নয়াদিল্লি, 4 জুলাই: দু'দিনের রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ দু'দেশের মধ্যে দীর্ঘ দু'দশক ধরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হচ্ছে ৷ সেই বৈঠকে অংশ নিতে সোমবার রাশিয়া যাবেন মোদি৷ আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মোদির সফর সুবিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ৷ গত বেশ কয়েক দশক ধরে ভারত-রাশিয়ার বন্ধুত্ব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে চর্চার অন্যতম প্রধান বিষয় ৷ রাশিয়া সফর শেষে অস্ট্রিয়া যাবেন প্রধানমন্ত্রী । গত 41 বছরে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সে দেশের মাটিতে পা রাখেননি।
সাম্প্রতিককালেও ভারত এবং রাশিয়া একাধিকবার কাছাকাছি এসেছে ৷ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার পর বিশ্বনেতারা মোদিকে অভিনন্দন জানান ৷ সেই তালিকার একেবারের শুরুর দিকে ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৷ তাছাড়া হাথরসের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাতেও শোকবার্তা পাঠান রুশ-প্রধান ।
রাশিয়া-ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে এখনও । প্রায়শই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে । কিন্তু এখনও যুদ্ধের ভয় কাটেনি। কাটেনি ওয়ার জোনে থাকা ভারতীয়দের নিয়ে চিন্তাও। এরই মধ্যে কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বার্ষিক সম্মেলনে দু'দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয় বুধবার ৷ সেই বৈঠকে ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর । রুশ বিদেশমন্ত্রী সার্জে লাভরভের সঙ্গে বৈঠকের অভিজ্ঞতা সোশাল মিডিয়ায় ভাগ করেনিয়েছেন জয়শঙ্কর।
সবমিলিয়ে পাঁচ বছরের ব্যবধানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে চলেছেন ৷ দু'দেশের প্রধানের মধ্যে হওয়া এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক 2000 সালে শুরু হয়েছিল। 2023 সালের 24 ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিম বিশ্ব মস্কোকে ‘প্যারিয়া স্টেট’ হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করছে । আর সেই পরিস্থিতির মধ্যেই ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে এই বৈঠক হতে চলেছে ৷ ভারত অবশ্য রাশিয়ার সঙ্গে এর মধ্যে ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছে ৷ জুলাই মাসে মোদির রাশিয়া সফরের সময় শুধু তেল আমদানি (যা ইউরোপে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই আরও বেশি হয়েছে)-সহ অর্থনৈতিক সমস্যাই নয়, বরং কৌশলগত বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা হবে, যা বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে ।