ETV Bharat / international

বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন - VIJAY DIWAS

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রতি বছর দুই দেশে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৷

VIJAY DIWAS
বিজয় দিবস উদজ্জাপনে ভারতীয় সেনার অস্ত্রের প্রদর্শনী (এএনআই)
author img

By PTI

Published : 3 hours ago

Updated : 2 hours ago

নয়াদিল্লি, 16 ডিসেম্বর: আজ বিজয় দিবস ৷ 1971 সালের আজকের দিনই পাকিস্তানি সেনাকে হারিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের পরিবর্তে জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশের ৷ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রতি বছর দুই দেশে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৷ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতে আসেন বাংলাদেশ সেনার 8 জন আধিকারিক ৷

অন্যদিকে, ঢাকায় পৌঁছন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী 8 ভারতীয় সেনা ৷ বাংলাদেশ প্রশাসন ও ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, ঢাকা ও কলকাতায় অনুষ্ঠিত বিশেষ এই অনুষ্ঠানে যোগদানকারী উভয় দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন দু'জন সেনাকর্তা ৷

এদিকে, বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৷ তিনি লেখেন, "1971 সালের যুদ্ধে যাঁরা অদম্য সাহসিকতার সঙ্গে ভারতের জন্য় জয় নিশ্চিত করেন, তাঁদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই ৷"

শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তিনি লেখেন, "1971 সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে বীর সৈনিকদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই ৷"

এক্স হ্যান্ডলে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও ৷

দীর্ঘ লড়াই, রক্তক্ষরণ, অত্যাচারের পর 16 ডিসেম্বর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় পেয়েছিল বাংলাদেশ ৷ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের সেই মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করেছিল ভারতীয় সেনা জওয়ানরা ৷ সেই দিনের ইতিহাসের স্মরণে এবং শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতি বছর এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ড ৷ কলকাতা ফোর্ট উইলিয়ামে কমান্ডের প্রধান কার্যালয়ে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৷ একই রকমভাবে বিশেষ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ৷

অবশ্য, এই বছর দুই দেশের প্রতিনিধি দল অনুষ্ঠানে যোগ দেবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে ৷ গত 5 অগস্ট গণঅভ্যুথানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে ৷ ঢাকা থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ নেত্রী ৷ 8 অগস্ট বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস ৷ এরপর সেদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠতে থাকে ৷

সেই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয় ৷ সম্প্রতি এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য একদিনের ঢাকা সফরে যান ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি ৷ সেই বৈঠকের পর সোমবার বিজয় দিবস উদজ্জাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন দুই দেশের প্রতিনিধি দল ৷ এই প্রসঙ্গে ঢাকার এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, "মুক্তি যোদ্ধাদের এই সফর বিনিময় দুই দেশের সম্পর্কে আরও উন্নতি ঘটাবে বলে আশা করা হচ্ছে ৷ 1971 সালে দুই দেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, উভয় পক্ষের প্রতিনিধি দলের সফর তারই প্রমাণ ৷"

পড়ুন: ওপার বাংলায় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ, এপারে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ

নয়াদিল্লি, 16 ডিসেম্বর: আজ বিজয় দিবস ৷ 1971 সালের আজকের দিনই পাকিস্তানি সেনাকে হারিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের পরিবর্তে জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশের ৷ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রতি বছর দুই দেশে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৷ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতে আসেন বাংলাদেশ সেনার 8 জন আধিকারিক ৷

অন্যদিকে, ঢাকায় পৌঁছন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী 8 ভারতীয় সেনা ৷ বাংলাদেশ প্রশাসন ও ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, ঢাকা ও কলকাতায় অনুষ্ঠিত বিশেষ এই অনুষ্ঠানে যোগদানকারী উভয় দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন দু'জন সেনাকর্তা ৷

এদিকে, বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৷ তিনি লেখেন, "1971 সালের যুদ্ধে যাঁরা অদম্য সাহসিকতার সঙ্গে ভারতের জন্য় জয় নিশ্চিত করেন, তাঁদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই ৷"

শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তিনি লেখেন, "1971 সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে বীর সৈনিকদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই ৷"

এক্স হ্যান্ডলে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও ৷

দীর্ঘ লড়াই, রক্তক্ষরণ, অত্যাচারের পর 16 ডিসেম্বর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় পেয়েছিল বাংলাদেশ ৷ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের সেই মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করেছিল ভারতীয় সেনা জওয়ানরা ৷ সেই দিনের ইতিহাসের স্মরণে এবং শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতি বছর এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ড ৷ কলকাতা ফোর্ট উইলিয়ামে কমান্ডের প্রধান কার্যালয়ে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৷ একই রকমভাবে বিশেষ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ৷

অবশ্য, এই বছর দুই দেশের প্রতিনিধি দল অনুষ্ঠানে যোগ দেবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে ৷ গত 5 অগস্ট গণঅভ্যুথানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে ৷ ঢাকা থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ নেত্রী ৷ 8 অগস্ট বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস ৷ এরপর সেদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠতে থাকে ৷

সেই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয় ৷ সম্প্রতি এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য একদিনের ঢাকা সফরে যান ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি ৷ সেই বৈঠকের পর সোমবার বিজয় দিবস উদজ্জাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন দুই দেশের প্রতিনিধি দল ৷ এই প্রসঙ্গে ঢাকার এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, "মুক্তি যোদ্ধাদের এই সফর বিনিময় দুই দেশের সম্পর্কে আরও উন্নতি ঘটাবে বলে আশা করা হচ্ছে ৷ 1971 সালে দুই দেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, উভয় পক্ষের প্রতিনিধি দলের সফর তারই প্রমাণ ৷"

পড়ুন: ওপার বাংলায় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ, এপারে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ
Last Updated : 2 hours ago
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.