পেশোয়ার, 5 ফেব্রুয়ারি: পাকিস্তানের থানায় জঙ্গি হামলা ৷ সোমবার ভোরে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের জেলা ডেরা ইসমাইল খানে এই হামলা হয় ৷ হামলায় অন্তত 10 জন নিহত হয়েছেন বলে খবর ৷ এছাড়া ছ’জন আধিকারিকও আহত হয়েছেন । জানা গিয়েছে, রকেট, বন্দুক ও গ্রেনেড নিয়ে জঙ্গিরা হামলা চালায় ৷ পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে যেখানে পাকিস্তানি তালিবানদের শক্তঘাঁটি ছিল, সেখানেই এই হামলা হয়েছে ৷
এটাই এই বছরের সবচেয়ে মারাত্মক হামলা বলে জানা গিয়েছে ৷ তাৎক্ষণিকভাবে কোনও গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি । সিনিয়র পুলিশ অফিসার আনিস-উল-হাসান জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনী হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে ও গ্রেফতার করতে কাজ করছে । গত ডিসেম্বরে একই জেলার একটি থানার বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা একটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটায় ৷ সেই হামলায় অন্তত 23 জন সেনা নিহত হন ৷ আরও 32 জন আহত হন ৷
ওই হামলার দায় স্বীকার করে নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী তেহরিক-ই-জিহাদ পাকিস্তান ৷ ওই গোষ্ঠী পাকিস্তানি তালিবানের একটি শাখা বলে মনে করা হয় । সামরিক ও স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, 5 ডিসেম্বর ডেরা ইসমাইল খানে ওই হামলার পর সেনার একাধিক অভিযানে 27 জন বিদ্রোহীকে হত্যা করে ৷
এদিকে এক সপ্তাহ আগে দক্ষিণ পশ্চিম বালুচিস্তান প্রদেশে বিদ্রোহীরা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলায় চার নিরাপত্তা বাহিনী-সহ ছ’জন নিহত হন ৷ গত সপ্তাহে বালুচিস্তানের ওই ঘটনার পর সেনাবাহিনী 24 বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে । বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে ।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে জঙ্গি হামলা বেড়েছে । এই ধরনের বেশিরভাগ হামলাই ঘটেছে খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৷ সেখানে 2023 সালের জানুয়ারিতে জঙ্গিরা কমপক্ষে 101 জনকে হত্যা করেছিল ৷ নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই পুলিশ অফিসার ছিলেন ৷ সেটি ছিল আত্মঘাতী বোমা হামলা ৷ হামলাকারী একজন পুলিশকর্মীর ছদ্মবেশে ছিল ৷ সেদিন উত্তর পশ্চিম অঞ্চলের শহর পেশোয়ারের একটি মসজিদে হামলা হয় ।
ডেরা ইসমাইল খান দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের কাছে অবস্থিত৷ এই এলাকাকে জঙ্গিদের অভয়ারণ্য হিসেবে বলা হয় । 2014 সালে ওই এলাকায় সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি স্কুলে হামলা হয়েছিল ৷ সেই হামলায় 150 জন নিহত হন ৷ নিহতদের বেশিরভাগই শিশু ছিল ৷ এর পর পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সেখানে একাধিক অভিযানও চালায় ৷
আরও পড়ুন: