জেরুজালেম, 13 এপ্রিল: ইরান যদি হামলা করে, তাহলে জবাব দিতে প্রস্তুত ইজরায়েলও ৷ ওই দেশের সেনার তরফে এই কথা জানানো হয়েছে ৷ ইজরায়েলি সেনা আরও জানিয়েছে যে নিজের দেশকে রক্ষা করতে তারা তৈরি আছে ৷ কেন এই কথা বলল ইজরায়েলি সেনা ? কারণ, ইরান ইজরায়েলের উপর হামলার হুমকি দিচ্ছে ৷ গত সপ্তাহে দামাস্কাসে বিমান হানায় ইরানের দু’জন জেনারেল নিহত হন ৷ এই ঘটনার জন্য ইজরায়েলকেই দায়ী করেছে ৷ তবে এই নিয়ে ইজরায়েলের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি ৷
ওই দেশের সেনার প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি সাংবাদিকদের জানান, ইরানি ভূখণ্ড থেকে যদি কোনও হামলা হয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের আসন আসল মনোভাব স্পষ্ট হবে ৷ আড়াল থেকে লড়াই করার চেষ্টাও বন্ধ হবে ৷ গত কয়েকমাসে ইজরায়েল আক্রমণ ও হামলা ঠেকানোর বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে ৷ ফলে কোন পরিস্থিতিতে কিভাবে জবাব দিতে হয়, তা ইজরায়েল সঠিকভাবে জানে ৷
ইরান যদি হামলা করে, তা কিভাবে প্রতিহত করতে হবে, সেই নিয়েই ইতিমধ্যে ইজরায়েল প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে ৷ যেখানে যেখানে প্রয়োজন, সেখানে সেখানে তারা সৈন্য সমাবেশ বৃদ্ধি করেছে বলে জানা গিয়েছে ৷ এখন দেখার ইরান তাদের উপর হামলা চালায় কি না ! সেটা সত্যি হলে মধ্যপ্রাচ্য়ে এই যুদ্ধের প্রভাব কী হয় ?
কারণ, গত কয়েকমাস মধ্যপ্রাচ্য উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে গাজায় ইজরায়েলি হামলাকে কেন্দ্র করে ৷ হামাস জঙ্গিদের শেষ করতে সেখানে এখনও লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা ৷ ইজরায়েলি বোমাবর্ষণ এবং স্থল আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে 33 হাজার 360 জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন ৷ আহতের সংখ্যা 74 হাজার 993 জন ৷ নিহতদের দুই-তৃতীয়াংশ নারী ও শিশু বলে গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি ।
এদিকে ইজরায়েলি হামলার জেরে গাজার পরিস্থিতি এখন ভয়ঙ্কর ৷ সেখানে অনাহারের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ মানবিক সাহায্য পৌঁছাচ্ছে না ৷ সামরিক ক্ষেত্রে ইজরায়েলের পাশে থাকলেও মানবিক সাহায্যের ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৷ এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে যদি আরও একটা লড়াই শুরু হয়, তাহলে তার প্রভাব সারা বিশ্বে পড়তে পারে বলে অনেকের অভিমত ৷
(সংবাদসংস্থা এপি-র ইনপুট-সহ)
আরও পড়ুন: