ছোট পর্দায় কাজ করছেন বহুদিন । বড় প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গেও কাজ করেছেন একাধিক ধারাবাহিককে । মূলত নেগেটিভ চরিত্রেই দর্শক দেখেছেন তাঁকে । সকলের চেনা সিড়িয়াল অভিনেত্রী নিজের যত্ন কীভাবে করেন ? ত্বককে সুন্দর রাখতে কী করেন জানেন কি ? জানালেন অভিনেত্রী নিশান্তিকা দাস ৷
অন ক্যামেরা কাজে মেকআপ করার ফলে ত্বকের কীভাবে যত্নে রাখেন ?
অভিনেত্রী নিশান্তিকা বলেন, "অন ক্যামেরা কাজ করতে গেলে ইনডোর-আউটডোর কাজ করতে হয় ৷ এত লাইটও থাকে ৷ এটা বহুদিন ধরে চলতে থাকলে ত্বকে সমস্যা হতে পারে ৷ ফলে স্কিনে ট্যান পড়ে যায়, শুষ্ক হয়ে যায় ৷ আমি যেটা করি রোজ প্রচুর পরিমাণে জল খাই ৷ এছাড়াও এমন খাবার খাই যেটা আমাকে হাইড্রেটেট রাখতে সাহায্য় করবে ৷ সবসময় মশ্চরাইজার ব্যবহার করি ৷"
এছাড়াও বলেন, "সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল সানস্ক্রিন ব্যবহার ৷ অনেকসময় ইনডোর স্যুট হলে আমরা সানস্ক্রিন ব্যবহার করি না ৷ এটা সবথেকে বড় ভুল ৷ যারফলে ত্বকে ইরিটেশন শুরু হয় ও শুষ্ক দেখাতে শুরু করে ৷ তাই সবসময় চেষ্টা করা হয় ত্বককে হাইড্রেট রাখার ৷"
ভারী মেকআপ ত্বকের জন্য ক্ষতিকর ! কীভাবে পরিচর্যা করা হয় ?
নিশান্তিকা বলেন, "ভারী মেকআপে যেহেতু বহু সময় ধরে থাকতে হয় ফলে ত্বকে যে কোশগুলি থাকে সেগুলি অক্সিজেন নিতে পারে না ৷ যখন আমার দরকার নেই বা কাজ নেই তখন আমি মেকআপ করি না ৷ প্রথমে আমি বুঝতাম না ৷ পরে বুঝলাম দরকার না থাকলে মুখে কিছু ব্যবহার ভালো করা ভালো নয় ৷ শুধু মশ্চরাইজার লিপবাম এইটুকুই ৷ কারণ বেশি মেকআপে থাকলে ত্বকে সমস্যা হয় অনেকসময় স্পটও হয়ে যায় ৷ ওইকারণে একটু গ্যাপ দিয়ে করার চেষ্টা করি যাতে ত্বক ঠিক থাকে ৷"
অন ক্যামেরা কাজে লংটাইম মেকআপ রেখে দেওয়াটা সাধারণ, বেশিক্ষণ মেকআপ রাখার পর কী করেন ?
অভিনেত্রী জানান, 10 ঘণ্টা ধরে মুখে মেকআপ থাকলে যখন তোলা হয় দেখা যায় ত্বকে ডালনেশ হয়ে গিয়েছে ৷ মনে হয় ত্বকের মধ্যে প্রাণ নেই ৷ যারফলে চোখ বসে যায় ৷ কারণ যখন ত্বকে একটা লেয়ার থেকে যায় ত্বকের কোশ অক্সিজেন নিতে পারে না ৷ তাই ত্বকে আমি সপ্তাহে একবার স্টিম নি ৷ এতে হোয়াইট হেডস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য় করে ৷ তাই ত্বক যত পরিষ্কার রাখা যায় ততই ভালো ৷ এতে ত্বক অক্সিজেন নিতে সাহায্য় করবে ৷
"সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ঘুম ৷ 7 থেকে 8 ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন ৷ এছাড়াও রাত্রিতে টোনার ব্যবহার করা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ৷ যেটা অনেকে মিশ করে যায় ৷ আন্ডার আই জেল ব্যবহার করাও ভালো ৷ এগুলি ছাড়াও ভীতরের শরীর ঠিক না থাকলে বাইরে থেকে আমাদের ভালো লাগবে না ৷ তাই আমি প্রতিদিন ভীষণ পরিমাণে সবজি খাই ৷ যা ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো ৷ সেটা এমন নয় যে আলাদা করে রান্না করা ৷ আমি কুমড়ো, লাউ, পেঁপে প্রতিদিন খাওয়ার চেষ্টা করি ৷ এতে স্টমাক বেশি পরিষ্কার থাকবে ৷ স্টমাক পরিষ্কার থাকলে পেটও পরিষ্কার থাকবে ৷ রোজ এটি খাওয়ার ফলে একমাসের মধ্যে একটা পরিবর্তন এসেছে ৷ এটি খেতে সুস্বাদু না হলেও যদি কেউ প্রতিদিন খেতে পারে ফলাফল পাবে ৷ তারজন্য ঝক্কি কিছু নেই সেদ্ধ করে খেলেই অনেক কাজে দেবে ৷"
এছাড়াও, শীতকালে সবজি যেমন-ব্রকলি, সিম এগুলি সেদ্ধ করে খাওয়া যেতে পারে ৷ স্বাদযুক্ত করার জন্য অল্প মাখনও খাওয়া যায় ৷ যা ত্বকের জন্য উপকারী ৷
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের কীভাবে যত্ন নেন ?
এরজন্য তিনি বলেন, "বাড়িতেই আমি ঘরোয়া জিনিস বেশি পছন্দ করি ৷ মুসুরি ডাল, কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে দুটি একসঙ্গে গুড়ো করে তাতে দই ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করি ৷ এটি স্নান করার আগে 20 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলি ৷ যেহেতু শীতকাল তাই চালের গুড়ো এড়িয়ে যাওয়া ভালো ৷ গ্রীষ্মকালে চালের গুড়ো মেশানো যেতে পারে ৷ এতে ত্বক ভালো থাকে ৷"