ইসলামাবাদ, 10 ফেব্রুয়ারি: সরকার কে গড়বে, তা এখনও পরিষ্কার নয় ৷ শনিবার সকালে পাকিস্তানে ভোটগণনা প্রায় শেষের পথে ৷ এদিকে এগিয়ে রয়েছেন কারাবন্দি ইমরান খান ৷ প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পাকিস্তান-তেহরিক-ইনসাফ সমর্থিত নিরপেক্ষ প্রার্থীরা এখনও পর্যন্ত 90 টিরও বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন ৷ ইমরানের পিটিআই-এর থেকে অনেকটাই পিছিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পিএমএলএন ৷
8 ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সাধারণ নির্বাচন হয় পাকিস্তানে ৷ ভোট শেষ হওয়ার পরপরই গণনা শুরু হয় ৷ আশা করা গিয়েছিল, শুক্রবার বিকেলে অন্তত বোঝা যাবে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির 250টি আসনে কোন দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল ৷ আর কে-ই বা সরকার গড়বে ৷ তবে এখনও তা ঠিক স্পষ্ট নয় ৷
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির 250টি আসনের ভোটগণনা সম্পূর্ণ হয়েছে ৷ আর তাতে 99 জন নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছে ৷ এদিকে এই দলের বেশির ভাগ প্রার্থীকেই সমর্থন করেছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফ ৷ তিনি জেলে থেকেও এই ভোট পরিচালনা করেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ দলের একাংশ ৷ এরপর 71টি আসনে জয়ী হয়েছে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ বা পিএমএলএন ৷ আর তারপরে রয়েছে দেশের তরুণ রাজনৈতিক নেতা বিলওয়াল জারদারি ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপি ৷ তাঁর দল 53টি আসনে জয়ী হয়েছে ৷
এদিকে নির্দল প্রার্থীরা জেলে থাকা ইমরান খানের দলের সমর্থন পেলেও তাঁরা যে কোনও দলে যোগ দিতে পারেন ৷ আর এখানেই লুকিয়ে রয়েছে পাকিস্তানে সরকার গড়ার মূল চাবিকাঠি ৷ নির্দল প্রার্থীরা সরকার গড়ায় অংশ নিলেও সেই সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে ৷ অন্যদিকে শুক্রবার বিকেলেই পিএমএল-এনের প্রধান নওয়াজ শরিফ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি জোট সরকার গড়তে চান ৷ এর জন্য বেশ কয়েকদিন সময় লেগে যেতে পারে ৷ তাঁর ভাই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ অন্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন ৷
নওয়াজ শরিফের এই সরকার গড়ার বিশ্বাসে জোর ধাক্কা দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন ইমরান খান ৷ তবে এখানেও ওই নির্দল প্রার্থীরা কোন দিকে যাবেন, তার উপরেই সরকার গড়ার বিষয়টি নির্ভর করছে ৷ তবে শরিফ বিরোধী কোনও ছোটখাটো দলকেই সঙ্গী চায় পিটিআই ৷ তার ফলে এই ছোট দলটিও একটি বড় প্ল্যাটফর্ম পাবে ৷
আরও পড়ুন: