বেইরুত, 25 সেপ্টেম্বর: ইজরায়েলি হামলায় মারা গিয়েছেন হিজবুল্লার শীর্ষ কমান্ডার ইব্রাহিম কোবেইসি ৷ এমনটাই জানানো হয়েছে হিজবুল্লার তরফে ৷ গত এক সপ্তাহে বেইরুতের উপর তিন বার আক্রমণ করেছে ইজরায়েলি সেনা ৷ দক্ষিণী বেইরুতের সেই হামলাতেই প্রাণ গিয়েছে সংগঠনের শীর্ষ মিসাইল কমান্ডারের ৷
ক্রমশ ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে ইজরায়েল-হিজবুল্লা যুদ্ধ ৷ সন্ত্রাসবাদী এই সংগঠনকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দিতে বিগত কয়েকদিনে যুদ্ধের ঝাঁঝ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে আইডিএফ ৷ তারপর এই প্রথম কোনও শীর্ষ কমান্ডারের মৃত্যু খবর স্বীকার করল হিজবুল্লা ৷
এই প্রসঙ্গে ইজরায়েল জানিয়েছে, রকেট ও মিসাইল হামলার মূলে ছিলেন মৃত হিজবুল্লা নেতা কোবেইসি ৷ 2000 সালে ইজরায়েলের উপর হামলার নেপথ্য়েও ছিলেন তিনি ৷ শুধু তাই নয় ৷ এমনকী, আরও বেশ কিছু হামলার পরিকল্পনার মূলেও ছিলেন হিজবুল্লার শীর্ষ এই কমান্ডার ৷
প্রসঙ্গত, ইরান সমর্থিত সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুল্লার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঝাঁঝ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স ৷ পেজার বিস্ফোরণ ও ওয়াকি-টকির মাধ্যমে হামলার রেশ কাটতে না-কাটতেই লেবাননে এয়ারস্ট্রাইক চালায় আইডিএফ ৷ হামলায় প্রাণ হারান 492 জন ৷ আহত দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ ৷
সেই হামলার পরই ইজরায়েলের উপর পাল্টা রকেট হামলা চালায় হিজবুল্লা ৷ মঙ্গলবার এমনটাই দাবি করে আইডিএফ ৷ এদিন রাতে ইজরায়েলি সেনা জানায়, দেশের উত্তর সীমান্তে স্থিত হাইফা শহরের দক্ষিণে ড্রোন হামলা চালায় হিজবুল্লা ৷ উপকূলীয় শহর আটলিটে এই প্রথম হামলা করেছে হিজবুল্লা ৷ এই এলাকায় আরও দু'টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লা ৷ যদিও সেই হামলা প্রতিরোধ করা হয়েছে বলেই জানিয়েছে আইডিএফ ৷
তবে এই ড্রোন হামলায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি ৷ বেশিরভাগ রকেট ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে ৷ এক বিবৃতিতে হিজবুল্লা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, তারা অ্যাটলিট ঘাঁটিতে ইজরায়েলের বিশেষ নৌ টাস্ক ইউনিট, 'শায়েতেত 13' এর সদর দফতরে অ্যাসল্ট ড্রোনের অভিযান চালানো হয়েছে ৷
ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘর্ষে বরাবরই প্যালেস্তাইনকে সমর্থন জানিয়েছে লেবানন ৷ আর সেই কারণে 2006 সালে ইজরায়েলি হামলার মুখোমুখি হতে হয় ৷ সেই সময়, প্রাণের বাঁচার লক্ষ্যে দেশ ছেড়ে বেইরুতের দিকে পালিয়ে যান হাজার হাজার লেবানিজ ৷ প্রায় এক বছর ধরে ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের মধ্যে চলে যুদ্ধ ৷ এই যুদ্ধেও প্যালেস্তাইনের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে লেবানন ৷