নিউইয়র্ক, 16 মার্চ: নির্দিষ্ট একটি ধর্মকে রক্ষার নামে ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছে রাষ্ট্রসংঘের মুষ্ঠিমেয় প্রতিনিধি ৷ শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় এভাবেই পাকিস্তান ও তার মদতকারী চিনকে নিশানা করল ভারত ৷ রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত রুচিরা কামবোজ এই মন্তব্য করেন ৷ উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘে 'ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে মোকাবিলা' প্রস্তাব পেশ করে পাকিস্তান ৷ যেখানে রাম মন্দির ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ-কে ইসলামফোবিয়ার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে পাকিস্তান ৷ তার প্রেক্ষিতেই পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় জবাব দিলেন ভারতের রাষ্ট্রদূত ৷
পাকিস্তানের অস্থায়ী রাষ্ট্রদূত মুনির আক্রম শুক্রবার চিনের মদতে 'ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে মোকাবিলা' প্রস্তাব পেশ করেন রাষ্ট্রসংঘে ৷ যেখানে 193টি সদস্য দেশকে নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় তা গৃহিত হয় ৷ যেখানে 115টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষ ভোট দেয় ৷ তবে, বিপক্ষে কোনও দেশ ভোট দেয়নি ৷ তবে, ভারত, ব্রাজিল, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ইউক্রেন ও গ্রেট ব্রিটেন-সহ 44 সদস্য দেশ ভোটদানে বিরত থাকে ৷ এই প্রস্তাব নিয়ে ভাষণে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত 'রাম মন্দির' ও 'সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন'কে ইসলামের প্রতি ভীতি হিসেবে উল্লেখ করেন ৷
যার জবাবে ভারতের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত রুচিরা কামবোজ বলেন, "একটি বিষয় খুবই চিন্তার যে, সাধারণ সভার এক সদস্য ও তার মন্তব্য অনেকটা ভাঙা রেকর্ডের মতো ৷ যখন পুরো বিশ্ব এগিয়ে চলেছে, দুঃখজনকভাবে তখন তারা স্থবির হয়ে রয়েছে ৷ আমার দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে এই প্রতিনিধির সীমিত এবং বিপথগামী দৃষ্টিভঙ্গি খুবই দুর্ভাগ্যজনক ৷ আরও উল্লেখ্য যে, সাধারণ সভা এই বিষয়টিকে আরও ব্যাপক আকারে আন্তর্জাতিক স্তরে আলোচনার জন্য গ্রহণ করেছিল ৷ এই সদস্য দেশের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য নয় ৷"
পাকিস্তানের এই 'ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে মোকাবিলা' প্রস্তাব আদতে হিংসা ও বৈষম্যের সম্মুখীন হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ-সহ অন্যান্য ধর্মের প্রতি ধর্মভীতির বিস্তার বলে উল্লেখ করেছেন তিনি ৷ এ প্রসঙ্গে বিশ্বের হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ধর্মাবলম্বীদের পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন ভারতের রাষ্ট্রদূত ৷
আরও পড়ুন: