জেরুজালেম, 26 ফেব্রুয়ারি: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ ও ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ক্রমাগত হিংসার জের ৷ প্যালেস্তাইনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মহম্মদ শাতায়েহ ৷ তিনি ইতিম্যধ্যে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ৷ স্থানীয় সময় সোমবার মহম্মদ শাতায়েহ তাঁর পদত্যাগ সম্পর্কে বলেছেন, "ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ক্রমবর্ধমান হিংসা এবং গাজা স্ট্রিপে যুদ্ধের কারণে আমার সরকার ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে ।" তাঁর এই পদক্ষেপ প্যালেস্তাইনের সংস্কারের ক্ষেত্রে মার্কিন সাহায্যের দরজা খুলে দেবে বলে মত মহম্মদ শাতায়েহর ।
যদিও প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তিনি মহম্মদ শাতায়েহ এবং তাঁর সরকারের ইস্তফা গ্রহণ করবেন কি না । তবে এই পদক্ষেপে আখেরে প্যালেস্তাইনের লাভ হবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ এথান থেকেই প্যালেস্তাইন প্রশাসন দেশকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের সূচনা করতে পারে বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল।
যুদ্ধ শেষ হলে গাজা শাসনের জন্য নতুন কর্তৃপক্ষকে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র । কিন্তু সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে অনেক বাধাই রয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ শাতায়েহ মন্ত্রিসভা বৈঠকে বলেছেন, "যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ের চ্যালেঞ্জগুলির সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য গাজায় নতুন সরকার এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রয়োজন। তাহলে গাজাকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো যাবে ।" প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস প্যালেস্টাইন ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের চেয়ারম্যান মহম্মদ মুস্তফাকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে ।
উল্লেখ্য, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয় 2023 সালে ৷ 7 অক্টোবর ইজরায়েলের উপর হামলা চালায় হামাস ৷ এই আক্রমণে ইজরায়েলের প্রায় 1 হাজার 200 জনের মৃত্যু হয় ৷ তার মধ্যে 790 জন সাধারণ নাগরিক ছিলেন ৷ সেসময় হামাস 253 জন ইজরায়েলিদের বন্দি করেছিল ৷ তার মধ্যে কিছুজনকে পরে মুক্তি দেয় হামাস ৷ পরবর্তীতে ইজরায়েল হামলা চালায় গাজায় ৷ ইতিমধ্যে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল, ইজরায়েলি আগ্রাসনে প্যালেস্তাইনিদের মৃতের সংখ্যা বেড়ে 23 হাজার 357 হয়েছে এবং গাজার 2.3 মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় 1.9 মিলিয়ন বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৷ কারণ ইজরায়েলি বোমাবর্ষণের ফলে একাধিক এলাকা ধ্বংসসস্তুপে পরিণত হয়েছে ৷
আরও পড়ুন:
যুদ্ধের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন ! 24 ঘণ্টায় গাজায় 166 জনকে হত্যা করেছে ইজরায়েল
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রধান শিকার নারী ও শিশুরা, প্রাণ গিয়েছে 16 হাজারের; দাবি রাষ্ট্রসংঘের