদের পাশাপাশি মায়ের প্রসাদী ফলও বিতরণ করা হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে ৷ এছাড়াও জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন পোলাও খাওয়ানোর রীতি চলে আসছে ৷ তার পরের দিন জিলিপি বা যে কোনও মিষ্টি বিতরণ করা হয় ৷
আটদিন পুজো চলার পর 12 নভেম্বর মঙ্গলবার শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা বিসর্জন করা হবে ৷ কেজি কেজি গয়নায় সজ্জিত দেবী প্রতিমা দর্শনের জন্য ভিড় উপচে পড়ে শান্তিপুরে ৷