কলকাতা, 15 অক্টোবর: শেষ হইয়াও হইল না শেষ । ঠাকুরপুকুর এসবি পার্কের পুজোয় এসে এবার দর্শনার্থীরা ফিরে পেয়েছিলেন তাঁদের শৈশব । মা এখানে এসেছিলেন রথে চেপে । তবে তিনি যাচ্ছেন না ধরা ধাম ছেড়ে । কলকাতার বুকেই সংরক্ষিত থাকবে ‘শৈশবের দুগ্গা’। বেহালার ‘চাঁদের হাট’ শিল্পক্ষেত্রে সংরক্ষিত থাকবে ঠাকুরপুকুর এসবি পার্কের প্রতিমা । আর তাতে বেজায় খুশি পুজোর উদ্যোক্তারা ।
এবার প্যাস্টেল রঙে সেজে উঠেছিল ঠাকুরপুকুর এসবি পার্কের পুজো মণ্ডপ । প্রতিমাও তৈরি হয়েছিল প্যাস্টেল রঙের আঁকিবুঁকিতে । মণ্ডপ জুড়ে ছিল কচিকাঁচার হাতে আঁকা ঘর-বাড়ি, হাঁস, গাছ, লতাপাতা, নদী । কোথাও বা ঝুলছে মাকড়সা কোথাও আবার বাঁদর । প্রবেশদ্বারে রয়েছে স্কুল ভ্যান । এভাবেই ফেলে আসা শৈশবকে ফিরে পান দর্শনার্থীরা ।
পুজোর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকেও গলা দিয়েছে কচিকাঁচার দল । মণ্ডপের ছবিগুলি এঁকেছেন প্রতিষ্ঠিত শিল্পীরা । তবে সেই ছবি আঁকতে গিয়ে তাঁরাও ফিরে গিয়েছিলেন নিজেদের শৈশবে । এক দর্শনার্থী ইটিভি ভারতকে বলেন, "যখন নিজেরা ভালো করে আঁকতে শিখিনি, তখন এরকম আঁকতাম আমরা । আমাদের সময়ের আঁকার প্রতিযোগিতার কথা মনে পড়ে গেল ।"
বেহালার ‘চাঁদের হাট’ শিল্পক্ষেত্রে সংরক্ষিত থাকবে ঠাকুরপুকুর এসবি পার্কের প্রতিমা । উদ্যোক্তা সঞ্জয় মজুমদার ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে বলেন, "আগে প্রতিমা কার্নিভালে যাবে । এরপর প্রতিমা বিসর্জন না-হয়ে ফিরে আসবে 'চাঁদের হাট'-এ । 'চাঁদের হাট' আমাদের প্রস্তাব দেয় । আমরা সেই প্রস্তাব গ্রহণ করি । আমরা খুব খুশি এবং সম্মানিত । মানুষকে খুশি করতে পেরেও আমরা খুবই তৃপ্ত হয়েছি ।"