ETV Bharat / international

চাঁদের মাটি স্পর্শ করে এলিট ক্লাবে প্রবেশের অপেক্ষায় সূর্যোদয়ের দেশ - Moon Mission

Japan Moon Mission: শনিবার চাঁদের মাটিতে পিনপয়েন্ট ল্যান্ডিং করতে পারে জাপানের মহাকাশযান ৷ তাহলে এই দেশ চাঁদে পৌঁছানো পঞ্চম দেশ হবে ৷ এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, ভারত ও চিন এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পেরেছে ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 20, 2024, 1:01 AM IST

টোকিয়ো, 19 জানুয়ারি: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম দেশ হিসেবে সফট ল্যান্ডিংয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেছে ভারত ৷ এবার চাঁদে প্রথম দেশ হিসেবে ‘পিনপয়েন্ট ল্যান্ডিং’-এর প্রচেষ্টায় জাপান ৷ সবকিছু ঠিকঠাক চললে শনিবারই এই ইতিহাস গড়তে পারে জাপান ৷ এক্ষেত্রে আগে থেকে নির্দিষ্ট করা কোনও স্থানেই নামার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে জাপান ৷ গত বছর এপ্রিলে জাপানের একটি সংস্থার মহাকাশযান এই চেষ্টা চালিয়েছিল ৷ কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা ভেঙে পড়ে ৷ তাই এবার সাফল্য আনতে মরিয়া এই দেশ ৷

এখনও পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, ভারত ও চিন চাঁদের মাটি ছুঁতে পেরেছে ৷ শনিবার জাপান যদি সাফল্য পায়, তাহলে তারাও এই চার দেশের সঙ্গে একসারিতে চলে আসবে ৷ কিন্তু কাঙ্খিত সাফল্য না এলে, এই মিশনের জন্য খরচ করা অর্থের ক্ষতি তো হবেই ৷ পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলে বিব্রত হতে হবে ‘সূর্যোদয়ের দেশ’কে ৷

ঠিক যেমন 2019 সালে ভারতকে বিব্রত হতে হয়েছিল ৷ সেবারও ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিংয়ের চেষ্টা করেছিল ৷ কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি ৷ কিন্তু 2023 সালে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রচেষ্টা সফল হয় ৷ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম দেশ হিসেবে ভারতই পৌঁছাতে পেরেছে ৷ ফলে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকস্তরে সম্মান বেড়েছে ভারতের ৷ তার উপর চাঁদে জমে যাওয়া জল (ফ্রোজেন ওয়াটার) সংক্রান্ত যে তথ্য ইসরোর হাতে এসেছে, তা আগামিদিনে মহাকাশ গবেষণায় সারা বিশ্বের কাজে আসবে ৷

এদিকে চাঁদে আবার মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে নাসা ৷ আগামী বছর নাসার মহাকাশচারীরা চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন ৷ তাঁদের সেখানে পৌঁছানোর কথা 2026 সালে ৷ এছাড়া একটি মার্কিন সংস্থা অ্যাস্ট্রোবোটিক টেকনোলজি তাদের মহাকাশযান চাঁদে পাঠানোর চেষ্টা করেছিল ৷ কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি ৷ বরং পেরিগ্রিন নামের ওই মহাকাশযানের সফর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অসম্পূর্ণ থেকে যায় ৷ নাসা চাঁদে মহাকাশযান পাঠানোর বিষয়টি বাণিজ্যিক করতে চাইছে ৷ অন্যদিকে মার্কিন সরকার চাইছে আবার চাঁদে মহাকাশচারী পাঠাতে ৷

বিশ্বের আরেক সুপার পাওয়ার চিন 2013 সালে প্রথমবার চাঁদে পৌঁছয় ৷ গত বছর তারা তিনজন মহাকাশচারীকে পাঠায় স্পেস স্টেশনের চারপাশের কক্ষপথে ঘোরার জন্য ৷ 2030 সালের মধ্যে তারা চাঁদে মানুষ পাঠাতে চাইছে ৷ এছাড়া 2020 সালে চাঁদের ক্যাপসুল সেখানকার খনিজ নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফেরে ৷ 40 বছরে প্রথমবার সেই কাজ সম্ভব হয় ৷ 2003 সালে মহাকাশে মানুষ পাঠায় চিন ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়েনর পর তৃতীয় দেশ হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করে চিন ৷

মহাকাশ গবেষণায় আরেক সুপার পাওয়ার হল রাশিয়া ৷ 47 বছর আগে তারা প্রথম চাঁদে পৌঁছয় ৷ 1957 সালে মহাকাশে প্রথম উপগ্রহ পাঠিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ৷ চার বছর পর 1961 সালে তারা প্রথম মানুষ পাঠায় মহাকাশে ৷ কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে রাশিয়া হওয়ার পর থেকে মহাকাশ গবেষণায় সেভাবে তারা সাফল্য পায়নি ৷ 2023-এ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিংয়ের চেষ্টা করেছিল তারা ৷ কিন্তু সফল হয়নি ৷ বরং সাফল্য আসে ভারতের ৷ না হলে তারাই প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছে যেত ৷ সেই ব্যর্থতার পর 2027 সালে আরও একটি মুন মিশনের পরিকল্পনা করেছে রাশিয়া ৷ এখন দেখার তারা সেই সময় সফল হয় কি না !

টোকিয়ো, 19 জানুয়ারি: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম দেশ হিসেবে সফট ল্যান্ডিংয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেছে ভারত ৷ এবার চাঁদে প্রথম দেশ হিসেবে ‘পিনপয়েন্ট ল্যান্ডিং’-এর প্রচেষ্টায় জাপান ৷ সবকিছু ঠিকঠাক চললে শনিবারই এই ইতিহাস গড়তে পারে জাপান ৷ এক্ষেত্রে আগে থেকে নির্দিষ্ট করা কোনও স্থানেই নামার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে জাপান ৷ গত বছর এপ্রিলে জাপানের একটি সংস্থার মহাকাশযান এই চেষ্টা চালিয়েছিল ৷ কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা ভেঙে পড়ে ৷ তাই এবার সাফল্য আনতে মরিয়া এই দেশ ৷

এখনও পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, ভারত ও চিন চাঁদের মাটি ছুঁতে পেরেছে ৷ শনিবার জাপান যদি সাফল্য পায়, তাহলে তারাও এই চার দেশের সঙ্গে একসারিতে চলে আসবে ৷ কিন্তু কাঙ্খিত সাফল্য না এলে, এই মিশনের জন্য খরচ করা অর্থের ক্ষতি তো হবেই ৷ পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলে বিব্রত হতে হবে ‘সূর্যোদয়ের দেশ’কে ৷

ঠিক যেমন 2019 সালে ভারতকে বিব্রত হতে হয়েছিল ৷ সেবারও ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিংয়ের চেষ্টা করেছিল ৷ কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি ৷ কিন্তু 2023 সালে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রচেষ্টা সফল হয় ৷ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম দেশ হিসেবে ভারতই পৌঁছাতে পেরেছে ৷ ফলে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকস্তরে সম্মান বেড়েছে ভারতের ৷ তার উপর চাঁদে জমে যাওয়া জল (ফ্রোজেন ওয়াটার) সংক্রান্ত যে তথ্য ইসরোর হাতে এসেছে, তা আগামিদিনে মহাকাশ গবেষণায় সারা বিশ্বের কাজে আসবে ৷

এদিকে চাঁদে আবার মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে নাসা ৷ আগামী বছর নাসার মহাকাশচারীরা চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন ৷ তাঁদের সেখানে পৌঁছানোর কথা 2026 সালে ৷ এছাড়া একটি মার্কিন সংস্থা অ্যাস্ট্রোবোটিক টেকনোলজি তাদের মহাকাশযান চাঁদে পাঠানোর চেষ্টা করেছিল ৷ কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি ৷ বরং পেরিগ্রিন নামের ওই মহাকাশযানের সফর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অসম্পূর্ণ থেকে যায় ৷ নাসা চাঁদে মহাকাশযান পাঠানোর বিষয়টি বাণিজ্যিক করতে চাইছে ৷ অন্যদিকে মার্কিন সরকার চাইছে আবার চাঁদে মহাকাশচারী পাঠাতে ৷

বিশ্বের আরেক সুপার পাওয়ার চিন 2013 সালে প্রথমবার চাঁদে পৌঁছয় ৷ গত বছর তারা তিনজন মহাকাশচারীকে পাঠায় স্পেস স্টেশনের চারপাশের কক্ষপথে ঘোরার জন্য ৷ 2030 সালের মধ্যে তারা চাঁদে মানুষ পাঠাতে চাইছে ৷ এছাড়া 2020 সালে চাঁদের ক্যাপসুল সেখানকার খনিজ নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফেরে ৷ 40 বছরে প্রথমবার সেই কাজ সম্ভব হয় ৷ 2003 সালে মহাকাশে মানুষ পাঠায় চিন ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়েনর পর তৃতীয় দেশ হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করে চিন ৷

মহাকাশ গবেষণায় আরেক সুপার পাওয়ার হল রাশিয়া ৷ 47 বছর আগে তারা প্রথম চাঁদে পৌঁছয় ৷ 1957 সালে মহাকাশে প্রথম উপগ্রহ পাঠিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ৷ চার বছর পর 1961 সালে তারা প্রথম মানুষ পাঠায় মহাকাশে ৷ কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে রাশিয়া হওয়ার পর থেকে মহাকাশ গবেষণায় সেভাবে তারা সাফল্য পায়নি ৷ 2023-এ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিংয়ের চেষ্টা করেছিল তারা ৷ কিন্তু সফল হয়নি ৷ বরং সাফল্য আসে ভারতের ৷ না হলে তারাই প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছে যেত ৷ সেই ব্যর্থতার পর 2027 সালে আরও একটি মুন মিশনের পরিকল্পনা করেছে রাশিয়া ৷ এখন দেখার তারা সেই সময় সফল হয় কি না !

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.