ETV Bharat / international

নতুন সরকার গঠনের পথ প্রশস্ত করতে প্রচণ্ডকে পদত্যাগের আবেদন নেপালি কংগ্রেসের - Nepali Congress - NEPALI CONGRESS

Nepal Political Crisis: নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কুমার দহল বা প্রচণ্ড-কে পদত্যাগের বার্তা দিল নেপালি কংগ্রেস ৷ ওই দেশে যে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা কাটাতে এবং নতুন সরকারের গঠনের পথ তৈরি করে দিতেই প্রচণ্ডর পদত্যাগ করা উচিত বলে মত নেপালি কংগ্রেসের ৷

PM Pushpa Kamal Dahal
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কুমার দহল বা প্রচণ্ড (ফাইল চিত্র)
author img

By PTI

Published : Jul 3, 2024, 6:23 PM IST

কাঠমাণ্ডু, 3 জুলাই: নেপালের রাজনৈতিক সংকট অব্যাহত ৷ এই পরিস্থিতিতে সংকট কাটাতে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য পুষ্প কুমার দহল বা প্রচণ্ড-র কাছে আবেদন করল নেপালি কংগ্রেস ৷ তাদের বক্তব্য, নতুন সরকার গঠনের পথ প্রশস্ত করার জন্য প্রচণ্ডর প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করা উচিত ৷

নেপালি কংগ্রেসের মুখপাত্র ড. প্রকাশ শরণ মাহাত জানান, নেপালি কংগ্রেস ও সিপিএন-ইউএমএল এর জোট সরকার তৈরির সব প্রস্তুতি শেষ ৷ অন্য দলগুলিও এই জোটকে সমর্থনে তৈরি ৷ তাই নতুন সরকার যাতে তৈরি হতে পারে, সেই কারণে সরে দাঁড়ানো উচিত প্রচণ্ডর ৷

শুধু নেপালি কংগ্রেসই নয়, প্রচণ্ডকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সিপিএন-ইউএমএল-ও ৷ তাদের মন্ত্রীরা এখনও পদত্যাগ করেনি ৷ ওই দলের নেতা প্রদীপ গয়ালি জানিয়েছেন যে বুধবারের মধ্যে প্রচণ্ড সরে না দাঁড়ালে ইউএমএল-এর মন্ত্রীরা পদত্যাগ করবেন ৷

উল্লেখ্য, প্রচণ্ডর দল সিপিএন-মাওইস্ট সেন্টার এতদিন সিপিএন-ইউএমএল এর সমর্থনে সরকার চালাচ্ছিল ৷ সম্প্রতি সিপিএন-ইউএমএল সমর্থন প্রত্যাহার করে ৷ বরং সোমবার মধ্য়রাতে সিপিএন-ইউএমএল এর সঙ্গে নেপালি কংগ্রেসের জোট সমঝোতা চূড়ান্ত হয় ৷ নেপালির কংগ্রেসের সভাপতি শের বাহাদুর দেউবা ও সিপিএন-ইউএমএল এর চেয়ারম্যান কেপি শর্মা ওলির মধ্যে বৈঠকেই চূড়ান্ত হয় পুরো বিষয়টি ৷

কিন্তু তাদের সরকার গঠন আটকে প্রচণ্ডর জন্য ৷ কারণ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরতে নারাজ প্রচণ্ড ৷ তিনি চাইছেন আস্থাভোটের মুখোমুখি হতে ৷ সেটার জন্য তিনি নেপালের সংবিধান অনুযায়ী সময় পাবেন আরও তিরিশ দিন ৷ অনেকে মনে করেন, এই তিরিশ দিন বদলাতে পারে অনেক অঙ্ক ৷ আর সেই কারণেই সম্ভবত নেপালি কংগ্রেস চাইছে যাতে প্রচণ্ড পদত্যাগ করেন ৷

প্রচণ্ড এই আবেদনের সাড়া দেবেন কি না, সেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি এখনও ৷ তবে সরকার গঠনের তোড়জোড় নেপালি কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে তাদের ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠক করতে চলেছে বলে জানিয়েছেন নেপালি কংগ্রেসের নেতা তথা ওই দেশের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী নারায়ণ প্রকাশ সৌদ ৷

উল্লেখ্য, নেপালের হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের মোট সদস্য সংখ্যা 275 ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন 138 ৷ নেপালি কংগ্রেসের 89 জন ও সিপিএন-ইউএমএল 78 জন সদস্য রয়েছে ৷ এই দুই দলের সম্মিলিত শক্তি 167 ৷ ফলে এই জোট সরকারের গঠন প্রায় চূড়ান্ত ৷ তাই কিভাবে সরকার চলবে, তা নিয়ে আগেই আলোচনা সেরে ফেলেছে দুই দল ৷

নেপালের সংসদের পরবর্তী তিন বছরে প্রথম দেড় বছর সিপিএন-ইউএমএল এর কেপি শর্মা ওলি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন ৷ পরের দেড় বছর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন নেপালি কংগ্রেসের শের বাহাদুর দেউবা ৷ তাছাড়া কোন প্রদেশে কে সরকার গঠন করবে, সেটাও এই দুই দল চূড়ান্ত করে ফেলেছে ৷

কাঠমাণ্ডু, 3 জুলাই: নেপালের রাজনৈতিক সংকট অব্যাহত ৷ এই পরিস্থিতিতে সংকট কাটাতে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য পুষ্প কুমার দহল বা প্রচণ্ড-র কাছে আবেদন করল নেপালি কংগ্রেস ৷ তাদের বক্তব্য, নতুন সরকার গঠনের পথ প্রশস্ত করার জন্য প্রচণ্ডর প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করা উচিত ৷

নেপালি কংগ্রেসের মুখপাত্র ড. প্রকাশ শরণ মাহাত জানান, নেপালি কংগ্রেস ও সিপিএন-ইউএমএল এর জোট সরকার তৈরির সব প্রস্তুতি শেষ ৷ অন্য দলগুলিও এই জোটকে সমর্থনে তৈরি ৷ তাই নতুন সরকার যাতে তৈরি হতে পারে, সেই কারণে সরে দাঁড়ানো উচিত প্রচণ্ডর ৷

শুধু নেপালি কংগ্রেসই নয়, প্রচণ্ডকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সিপিএন-ইউএমএল-ও ৷ তাদের মন্ত্রীরা এখনও পদত্যাগ করেনি ৷ ওই দলের নেতা প্রদীপ গয়ালি জানিয়েছেন যে বুধবারের মধ্যে প্রচণ্ড সরে না দাঁড়ালে ইউএমএল-এর মন্ত্রীরা পদত্যাগ করবেন ৷

উল্লেখ্য, প্রচণ্ডর দল সিপিএন-মাওইস্ট সেন্টার এতদিন সিপিএন-ইউএমএল এর সমর্থনে সরকার চালাচ্ছিল ৷ সম্প্রতি সিপিএন-ইউএমএল সমর্থন প্রত্যাহার করে ৷ বরং সোমবার মধ্য়রাতে সিপিএন-ইউএমএল এর সঙ্গে নেপালি কংগ্রেসের জোট সমঝোতা চূড়ান্ত হয় ৷ নেপালির কংগ্রেসের সভাপতি শের বাহাদুর দেউবা ও সিপিএন-ইউএমএল এর চেয়ারম্যান কেপি শর্মা ওলির মধ্যে বৈঠকেই চূড়ান্ত হয় পুরো বিষয়টি ৷

কিন্তু তাদের সরকার গঠন আটকে প্রচণ্ডর জন্য ৷ কারণ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরতে নারাজ প্রচণ্ড ৷ তিনি চাইছেন আস্থাভোটের মুখোমুখি হতে ৷ সেটার জন্য তিনি নেপালের সংবিধান অনুযায়ী সময় পাবেন আরও তিরিশ দিন ৷ অনেকে মনে করেন, এই তিরিশ দিন বদলাতে পারে অনেক অঙ্ক ৷ আর সেই কারণেই সম্ভবত নেপালি কংগ্রেস চাইছে যাতে প্রচণ্ড পদত্যাগ করেন ৷

প্রচণ্ড এই আবেদনের সাড়া দেবেন কি না, সেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি এখনও ৷ তবে সরকার গঠনের তোড়জোড় নেপালি কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে তাদের ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠক করতে চলেছে বলে জানিয়েছেন নেপালি কংগ্রেসের নেতা তথা ওই দেশের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী নারায়ণ প্রকাশ সৌদ ৷

উল্লেখ্য, নেপালের হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের মোট সদস্য সংখ্যা 275 ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন 138 ৷ নেপালি কংগ্রেসের 89 জন ও সিপিএন-ইউএমএল 78 জন সদস্য রয়েছে ৷ এই দুই দলের সম্মিলিত শক্তি 167 ৷ ফলে এই জোট সরকারের গঠন প্রায় চূড়ান্ত ৷ তাই কিভাবে সরকার চলবে, তা নিয়ে আগেই আলোচনা সেরে ফেলেছে দুই দল ৷

নেপালের সংসদের পরবর্তী তিন বছরে প্রথম দেড় বছর সিপিএন-ইউএমএল এর কেপি শর্মা ওলি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন ৷ পরের দেড় বছর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন নেপালি কংগ্রেসের শের বাহাদুর দেউবা ৷ তাছাড়া কোন প্রদেশে কে সরকার গঠন করবে, সেটাও এই দুই দল চূড়ান্ত করে ফেলেছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.