ETV Bharat / lifestyle

পান্তা ভাত-কচু শাক ও পোস্ত বাটা দিয়ে বরণ করে দেবীকে বিদায় জানানোর রীতি

সপ্তমী ছাড়া বাকি তিনদিন ভাত খান না বউরা ৷ এমনই সব রেওয়াজ রয়েছে 200 বছরের পুরনো কান্দির রসোড়ার মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজোয় ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 3 hours ago

Kandi Mukherjee Family Durga Puja
কান্দির রসোড়ার মুখোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গাপ্রতিমা (ইটিভি ভারত)

কান্দি, 7 অক্টোবর: কান্দি পৌরসভার প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম রসোড়া মুখোপাধ্যায় পরিবারের দুর্গা ৷ আজও সপ্তমী-অষ্টমী-নবমীতে পঞ্চব্যঞ্জন, সাতরকম ভাজা ও মাছের ঝোল দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। দশমীর দিন পান্তা ভাত, কচুর শাক, পোস্ত বাটা দিয়ে বরণ করে বিদায় জানানো হয় বাড়ির মেয়েকে । সন্ধিপুজোয় দেবীকে লুচি, মণ্ডা ও অমৃতকল্প সহযোগে নিরামিষ ভোগ নিবেদন করার প্রথা চলে আসছে 200 বছর ধরে ৷

পারিবারিক পুজোয় দেবীর ভোগে মাছের ঝোল দেওয়া হলেও পরিবারের বধূরা সপ্তমী ছাড়া পুজোর বাকি তিনদিন ভাত মুখে দেন না । চারদিন মণ্ডপের সামনে অগ্নিকুন্ডে কাঠ পুড়িয়ে ব্রহ্মাকে সাক্ষী রেখে তান্ত্রিকমতে পুজো করা হয় । নবমীতে পরিবারের কনিষ্ঠ একজনকে দেবীর আসনে বসিয়ে কুমারী রূপে পুজো করা হয় ৷

মুখোপাধ্যায় পরিবার বর্ধমান জেলার ঘোষপাচিকা গ্রামের আদি বাসিন্দা । ভীমচন্দ্র মুখোপাধ্যায় নাটোরের রাজবাড়িতে কাজ নিয়ে গ্রাম ছাড়েন। তাঁর বংশধর রতনেশ্বর মুখোপাধ্যায় নাটোরের পাট চুকিয়ে রসোড়ায় বিয়ে করে সেখানেই প্রতিষ্ঠিত হন । রতনেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর মৃত্যুর পর গ্রামবাসীরা কুলিন ব্রাহ্মণের আবার বিয়ে দেন গ্রামেই । রতনেশ্বর মুখোপাধ্যায় স্বপ্নাদেশ পেয়ে বাড়িতে দেবীদুর্গার পুজো শুরু করেন । বর্তমানে মুখোপাধ্যায় পরিবার চার শরিকে বিভক্ত । পরিবারের সদস্যরা দেশ বিদেশে ছড়িয়ে থাকলেও প্রতিবছর পুজোয় সবাই দালান বাড়িতে মিলিত হন।

একচালার ডাকের সাজের প্রতিমা হয় মুখোপাধ্যায় পরিবারে ৷ আগে বলি প্রথা থাকলেও পরিবারের সদস্যদের আপত্তিতে এখন শুধু চালকুমড়ো বলি দেওয়া হয় । তবে পুজোর উপাচারে কোনও পরিবর্তন হয়নি । পরিবারের বধূরা পুজোর সমস্ত জোগাড় নিজে হাতে করেন । এই বিষয়ে স্বাতী মুখোপাধ্যায় বলেন, "আগে বাবুর্চি দিয়ে রান্না হত । এখন পুজো সামলে আমরাই সমস্ত রান্না করি । পুজো চারদিন এতো আনন্দ হয় যে শারীরিক পরিশ্রম বুঝতেই পারি না ৷"

পরিবারের খুদে সদস্য মিঠি, সিয়োনা, সুভদ্রারা জানায়, পুজোর আয়োজনে তাদের ডাক না পড়লেও দেবী দুর্গার 108 পদ্মের মালাগাঁথার দায়িত্ব তাদেরই হেফাজতে রয়েছে । বিসর্জনের বিষয়ে প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, আগে বাইচ করে বিসর্জন করা হত । এখন লোকের অভাবে গাড়িতে গ্রাম পরিক্রমা করে নিজেদের পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় ।

কান্দি, 7 অক্টোবর: কান্দি পৌরসভার প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম রসোড়া মুখোপাধ্যায় পরিবারের দুর্গা ৷ আজও সপ্তমী-অষ্টমী-নবমীতে পঞ্চব্যঞ্জন, সাতরকম ভাজা ও মাছের ঝোল দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। দশমীর দিন পান্তা ভাত, কচুর শাক, পোস্ত বাটা দিয়ে বরণ করে বিদায় জানানো হয় বাড়ির মেয়েকে । সন্ধিপুজোয় দেবীকে লুচি, মণ্ডা ও অমৃতকল্প সহযোগে নিরামিষ ভোগ নিবেদন করার প্রথা চলে আসছে 200 বছর ধরে ৷

পারিবারিক পুজোয় দেবীর ভোগে মাছের ঝোল দেওয়া হলেও পরিবারের বধূরা সপ্তমী ছাড়া পুজোর বাকি তিনদিন ভাত মুখে দেন না । চারদিন মণ্ডপের সামনে অগ্নিকুন্ডে কাঠ পুড়িয়ে ব্রহ্মাকে সাক্ষী রেখে তান্ত্রিকমতে পুজো করা হয় । নবমীতে পরিবারের কনিষ্ঠ একজনকে দেবীর আসনে বসিয়ে কুমারী রূপে পুজো করা হয় ৷

মুখোপাধ্যায় পরিবার বর্ধমান জেলার ঘোষপাচিকা গ্রামের আদি বাসিন্দা । ভীমচন্দ্র মুখোপাধ্যায় নাটোরের রাজবাড়িতে কাজ নিয়ে গ্রাম ছাড়েন। তাঁর বংশধর রতনেশ্বর মুখোপাধ্যায় নাটোরের পাট চুকিয়ে রসোড়ায় বিয়ে করে সেখানেই প্রতিষ্ঠিত হন । রতনেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর মৃত্যুর পর গ্রামবাসীরা কুলিন ব্রাহ্মণের আবার বিয়ে দেন গ্রামেই । রতনেশ্বর মুখোপাধ্যায় স্বপ্নাদেশ পেয়ে বাড়িতে দেবীদুর্গার পুজো শুরু করেন । বর্তমানে মুখোপাধ্যায় পরিবার চার শরিকে বিভক্ত । পরিবারের সদস্যরা দেশ বিদেশে ছড়িয়ে থাকলেও প্রতিবছর পুজোয় সবাই দালান বাড়িতে মিলিত হন।

একচালার ডাকের সাজের প্রতিমা হয় মুখোপাধ্যায় পরিবারে ৷ আগে বলি প্রথা থাকলেও পরিবারের সদস্যদের আপত্তিতে এখন শুধু চালকুমড়ো বলি দেওয়া হয় । তবে পুজোর উপাচারে কোনও পরিবর্তন হয়নি । পরিবারের বধূরা পুজোর সমস্ত জোগাড় নিজে হাতে করেন । এই বিষয়ে স্বাতী মুখোপাধ্যায় বলেন, "আগে বাবুর্চি দিয়ে রান্না হত । এখন পুজো সামলে আমরাই সমস্ত রান্না করি । পুজো চারদিন এতো আনন্দ হয় যে শারীরিক পরিশ্রম বুঝতেই পারি না ৷"

পরিবারের খুদে সদস্য মিঠি, সিয়োনা, সুভদ্রারা জানায়, পুজোর আয়োজনে তাদের ডাক না পড়লেও দেবী দুর্গার 108 পদ্মের মালাগাঁথার দায়িত্ব তাদেরই হেফাজতে রয়েছে । বিসর্জনের বিষয়ে প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, আগে বাইচ করে বিসর্জন করা হত । এখন লোকের অভাবে গাড়িতে গ্রাম পরিক্রমা করে নিজেদের পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.