জেরুজালেম, 25 অগস্ট: মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্কট রবিবারের শুরুতেই আরও খারাপ হয়েছে ৷ কারণ, ইজরায়েল দক্ষিণ লেবাননে একের পর এক বিমান হামলা শুরু করেছে ৷ এটি ছিল হিজবুল্লাহ জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইজরায়েলের একটি পূর্বনির্ধারিত হামলা। ইজরাইলের এয়ার স্ট্রাইক গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাকে বানচাল করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল ৷ সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে, হিজবুল্লাহর একজন শীর্ষ কমান্ডারের হত্যার 'পালটা জবাব' হিসাবে ইজরায়েলের দিকে রকেট এবং ড্রোন হামলা চালানোর কথা ঘোষণা করে হিজবুল্লাহ। প্যালেস্তাইনের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের যুদ্ধ এখন 11 তম মাসে পড়েছে। যত দিন যাচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি তত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ৷
ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটি গত মাসের শেষদিকে তাদের একজন শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যার ফলে উত্তর ইজরায়েলজুড়ে বিমান হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে এবং বেন-গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা ফ্লাইটগুলিকে সেখান থেকে সরিয়ে দিতে এবং এখান থেকে বিমানের উড়ান পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে ।
ইজরায়েলের সেনাবাহিনী লেবাননে হামলা শুরু করার পর সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট রবিবার স্থানীয় সময় সকাল 6টা (ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে 8টা) থেকে 48 ঘণ্টা দেশব্যাপী জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছেন ।
এর পরেই হিজবুল্লাহও ঘোষণা করেছে যে, গত মাসে বেইরুটের দক্ষিণ শহরতলীতে একটি হামলায় তাদের শীর্ষ কমান্ডার ফুয়াদ শুকুরের মৃত্যুর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হিসাবে "বিপুল সংখ্যক ড্রোন" দিয়ে ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে আক্রমণ শুরু করেছে । সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর দাবি, তারা ইজরায়েলে '320টিরও বেশি' রকেট নিক্ষেপ করেছে ।
লেবাননের সংবাদ মাধ্যম তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত তথ্য না দিয়ে দেশের দক্ষিণে হামলার খবর প্রকাশ করেছে । সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিয়ো ফুটেজে দক্ষিণ লেবাননে হামলার দৃশ্য ধরা পড়েছে। ইজরায়েলি সংবাদ মাধ্যম বিমান বাতিলের খবর সে দেশের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত করেছে ।
ইসরায়েলি সেনা বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে যেখানে হিজবুল্লাহ ইরান-সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একের পর এক হামলা চালিয়েছে, সেখানকার বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে । এখানকার বাসিন্দাদের যত দ্রুত সম্ভব ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শে দিয়েছে ৷ হিজবুল্লাহকে তার মিত্র হামাসের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী বলে মনে করা হয় ৷ কারণ, হিজবুল্লাহর অস্ত্রাগারে প্রায় 150,000 ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যার মধ্যে যেগুলি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম ।