সিওল, 30 মার্চ: দেশের জনসংখ্য়া বাড়াতে একটি উচ্চ গতি সম্পন্ন ট্রেন চালু করল দক্ষিণ কোরিয়া ! রাজধানী সিওল এবং তার আশেপাশের এলাকায় চলবে এই বিশেষ 'গ্রেট এক্সপ্রেস' ৷ জনগণকে সন্তানধারণে উৎসাহী করে তুলতেই অভিনব এই পদক্ষেপ নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ! উল্লেখ্য়, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী 2023 সালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রজনন হারে উদ্বেগজনক হ্রাস পেয়েছে । 2022 সালের তুলনায় জন্মের হার কমেছে প্রায় 8 শতাংশ। এই ঘটনা থেকেই শিক্ষা নিয়ে নতুন ট্রেন চালু হল। তবে এই দুটির মধ্যে সম্পর্ক কী ?
স্থানীয় একটি প্রতিবেদন অনুসারে, শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ইউন সুক ইওল জিটিএক্সের প্রথম লাইনের একটি অংশের উদ্বোধন করেন ৷ রাজধানীর সুসে এলাকা থেকে স্যাটেলাইট শহর ডংটান পর্যন্ত চলবে ট্রেন ৷ যার ফলে মাত্র 19 মিনিটে পৌঁছে যাওয়া যাবে 80 মিনিটের রাস্তা ৷ এতদিন ধরে সেটাই তো চাইছিল ইওলের সরকার ৷ রাষ্ট্রপতির মতে, প্রতিটি মানুষের পারিবারিক সময় এবং কর্ম-জীবনের মধ্য়ে ভারসাম্য রাখা অতি প্রয়োজন ৷ কিন্তু দূরত্বের কারণে শহরের এক স্থান থেকে আর এক স্থানে যাতায়াতের ক্ষেত্রে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা সময় লাগে সাধারণ মানুষের ৷ যাতায়াতের সেই সময় কমিয়ে আনতেই নেওয়া হল উদ্যোগ।
যাতায়াতের সময় এত দীর্ঘ হওয়ায় পরিবারের সঙ্গে কাটানোর মতো সময় পাচ্ছেন না অনেকে ৷ বিষয়টিকে মাথায় রেখে সম্প্রতি বৃহত্তর সিওল এলাকায় বসবাসকারীদের জন্য যাতায়াতের সময় 30 মিনিটের পরিসরে কমিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এবার সেই প্রতিশ্রুতি মতই জিটিএক্স চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইওল সরকার ৷ শুধু সময় নয় সন্তানধারণের ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়াবাসীর অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থও ৷ তবে জিটিএক্স চালু হওয়ায় সেই চিন্তাও কমে যাবে দেশবাসীর বলে দাবি সরকারের ৷
বিশেষজ্ঞদের মতে, জন্মহার এমন থাকলে এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ দক্ষিণ কোরিয়ার 51 মিলিয়ন জনসংখ্যা অর্ধেক হয়ে যেতে পারে । তথ্যানুসারে, দক্ষিণ কোরিয়ার গড় মহিলা এখন তার সারাজীবনে মাত্র 0.72 টি সন্তানের জন্ম দেয় 2022 সালে যা ছিল 0.78 শতাংশ । দ্রুত এই সমস্য়ার সমাধান না করা হলে 2024 সালের মধ্যে আরও 0.68 শতাংশে নেমে যেতে পারে প্রজনন হার ৷ জন্মের এই তীব্র হ্রাস দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং নীতিগত বিষয়ে যথেষ্ট খারাপ প্রভাব ফেলবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের ৷
আরও পড়ুন: